World Tuna Day
বিশ্ব টুনা দিবস (World Tuna Day)
আজ ২ রা মে (2 May), বিশ্ব টুনা দিবস (World Tuna Day)। প্রতি বছর ২ রা মে তারিখটি বিশ্ব টুনা দিবস রূপে পালিত হয়। উল্লেখ্য, ২০১১ সালে ওয়েস্টার্ন ও সেন্ট্রাল প্যাসিফিক ফিশারিজ কমিশন (Western and Central Pacific Fisheries Commission/WCPFC) -এর এক আলোচনা সভাতে পার্টিজ টু দ্য নাউরু এগ্রিমেন্ট (Parties to the Nauru Agreement) সর্বপ্রথম বিশ্ব টুনা দিবস পালনের প্রস্তাব দিয়েছিল। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক ২ রা মে তারিখটি বিশ্ব টুনা দিবস হিসাবে ঘোষিত হয় এবং ২০১৭ সালের ২ রা মে প্রথমবার বিশ্ব টুনা দিবস পালিত হয়। বিশ্ব টুনা দিবস পালনের দিবসের লক্ষ্য হল স্থিতিশীল পদ্ধতিতে টুনা মাছ আহরণের অনুশীলন, টুনা মাছ সংরক্ষণের প্রচেষ্টা এবং টুনা মাছের অর্থনৈতিক গুরুত্ব ও পুষ্টিগুণ প্রচার করা। বিশ্ব টুনা দিবস পালনের উদ্দেশ্য হল : টুনা মাছের বাস্তুতান্ত্রিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব এবং অতিরিক্ত হারে আহরণের কারণে বিশ্বব্যাপী টুনা মাছের বিপদগ্রস্ত অবস্থা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
টুনা (Tuna) হল একপ্রকার খাদ্য উপযোগী লবণাক্ত জলের মাছ বা সামুদ্রিক মাছ (Marine Fish)। টুনা হল স্কোমব্রিডি (Scombridae) পরিবারের অন্তর্গত থাননিনি (Thunnini) গোষ্ঠীর মাছ। থাননিনি (Thunnini) গোষ্ঠীতে ৫ টি গণের অন্তর্গত ১৫ টি টুনা মাছ প্রজাতি রয়েছে। উল্লেখ্য, থান্নাস (Thunnus) গণের টুনা মাছ প্রজাতিগুলি ‘প্রকৃত টুনা‘ (Real Tuna/True Tuna) নামে পরিচিত এবং থান্নাস (Thunnus) গণের অ্যালবাকোর টুনা (Albacore Tuna) প্রজাতি ‘সাদা টুনা‘ (White Tuna) এবং ‘সমুদ্রের মুরগি‘ (Chicken of the Sea) নামে পরিচিত। টুনা মাছ মূলত প্রশান্ত, আটলান্টিক ও ভারত মহাসাগরের ক্রান্তীয় ও উপক্রান্তীয় অঞ্চলে পাওয়া যায়। কয়েকটি উল্লেখযোগ্য টুনা মাছ প্রজাতি হল — অ্যালবাকোর টুনা (Albacore Tuna), সাউদার্ন ব্লুফিন টুনা (Southern Bluefin Tuna), আটলান্টিক ব্লুফিন টুনা (Atlantic Bluefin Tuna), ব্ল্যাকফিন টুনা (Blackfin Tuna), ইয়েলোফিন টুনা (Yellowfin Tuna) ইত্যাদি। ওপা (Opah) ও ম্যাকেরেল শার্ক (Mackerel Shark) -এর মতো টুনা মাছও আশেপাশের জলের চেয়ে শরীরের তাপমাত্রা বেশি রাখতে পারে।
টুনা একপ্রকার বাণিজ্যিক মাছ এবং জনপ্রিয় সামুদ্রিক খাদ্য। খাদ্যের জন্য মোট আহরিত টুনা মাছের ৬৬% প্রশান্ত মহাসাগর, ২৩% ভারত মহাসাগর ও ১১% আটলান্টিক মহাসাগর থেকে আহরণ করা হয়। টুনা মাছের কয়েকটি জনপ্রিয় খাদ্য হল — টিনজাত টুনা (Canned Tuna), সুশি (Sushi), টুনা স্যালাড (Tuna Salad), টেক্কাডন (Tekkadon), মোজামা (Mojama) ইত্যাদি। টুনা মাছ ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ এবং এছাড়াও এতে খনিজ পদার্থ, প্রোটিন, ভিটামিন বি-১২ রয়েছে। চমকপ্রদ গুণাবলী, অত্যধিক চাহিদা ও অতিরিক্ত মাছ ধরার কারণে বর্তমানে টুনা মাছের কয়েকটি প্রজাতি বিপদগ্রস্ত।
Very Nice 😀
Pingback: International Leopard Day - ভূগোলিকা-Bhugolika