Monday, July 28, 2025

ভূগোলিকা-Bhugolika

ভূগোল শিক্ষার অনন্য প্রতিষ্ঠান

ভূগোলিকা-Bhugolika

ভূগোল শিক্ষার অনন্য প্রতিষ্ঠান

জুন

World Food Safety Day

বিশ্ব খাদ্য সুরক্ষা দিবস (World Food Safety Day)

World Food Safety Day

আজ ৭ ই জুন (7 June), বিশ্ব খাদ্য সুরক্ষা দিবস (World Food Safety Day)। প্রতি বছর ৭ ই জুন তারিখটি বিশ্ব খাদ্য সুরক্ষা দিবস রূপে পালিত হয়। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে কোডেক্স অ্যালিমেন্টারিয়াস কমিশন (Codex Alimentarius Commission) -এর ৩৯-তম অধিবেশনে বিশ্ব খাদ্য সুরক্ষা দিবস প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব গৃহীত হয়। ২০১৭ সালে খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO) এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) কর্তৃক বিশ্ব খাদ্য সুরক্ষা দিবস প্রতিষ্ঠা প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব গৃহীত হয়। ২০১৮ সালের ২০ শে ডিসেম্বর রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদ ৭ ই জুন তারিখটি বিশ্ব খাদ্য সুরক্ষা দিবস হিসাবে ঘোষণা করে। ২০১৯ সালের ৭ ই জুন প্রথমবার বিশ্ব খাদ্য সুরক্ষা দিবস পালিত হয়। বিশ্ব খাদ্য সুরক্ষা দিবস পালনের উদ্দেশ্য হল : অনিরাপদ খাদ্যের বিশ্বব্যাপী সমস্যা এবং মানব স্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীল উন্নয়নের উপর অনিরাপদ খাদ্যের প্রভাব তুলে ধরা। বিশ্ব খাদ্য সুরক্ষা দিবস পালনের লক্ষ্য হল খাদ্য সুরক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং খাদ্যজনিত ঝুঁকি প্রতিরোধ, শনাক্তকরণ ও পরিচালনার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণে অনুপ্রাণিত করা। এবছর অর্থাৎ ২০২৫ সালে বিশ্ব খাদ্য সুরক্ষা দিবসের থিম হল : ‘Food Safety : Science in Action’।

স্থিতিশীল উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে খাদ্য সুরক্ষা এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং বিশ্ব খাদ্য সুরক্ষা দিবস খাদ্যজনিত ঝুঁকি প্রতিরোধ, শনাক্তকরণ ও পরিচালনায় আলোকপাত করে। নিরাপদ খাদ্য অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে অবদান রাখে এবং কৃষি, বাজার অধিগমন, পর্যটন ও স্থিতিশীল উন্নয়নকে উৎসাহিত করে। পর্যাপ্ত পরিমাণে নিরাপদ খাদ্য জীবন এবং সুস্বাস্থ্যের উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি। খাদ্যবাহিত রোগগুলি সাধারণত সংক্রামক বা বিষাক্ত প্রকৃতির হয়, যা দূষিত খাদ্য বা জল/পানীয়ের মাধ্যমে মানব শরীরে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, পরজীবী বা রাসায়নিক পদার্থ প্রবেশের কারণে ঘটে। খাদ্যশৃঙ্খলের প্রতিটি পর্যায়ে — উৎপাদন থেকে শুরু করে ফসল সংগ্রহ, প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ, বন্টন, প্রস্তুতি ও ব্যবহার পর্যন্ত — খাদ্য নিরাপদ রাখতে খাদ্য সুরক্ষার এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের তথ্য অনুসারে, সারা বিশ্বে বার্ষিক আনুমানিক ৬০ কোটি খাদ্যবাহিত অসুস্থতার ঘটনা ঘটে। অনিরাপদ খাদ্য মানব স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির জন্য বিপদজনক, যা দুর্বল ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে, বিশেষত নারী ও শিশু, যুদ্ধ কবলিত জনগোষ্ঠী ও অভিবাসীদের প্রভাবিত করে। দূষিত খাদ্য গ্রহণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে আনুমানিক ৪,২০,০০০ মানুষের মৃত্যু ঘটে। ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে খাদ্যবাহিত রোগের ৪০% ঘটে থাকে এবং এই কারণে প্রতি বছর ১২৫,০০০ শিশুর মৃত্যু ঘটে।

খাদ্য সুরক্ষা (Food Safety) -এর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি হল — (১) পরিচ্ছন্নতা : খাবার প্রস্তুতকরণ ও পরিবেশনের আগে-পরে ভালোভাবে হাত ধোওয়া আবশ্যক। রান্নার স্থান পরিষ্কার রাখতে হবে এবং খাবার তৈরি ও পরিবেশনের জন্য প্রয়োজনীয় বাসনপত্র ও সামগ্রী পরিষ্কার রাখতে হবে। (২) পৃথকীকরণ : কাঁচা ও রান্না করা খাবার আলাদা রাখতে হবে। কাঁচা মাংস, মাছ ও ডিমকে রান্না করা খাবার থেকে আলাদা করে রাখতে হবে। কাঁচা খাবারের জন্য আলাদা বাসনপত্র ও সামগ্রী ব্যবহার করতে হবে। (৩) নিরাপদ সামগ্রী ব্যবহার : খাবার প্রস্তুতকরণের জন্য সর্বদা নিরাপদ সামগ্রী ব্যবহার করতে হবে। রান্নার কাজে বা খাবার প্রস্তুতিকরণে বিশুদ্ধ, দূষণমুক্ত জল ব্যবহার করতে হবে এবং কাঁচামাল ভালো করে যাচাই করতে হবে। (৪) সঠিক পদ্ধতিতে রান্না করা : যেকোনো খাবার সঠিক পদ্ধতিতে, ভালোভাবে রান্না করতে হবে। সঠিক তাপমাত্রায় রান্না করতে হবে এবং কাঁচা খাবারকে ভালোভাবে সিদ্ধ করতে হবে। (৫) সঠিকভাবে সংরক্ষণ : খাবার দীর্ঘ সময় ধরে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখা উচিত নয়। খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে রান্না করা খাবার সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা দরকার।

SSC Upper Primary TET Social Studies (Bengali Version)

গুরুত্বপূর্ণ দিবস : রুশ ভাষা দিবস

One thought on “World Food Safety Day

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!