পৃথিবীর ৫০ টি গুরুত্বপূর্ণ প্রণালী – দ্বিতীয় পর্ব

ভূগোলিকা-Bhugolika -এর ‘পরীক্ষা প্রস্তুতি’ বিভাগে আপনাকে স্বাগত জানাই। ‘পরীক্ষা প্রস্তুতি’ বিভাগের উদ্দেশ্য হল বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা (Competitive Exams) -তে শিক্ষার্থী ও পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতিতে সাহায্য করা। ‘পরীক্ষা প্রস্তুতি’ -এর MISCELLANEOUS বিভাগে সকল প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি আলোচনা করা হয়। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল : প্রণালী (Straits)। দুই পর্বে পৃথিবীর ৫০ টি গুরুত্বপূর্ণ প্রণালী আলোচনা করা হল। দ্বিতীয় পর্ব : World’s 50 Important Straits – Part-II । এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি পৃথিবীর ২৫ টি গুরুত্বপূর্ণ প্রণালী সম্পর্কে তথ্য লাভ করবেন।

প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্ট, সাধারণত নৌপরিবহণযোগ্য, দুই দিকে স্থলবেষ্টিত যে সংকীর্ণ জলভাগ দুইটি বৃহত্তর জলভাগকে পরস্পর যুক্ত করে, তাকে প্রণালী (Strait) বলে। প্রণালী অনেকসময় চ্যানেল (Channel), পাস (Pass), প্যাসেজ (Passage) নামেও পরিচিত থাকে। জলপথ পরিবহণে প্রণালী বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। আসুন একনজরে দেখা যাক, পৃথিবীর ৫০ টি গুরুত্বপূর্ণ প্রণালী। দ্বিতীয় পর্বে রইলো আরও ২৫ টি গুরুত্বপূর্ণ প্রণালী —

(World’s 50 Important Straits – Part-II)
(২৬) ৮ ডিগ্রি চ্যানেল / মিনিকয় চ্যানেল (Eight Degree Channel / Minicoy Channel): এই প্রণালী ভারত মহাসাগর (Indian Ocean)-এর অন্তর্গত আরব সাগর (Arabian Sea) এবং লক্ষদ্বীপ সাগর (Laccadive Sea)- কে পরস্পর যুক্ত করেছে।
(২৭) ৯ ডিগ্রি চ্যানেল (Nine Degree Channel): এই প্রণালী ভারত মহাসাগর (Indian Ocean)-এর অন্তর্গত আরব সাগর (Arabian Sea) এবং লক্ষদ্বীপ সাগর (Laccadive Sea)-কে পরস্পর যুক্ত করেছে।
(২৮) ১০ ডিগ্রি চ্যানেল (Ten Degree Channel): এই প্রণালী ভারত মহাসাগর (Indian Ocean)-এর অন্তর্গত আন্দামান সাগর (Andaman Sea) এবং বঙ্গোপসাগর (Bay of Bengal)- কে পরস্পর যুক্ত করেছে।
(২৯) আকাশি প্রণালী (Akashi Strait): এই প্রণালী প্রশান্ত মহাসাগর (Pacific Ocean)-এর অন্তর্গত সেতো অন্তর্দেশীয় সাগর (Seto Inland Sea) এবং ওসাকা উপসাগর (Osaka Bay)-কে পরস্পর যুক্ত করেছে।
(৩০) বালাবাক প্রণালী (Balabak Strait): এই প্রণালী প্রশান্ত মহাসাগর (Pacific Ocean)-এর অন্তর্গত সুলু সাগর (Sulu Sea) এবং দক্ষিণ চিন সাগর (South China Sea)-কে পরস্পর যুক্ত করেছে।
(৩১) বাস প্রণালী (Bass Strait): এই প্রণালী ভারত মহাসাগর (Indian Ocean)-এর বৃহৎ অস্ট্রেলিয়ান উপসাগর (Great Australian Bight) এবং প্রশান্ত মহাসাগর (Pacific Ocean)-এর তাসমান সাগর (Tasman Sea)-কে পরস্পর যুক্ত করেছে।
(৩২) বোহাই প্রণালী (Bohai Strait): এই প্রণালী প্রশান্ত মহাসাগর (Pacific Ocean)-এর অন্তর্গত বোহাই সাগর (Bohai Sea) এবং পীত সাগর (Yellow Sea)-কে যুক্ত করেছে।
(৩৩) ড্যাম্পিয়ার প্রণালী (Dampier Strait): এই প্রণালী প্রশান্ত মহাসাগর (Pacific Ocean)-এর অন্তর্গত বিসমার্ক সাগর (Bismarck Sea) এবং সলোমন সাগর (Solomon Sea)-কে পরস্পর যুক্ত করেছে।
(৩৪) ডেভিস প্রণালী (Davis Strait): এই প্রণালী আটলান্টিক মহাসাগর (Atlantic Ocean)-এর ল্যাব্রাডর সাগর (Labrador Sea) এবং উত্তর মহাসাগর (Arctic Ocean)-এর বাফিন উপসাগর (Baffin Bay)-কে পরস্পর যুক্ত করেছে।
(৩৫) জহোর প্রণালী (Strait of Johor): এই প্রণালী মালাক্কা প্রণালী (Strait of Malacca) এবং সিঙ্গাপুর প্রণালী (Singapore Strait)-কে পরস্পর যুক্ত করেছে।
(৩৬) কারিমাতা প্রণালী (Karimata Strait): এই প্রণালী প্রশান্ত মহাসাগর (Pacific Ocean)-এর অন্তর্গত দক্ষিণ চিন সাগর (South China Sea) এবং জাভা সাগর (Java Sea)-কে পরস্পর যুক্ত করেছে।
(৩৭) কার্চ প্রণালী (Kerch Strait): এই প্রণালী ভূমধ্যসাগর (Mediterranean Sea)-এর অন্তর্গত কৃষ্ণ সাগর (Black Sea) এবং আজভ সাগর (Sea of Azov)-কে পরস্পর যুক্ত করেছে।
(৩৮) লুজন প্রণালী (Luzon Strait): এই প্রণালী প্রশান্ত মহাসাগর (Pacific Ocean)-এর অন্তর্গত ফিলিপিন সাগর (Philippine Sea) এবং দক্ষিণ চিন সাগর (South China Sea)-কে পরস্পর যুক্ত করেছে।
(৩৯) ম্যাককিনাক প্রণালী (Strait of Mackinac): এই প্রণালী আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান হ্রদ (Lake Michigan) এবং হিউরন হ্রদ (Lake Huron)-কে পরস্পর যুক্ত করেছে।
(৪০) মেসিনা প্রণালী (Strait of Messina): এই প্রণালী ভূমধ্যসাগর (Mediterranean Sea)-এর অন্তর্গত তীরেনিয়ান সাগর (Tyrrhenian Sea) এবং আইওনিয়ান সাগর (Ionian Sea)-কে পরস্পর যুক্ত করেছে।
(৪১) নারেস প্রণালী (Nares Strait): এই প্রণালী উত্তর মহাসাগর (Arctic Ocean)-এর অন্তর্গত বাফিন উপসাগর (Baffin Bay) এবং লিঙ্কন সাগর (Lincoln Sea)-কে পরস্পর যুক্ত করেছে।
(৪২) ওমবাই প্রণালী (Ombai Strait): এই প্রণালী প্রশান্ত মহাসাগর (Pacific Ocean)-এর বান্দা সাগর (Banda Sea) এবং ভারত মহাসাগর (Indian Ocean)-এর সাভু সাগর (Savu Sagar)-কে পরস্পর যুক্ত করেছে।
(৪৩) ওটরান্টো প্রণালী (Strait of Otranto): এই প্রণালী ভূমধ্যসাগর (Mediterranean Sea)-এর অন্তর্গত আড্রিয়াটিক সাগর (Adriatic Sea) এবং আইওনিয়ান সাগর (Ionian Sea)-কে পরস্পর যুক্ত করেছে।
(৪৪) কুইয়ংঝউ প্রণালী / হাইনান প্রণালী (Qiongzhou Strait / Hainan Strait): এই প্রণালী প্রশান্ত মহাসাগর (Pacific Ocean)-এর অন্তর্গত দক্ষিণ চিন সাগর (South China Sea) এবং টঙ্কিন উপসাগর (Gulf of Tonkin)-কে পরস্পর যুক্ত করেছে।
(৪৫) সিসিলি প্রণালী (Strait of Sicily): এই প্রণালী ভূমধ্যসাগর (Mediterranean Sea)-এর অন্তর্গত তীরেনিয়ান সাগর (Tyrrhenian Sea) ও পশ্চিম ভূমধ্যসাগর (Western Mediterranean Sea) এবং পূর্ব ভূমধ্যসাগর (Eastern Mediterranean Sea)-কে পরস্পর যুক্ত করেছে।
(৪৬) জুয়ান ডি ফুকা প্রণালী (Strait of Juan de Fuca): এই প্রণালী প্রশান্ত মহাসাগর (Pacific Ocean)-এর স্যালিশ সাগর (Salish Sea) এবং উত্তর প্রশান্ত মহাসাগর (North Pacific Ocean)-কে পরস্পর যুক্ত করেছে।
(৪৭) মিন্দোরো প্রণালী (Mindoro Strait): এই প্রণালী প্রশান্ত মহাসাগর (Pacific Ocean)-এর অন্তর্গত দক্ষিণ চিন সাগর (South China Sea) এবং সুলু সাগর (Sulu Sea)-কে পরস্পর যুক্ত করেছে।
(৪৮) দ্য সাউন্ড প্রণালী / ওরেসুন্ড প্রণালী (The Sound Strait / Øresund Strait): এই প্রণালী আটলান্টিক মহাসাগর (Atlantic Ocean)-এর বাল্টিক সাগর (Baltic Sea) এবং উত্তর আটলান্টিক মহাসাগর (North Atlantic Ocean)-কে পরস্পর যুক্ত করেছে।
(৪৯) বিগল চ্যানেল (Beagle Channel): এই প্রণালী আটলান্টিক মহাসাগর (Atlantic Ocean) এবং প্রশান্ত মহাসাগর (Pacific Ocean)-কে পরস্পর যুক্ত করেছে।
(৫০) সুগারু প্রণালী (Tsugaru Strait): এই প্রণালী প্রশান্ত মহাসাগর (Pacific Ocean)-এর জাপান সাগর (Sea of Japan) এবং উত্তর প্রশান্ত মহাসাগর (North Pacific Ocean)-কে পরস্পর যুক্ত করেছে।

(World’s 50 Important Straits – Part-II)

উচ্চ মাধ্যমিক ভূগোল নির্যাস [XI : Semester-I]

পৃথিবীর ৫০ টি গুরুত্বপূর্ণ প্রণালী – প্রথম পর্ব

আপনি কি ভৌগোলিক প্রবন্ধ পড়তে পছন্দ করেন? তাহলে পড়ুন 👉 ভৌগোলিক প্রবন্ধ : সুন্দরবনের মাতলা নদী