International Workers’ Day
আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস (International Workers’ Day)
আজ ১ লা মে (1 May), আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস (International Workers’ Day), যা শ্রমিক দিবস (Labour Day) বা মে দিবস (May Day) নামে পরিচিত। প্রতি বছর ১ লা মে তারিখটি আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস রূপে পালিত হয়। উল্লেখ্য, ১৮৮৬ সালের ১ লা মে তারিখে আমেরিকান ফেডারেশন অফ লেবার (American Federation of Labor) আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে সাধারণ ধর্মঘট পালন করেছিল। ১৮৮৯ সাল সোস্যালিস্ট ইন্টারন্যাশনাল (Socialist International) বা সেকেন্ড ইন্টারন্যাশনাল (Second International) -এর প্রথম কংগ্রেসে ১ লা মে তারিখটি শ্রমিক দিবস বা মে দিবস হিসাবে ঘোষণা করা হয় এবং ১৮৯০ সালের ১ লা মে প্রথমবার আন্তর্জাতিক স্তরে শ্রমিক দিবস বা মে দিবস পালিত হয়। ১৮৯১ সালে সোস্যালিস্ট ইন্টারন্যাশনাল (Socialist International) -এর দ্বিতীয় কংগ্রেসে শ্রমিক দিবস বা মে দিবসকে বার্ষিক উদযাপন হিসাবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। ১৯১৯ সালে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (International Labour Organization) গঠিত হয়। ১৯৪৬ সালে এই সংস্থা রাষ্ট্রসংঘ (UN)-এর প্রথম বিশেষায়িত সংস্থা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে এবং ১ লা মে তারিখটি আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস স্থাপিত হয়। উল্লেখ্য, ১৯২৩ সালে চেন্নাই-তে ‘লেবার কিষাণ পার্টি অফ হিন্দুস্তান’ (Labour Kisan Party of Hindustan) ভারতে প্রথম মে দিবস পালন করেছিল।
আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালনের লক্ষ্য হল শ্রমজীবী মানুষের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রচার করা। আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালনের উদ্দেশ্য হল : বিশ্বব্যাপী শ্রমিক শ্রেণীর অবদানকে স্বীকৃতি জ্ঞাপন করা এবং ন্যায্য মজুরি, নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও শ্রমিকদের অধিকারের জন্য শ্রমিক আন্দোলনের সংগ্রামকে স্মরণ করা। তাই, মে দিবস সারা বিশ্বের শ্রমিকদের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসাবে স্বীকৃত হয়েছে এবং শ্রমিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট আন্দোলনের প্রেরণা হিসাবে এই দিবস একট কার্যকর ভূমিকা পালন করে চলেছে। সমতা, ন্যায্য মজুরি, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ নির্মাণ পটভূমিতে এই শ্রমিক দিবসের বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। উল্লেখ্য, ওয়ার্ল্ড এমপ্লয়মেন্ট কনফেডারেশন (World Employment Confederation) প্রদত্ত তথ্য অনুসারে, বিশ্বব্যাঙ্ক (World Bank) -এর হিসাব অনুসারে ২০২৩ সালে সারা বিশ্বে শ্রমশক্তির সংখ্যা ৩৬৩ কোটি।
বর্তমান সময়ে শ্রমজীবী শ্রেণীর মানুষের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলি হল — অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের নিম্ন মজুরি, ঝুঁকিপূর্ণ কর্মপরিবেশ এবং ফলস্বরূপ দুর্ঘটনা ও স্বাস্থ্য সমস্যা, পুরুষ ও নারী শ্রমিকদের মধ্যে মজুরি বৈষম্য, অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা বা অধিকারের অভাব, গ্রামীণ অঞ্চলে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের অভাব ইত্যাদি। উপরোক্ত সমস্যাগুলি সমাধানে কাঙ্ক্ষিত পদক্ষেপগুলি হল — শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নিশ্চিত করা ও সময়োপযোগী মজুরি বৃদ্ধি করা, নতুন কর্মসংস্থান তৈরিতে সরকারি উদ্যোগ গ্রহণ করা, প্রশিক্ষণ সহ নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করা, অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা, শ্রমিকদের জন্য সরকারি সহযোগিতা বৃদ্ধি করা ইত্যাদি।
Pingback: Maharashtra Day - ভূগোলিকা-Bhugolika
💪💪💪