World Milk Day
বিশ্ব দুগ্ধ দিবস (World Milk Day)
আজ ১ লা জুন (1 June), বিশ্ব দুগ্ধ দিবস (World Milk Day)। প্রতি বছর ১ লা জুন তারিখটি বিশ্ব দুগ্ধ দিবস রূপে পালিত হয়। উল্লেখ্য, ২০০১ সালে রাষ্ট্রসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO) ১ লা জুন তারিখটি বিশ্ব দুগ্ধ দিবস হিসাবে ঘোষণা করে এবং ২০০১ সালের ১ লা জুন তারিখে প্রথমবার বিশ্ব দুগ্ধ দিবস পালিত হয়। বিশ্ব দুগ্ধ দিবস পালনের উদ্দেশ্য হল : বৈশ্বিক খাদ্য (Global Food) হিসাবে দুধের গুরুত্বকে স্বীকৃতি প্রদান করা এবং দোহ খাত (Dairy Sector) উদযাপন করা। বিশ্ব দুগ্ধ দিবস পালনের লক্ষ্য হল দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্যের পুষ্টিগুণ তুলে ধরা, স্থিতিশীল দোহ কৃষি (Sustainable Dairy Farming) অনুশীলনের প্রচার করা এবং দোহ শিল্প (Dairy Industry)-এর জীবিকা ও গোষ্ঠীকে সমর্থন করা। এবছর অর্থাৎ ২০২৫ সালে বিশ্ব দুগ্ধ দিবসের থিম হল : ‘The Power of Dairy’।
দুধ (Milk) হল স্তন্যপায়ী প্রাণীর স্তন্যগ্রন্থি থেকে উৎপন্ন পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এক প্রকার সাদা তরল পদার্থ। গবাদিপশু (বিশেষত গরু ও মহিষ)-এর দুগ্ধ মানুষের এক গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য। খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO) -এর কোডেক্স অ্যালিমেন্টারিয়াস (Codex Alimentarius) অনুসারে, দুধের সংজ্ঞা হল — ‘তরল দুধ হিসাবে খাওয়ার জন্য বা আরও প্রক্রিয়াজাতকরণের উদ্দেশ্যে, কোনো সংযোজন বা নিষ্কাশন ছাড়াই এক বা একাধিক দোহন থেকে প্রাপ্ত দোহনকারী প্রাণীর স্বাভাবিক স্তন্য নিঃসরণ’। পুষ্টি বৃদ্ধি ও খাদ্য নিরাপত্তায় দুধ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সারা বিশ্বে দারিদ্র্য ও অপুষ্টি দূরীকরণে দুধের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। উল্লেখ্য, প্রতি ১০০ গ্রাম গোদুগ্ধ (Cow Milk)-তে গড়ে ৮৭.৮ গ্রাম জল, ৪.৮ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৩.৯ গ্রাম ফ্যাট, ৩.২ গ্রাম প্রোটিন, ১২০ মিলিগ্রাম ক্যালশিয়াম থাকে। এছাড়া গোদুগ্ধে ফসফরাস, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি খনিজ এবং ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি, ভিটামিন-ডি রয়েছে। প্রতি ১০০ গ্রাম গোদুগ্ধ থেকে ৬৬ কিলোক্যালরি (kcal) শক্তি পাওয়া যায়।
বিশ্বের বৃহত্তম দুগ্ধ উৎপাদক দেশ (World’s Largest Milk Producer Country) হল ভারত। বিশ্বের বৃহত্তম দুগ্ধ গ্রাহক দেশ (World’s Largest Milk Consumer Country) হল ভারত। ভারত ‘বিশ্বের দুগ্ধ রাজধানী‘ (Milk Capital of the World) নামেও পরিচিত। এছাড়া বিশ্বের উল্লেখযোগ্য দুগ্ধ উৎপাদক দেশগুলি হল আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান, চিন, ব্রাজিল, রাশিয়া, জার্মানি, ফ্রান্স, তুরস্ক, নিউজিল্যান্ড, ব্রিটিশ যুক্তরাজ্য ইত্যাদি। দুধ একটি সুষম খাদ্য। দুধের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। দুধ মানবদেহে পেশী ও টিস্যু গঠনে সহায়তা করে। হাড়ের স্বাস্থ্য ও বিকাশে দুধ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্নায়ু ও মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে দুধের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। দুধ দৃষ্টিশক্তি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। দুধ হৃদরোগের ঝুঁকি ও রক্তচাপ হ্রাসে সাহায্য করে। দুধ হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।
Pingback: Telangana Day - ভূগোলিকা-Bhugolika