Monday, July 28, 2025

ভূগোলিকা-Bhugolika

ভূগোল শিক্ষার অনন্য প্রতিষ্ঠান

ভূগোলিকা-Bhugolika

ভূগোল শিক্ষার অনন্য প্রতিষ্ঠান

জুন

World Hydrography Day

বিশ্ব জললেখবিজ্ঞান দিবস (World Hydrography Day)

World Hydrography Day

আজ ২১ শে জুন (21 June), বিশ্ব জললেখবিজ্ঞান দিবস (World Hydrography Day)। প্রতি বছর ২১ শে জুন তারিখটি বিশ্ব জললেখবিজ্ঞান দিবস রূপে পালিত হয়। উল্লেখ্য, নিরাপদ নৌচলাচল ও সামুদ্রিক পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়ে পরামর্শ প্রদানের উদ্দেশ্যে ১৯২১ সালের ২১ শে জুন ওয়ার্ল্ড হাইড্রোগ্রাফিক ব্যুরো (International Hydrographic Bureau) গঠিত হয়। ১৯৭০ সালে এই সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল হাইড্রোগ্রাফিক অর্গানাইজেশন (International Hydrographic Organization) নামে আত্মপ্রকাশ করে। ২০০৫ সালের ২৯ শে নভেম্বর রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদ ২১ শে জুন তারিখটি (অর্থাৎ ইন্টারন্যাশনাল হাইড্রোগ্রাফিক অর্গানাইজেশনের প্রতিষ্ঠা দিবস) বিশ্ব জললেখবিজ্ঞান দিবস হিসাবে ঘোষণা করে। ২০০৬ সালের ২১ শে জুন প্রথমবার বিশ্ব জললেখবিজ্ঞান দিবস পালিত হয়। বিশ্ব জললেখবিজ্ঞান দিবস পালনের উদ্দেশ্য হল : নিরাপদ নৌচলাচল ও সামুদ্রিক পরিবেশের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করা এবং সমুদ্র পরিচালনা ব্যবস্থাতে জললেখবিজ্ঞানের অপরিহার্য ভূমিকা তুলে ধরা। এবছর অর্থাৎ ২০২৫ সালে বিশ্ব জললেখবিজ্ঞান দিবসের থিম হল : ‘Seabed Mapping : Enabling Ocean Action’।

উল্লেখ্য, হাইড্রোগ্রাফি (Hydrography) শব্দটির বাংলা অর্থ হল জললেখবিজ্ঞান। বিজ্ঞানের যে শাখাতে জলভাগ অর্থাৎ মহাসাগর, সমুদ্র, উপকূলীয় অঞ্চল, হ্রদ, নদ-নদীর পরিমাপ ও প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করে এবং সময়ের সাথে সাথে তাদের পরিবর্তন আলোচনা করে, তাকে জললেখবিজ্ঞান বলে। অন্যভাবে বলা যায়, বিজ্ঞানের যে শাখাতে ভূ-পৃষ্ঠের জলনিমজ্জিত ও নাব্য অঞ্চলসমূহের লেখচিত্র বা মানচিত্র প্রস্তুতকরণ করা হয়, তাকে জললেখবিজ্ঞান বলে। জললেখবিজ্ঞানের মূল উদ্দেশ্য হল নিরাপদ নৌচলাচল সুনিশ্চিত করা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা, বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও পরিবেশ সুরক্ষা সহ অন্যান্য সমস্ত সামুদ্রিক কার্যকলাপকে সমর্থন করা। জললেখবিজ্ঞান বা হাইড্রোগ্রাফির প্রধান কাজগুলি হল — জলভাগের গভীরতা পরিমাপ করা (ব্যাথিমেট্রি) ; উপকূলরেখা বর্ণনা করা ; জোয়ার-ভাটা, সমুদ্র স্রোত ও সমুদ্র তরঙ্গ অধ্যয়ন করা ; জলের ভৌত ও রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য (লবণতা, উষ্ণতা, ঘনত্ব ইত্যাদি) বিশ্লেষণ করা ; নৌচলাচল মানচিত্র তৈরি করা ; সামুদ্রিক সম্পদ আহরণে তথ্যগত সাহায্য করা ; সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষাতে তথ্যগত সহায়তা করা ইত্যাদি।

উল্লেখ্য, হাইড্রোগ্রাফি ‘Maritime Cartography‘ নামেও পরিচিত। সামুদ্রিক নৌচলাচল, সামুদ্রিক নির্মাণ, ড্রেজিং, অফশোর বায়ু খামার, অফশোর তেল অনুসন্ধান ও খনন ইত্যাদি কার্যকলাপকে প্রভাবিত করে এরূপ বৈশিষ্ট্যগুলির পরিমাপ ও বর্ণনার বিজ্ঞানকে বলে হাইড্রোগ্রাফিক সমীক্ষা (Hydrographic Survey)। আধুনিক হাইড্রোগ্রাফিক সমীক্ষাতে Echo Sounder, Lead Line, Tide Gauge, GPS System, Sound Navigation and Ranging (SONAR), Airborne LiDAR, Acoustic Doppler Current Profilers (ADCPs), Unmanned Underwater Vehicles (UUVs) প্রভৃতি ব্যবহার করা হয়।

SSC Upper Primary TET Social Studies (Bengali Version)

গুরুত্বপূর্ণ দিবস : বিশ্ব শরণার্থী দিবস

One thought on “World Hydrography Day

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!