World Wind Day
বিশ্ব বায়ু দিবস (World Wind Day)
আজ ১৫ ই জুন (15 June), বিশ্ব বায়ু দিবস (World Wind Day), যা বৈশ্বিক বায়ু দিবস (Global Wind Day) নামেও পরিচিত। প্রতি বছর ১৫ ই জুন তারিখটি বিশ্ব বায়ু দিবস রূপে পালিত হয়। উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে WindEurope (তৎকালীন নাম European Wind Energy Association/EWEA) -এর উদ্যোগে ইউরোপে ১৫ ই জুন তারিখটি বায়ু দিবস (Wind Day) রূপে পালিত হয়। ২০০৯ সালে গ্লোবাল উইন্ড এনার্জি কাউন্সিল (Global Wind Energy Council/GWEC) -এর উদ্যোগে প্রথমবার বিশ্ব বায়ু দিবস পালিত হয়। বিশ্ব বায়ু দিবস পালনের উদ্দেশ্য হল : জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনে এবং শক্তি স্বাবলম্বিতা বৃদ্ধিতে বায়ু শক্তি (Wind Energy) -এর ভূমিকা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। এবছর অর্থাৎ ২০২৫ সালে বিশ্ব বায়ু দিবসের থিম হল : ‘Day of Community Action’।
অবিরাম প্রবহমান বায়ুর গতিবেগকে ব্যবহার করে বায়ুকল বা উইন্ডমিল (Windmill) -এর সাহায্যে যে বিদ্যুৎশক্তি উৎপন্ন করা হয়, তাকে বায়ু শক্তি (Wind Energy) বলে। অর্থাৎ বায়ু শক্তি হল বায়ুর গতিশক্তিকে কাজে লাগিয়ে পাওয়া রূপান্তরিত শক্তি। বায়ু শক্তি হল সৌরশক্তির এক পরোক্ষ রূপ এবং বায়ু শক্তি নবায়নযোগ্য শক্তি (Renewable Energy) হিসাবে পরিচিত। বায়ু শক্তি ব্যবহারের প্রধান সুবিধাগুলি হল — (১) বায়ু শক্তি উৎপাদনে প্রাথমিক ব্যয় বেশি হলেও, পৌনঃপুনিক ব্যয় খুবই কম। (২) বায়ু শক্তি উৎপাদনে পরিবেশের দূষণ ঘটে না, অর্থাৎ বায়ু শক্তি একটি পরিবেশমিত্র শক্তি। (৩) পৃথিবীর প্রায় সর্বত্রই অবাধ ও প্রবহমান বায়ু শক্তি পাওয়া যায়। (৪) বায়ু শক্তি উৎপাদনের প্রযুক্তি সহজলভ্য। (৫) বায়ু শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণে সময় কম লাগে৷ বায়ু শক্তি ব্যবহারের প্রধান অসুবিধাগুলি হল — (১) বায়ু শক্তি উৎপাদনে প্রাথমিক ব্যয় অনেক বেশি। (২) বায়ুর গতিবেগ ও দিক পরিবর্তন ঘটলে এই শক্তি উৎপাদন ব্যাহত হয়। (৩) উৎপাদন ক্ষমতা কম হওয়ার কারণে, বায়ু শক্তির মাধ্যমে বিশাল বিদ্যুৎ চাহিদা মেটানো যায় না। (৪) উইন্ড টারবাইনের কারণে টেলিভিশন সম্প্রচার ও টেলি-যোগাযোগ ব্যাহত হতে পারে। (৫) মানব স্বাস্থ্যের উপর উইন্ড টারবাইনের শব্দ অনেক সময় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
Global Electricity Review -এর তথ্য অনুসারে, ২০২৪ সালে পৃথিবীতে বায়ু শক্তি থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ-এর মোট পরিমাণ ছিল ২৪৯৭.২৫ টেরাওয়াট-ঘন্টা (TWh), যা পৃথিবীর মোট উৎপাদিত বিদ্যুৎ-এর ৮.১%। বর্তমানে (২০২৪), বায়ু শক্তি উৎপাদনে চিন পৃথিবীতে প্রথম স্থান অধিকার করে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি। ২০২৪ সালের তথ্য অনুসারে, ভারত বায়ু শক্তি উৎপাদনে পৃথিবীতে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। ২০২৪ সালে ভারতে উৎপাদিত বায়ু শক্তির পরিমাণ ছিল ৮১.৫৭ টেরাওয়াট-ঘন্টা (TWh)। স্থলভাগে, বিশ্বের বৃহত্তম বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র (World’s Largest Wind Power Plant Onshore) হল চিনের গানসু উইন্ড ফার্ম (Gansu Wind Farm)। সমুদ্রে, বিশ্বের বৃহত্তম বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র (World’s Largest Wind Power Plant Offshore) হল ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যের হর্নসি-২ (Hornsea-2)। ভারতের বৃহত্তম বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র (India’s Largest Wind Power Plant) হল তামিলনাড়ুর মুপান্ডল উইন্ড ফার্ম (Muppandal Wind Farm)।
Pingback: Desertification and Drought Day - ভূগোলিকা-Bhugolika