World Health Day
বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস (World Health Day)
আজ ৭ ই এপ্রিল (7 April), বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস (World Health Day)। প্রতি বছর ৭ ই এপ্রিল তারিখটি বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস রূপে পালিত হয়। উল্লেখ্য, ১৯৪৮ সালের ৭ ই এপ্রিল রাষ্ট্রসংঘের বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য সংস্থা হিসাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organization) গঠিত হয়। ১৯৪৮ সালে আয়োজিত প্রথম বিশ্ব স্বাস্থ্য পরিষদ (World Health Assembly) ৭ ই এপ্রিল তারিখটি বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস হিসাবে ঘোষণা করে। ১৯৫০ সালে প্রথমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালিত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালনের উদ্দেশ্য হল : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) -এর প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন করা এবং গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সমস্যাগুলির প্রতি বিশ্বব্যাপী দৃষ্টি আকর্ষণ করা। এবছর অর্থাৎ ২০২৫ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের থিম হল : ‘Healthy Beginnings, Hopeful Futures’।
স্বাস্থ্য (Health) হল কোনো ব্যক্তির শরীরের সেই অবস্থা, যা তার সম্পূর্ণ দৈহিক, মানসিক ও প্রাক্ষোভিক সম্পদকে কাজে লাগিয়ে সুন্দরভাবে দৈনন্দিন জীবনযাপন করতে সক্ষম হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-এর মতে, স্বাস্থ্য হল সম্পূর্ণ শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক সুস্থতার এক অবস্থা, শুধুমাত্র রোগ বা দুর্বলতার অনুপস্থিতি নয়। স্বাস্থ্য এক মৌলিক মানবাধিকার, যা ব্যক্তিগত সুস্থতা, গোষ্ঠীগত শক্তি ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্বাস্থ্যের প্রধানত ৫ টি নির্ধারক রয়েছে — (১) পুষ্টি (Nutrition) অর্থাৎ খাদ্য, আহার, রন্ধনপ্রণালী ইত্যাদি (২) জীবনশৈলী (Lifestyle) অর্থাৎ দৈনন্দিন রুটিন, রোজকার অনুশীলন ইত্যাদি (৩) পরিবেশ (Environment) অর্থাৎ পরিবেশের গুণমান, দূষণ ইত্যাদি (৪) জেনেটিক্স (Genetics) অর্থাৎ অধিবংশাণুবিজ্ঞান (Epigenetics), নিউট্রিজেনোমিকস্ (Nutrigenomics) ইত্যাদি (৫) চিকিৎসা সেবা (Medical Care) অর্থাৎ রোগ নির্ণয়, ওষুধ ইত্যাদি।
উল্লেখ্য, যেসব নিয়মাবলী ও অনুশীলন সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং রোগ সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়তা করে, তাদের স্বাস্থ্যবিধি (Hygiene) বলে। স্বাস্থ্যবিধি মূলত তিন প্রকার — (১) ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি : যেমন — নিয়মিত স্নান করা, খাওয়ার আগে ও পরে ভালোভাবে হাত ধোয়া, পরিষ্কার পোশাক পরা, মাথার চুল পরিষ্কার রাখা, দৈনিক দাঁত মাজা ইত্যাদি। (২) চিকিৎসাবিষয়ক স্বাস্থ্যবিধি : যেমন —সংক্রমিত ব্যক্তি বা বস্তুকে আলাদা রাখা, চিকিৎসাতে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি জীবাণুশূন্য করা, সংক্রমণ থেকে বাঁচতে আত্মরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ, ক্ষতস্থানে ব্যান্ডেজ ও ড্রেসিং করা, নিরাপদ স্থানে চিকিৎসা বর্জ্য ফেলা ইত্যাদি। (৩) খাদ্য স্বাস্থ্যবিধি : যেমন — খাদ্য তৈরির স্থান ও উপাদান পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখা, খাওয়ার ও রান্না করার পাত্র পরিষ্কার রাখা, যথাযথভাবে খাদ্য সংরক্ষণ করা ইত্যাদি।
সবার শরীর সুস্থ থাকুক।
Pingback: International Romani Day - ভূগোলিকা-Bhugolika