WBBSE Madhyamik Geography Syllabus
পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ (WBBSE) মাধ্যমিক ভূগোল পাঠ্যসূচি
ভূগোলিকা-Bhugolika -এর ‘মাধ্যমিক ভূগোল’ বিভাগে আপনাকে স্বাগত জানাই। ‘মাধ্যমিক ভূগোল’ বিভাগের উদ্দেশ্য হল ভূগোল বিষয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতিতে সাহায্য করা। এই বিভাগে মাধ্যমিক পাঠ্যসূচি অনুসারে, ভূগোল বিষয়ের অধ্যায়ভিত্তিক সমস্ত রকম প্রশ্নোত্তর আলোচনা করা হয়। এই পোস্টে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ (WBBSE) প্রদত্ত ‘মাধ্যমিক ভূগোল পাঠ্যসূচি’ (WBBSE Madhyamik Geography Syllabus) সবিস্তারে আলোচনা করা হল।
মাধ্যমিক ভূগোল পাঠ্যসূচি — দশম শ্রেণী (সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি)
প্রথম অধ্যায় : বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ
দ্বিতীয় অধ্যায় : বায়ুমন্ডল
তৃতীয় অধ্যায় : বারিমন্ডল
চতুর্থ অধ্যায় : বর্জ্য ব্যবস্থাপনা
পঞ্চম অধ্যায় : ভারত
ষষ্ঠ অধ্যায় : উপগ্রহ চিত্র ও ভূ-বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র
• মানচিত্র (ভারত)
(WBBSE Madhyamik Geography Syllabus)
মাধ্যমিক ভূগোল পাঠ্যসূচি — দশম শ্রেণী (বিস্তারিত পাঠ্যসূচি)
প্রথম অধ্যায় : বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ
(১) বহির্জাত প্রক্রিয়া — সংক্ষেপে ভূমিরূপ গঠনে বহির্জাত প্রক্রিয়ার ভূমিকা।
(২) নদীর কাজ (ক্ষয়, বহন, সঞ্চয়) ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ — জলচক্রের একটি অংশ হিসেবে নদী ; নদী অববাহিকা, জলবিভাজিকা, নদীর গতিসমূহ ; নদীর কাজ : ক্ষয়, বহন ও সঞ্চয়ের বিভিন্ন পদ্ধতি ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ গঠনের কারণ বিশ্লেষণ ; ভূমিরূপ : V-আকৃতির উপত্যকা, শৃঙ্খলিত শৈলশিরা, গিরিখাত, ক্যানিয়ন, খরস্রোত, জলপ্রপাত, প্রপাতকূপ, মন্থকূপ, পললব্যজনী, নদীবাঁক (খাড়া পাড়, ঢালু পাড়), অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ (ক্ষয়, বহন ও সঞ্চয়ের মিলিত কাজের ফলে সৃষ্ট), প্লাবনভূমি, স্বাভাবিক বাঁধ, খাঁড়ি, ব-দ্বীপ (তীক্ষ্ণাগ্র, ধনুকাকৃতি, পাখির পায়ের মতো ব-দ্বীপ) ; নদীর মোহানায় ব-দ্বীপ সৃষ্টির কারণ — ব-দ্বীপ গঠনের অনুকূল পরিবেশ বিশ্লেষণ ; সক্রিয় ব-দ্বীপ অঞ্চলে (গঙ্গা-পদ্মা-মেঘনার সুন্দরবন) বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব, বিশ্ব উষ্ণায়ন কিভাবে এই অঞ্চলকে প্রভাবিত করছে সে সম্পর্কে সম্যক ধারণা ; লোহাচড়া, নিউমুর ও ঘোড়ামারা দ্বীপের বর্তমান পরিস্থিতি।
(৩) হিমবাহের কাজ (ক্ষয়, বহন, সঞ্চয়) ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ — হিমবাহের ধারণা, পৃথিবীতে স্বাদুজলের বৃহত্তম উৎস হিসেবে হিমবাহ ; হিমবাহের প্রকারভেদ (মহাদেশীয়, পার্বত্য, পাদদেশীয়) ; হিমরেখা, হিমশৈল ; ক্রেভাস ও বার্গস্রুন্ড (পর্বতারোহণে সমস্যা) ; ক্ষয়, বহন ও সঞ্চয় পদ্ধতি ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ গঠনের কারণ বিশ্লেষণ ; ভূমিরূপ : করি, এরিটি, পিরামিড চূড়া, কর্তিত শৈলশিরা, U-আকৃতির উপত্যকা বা হিমদ্রোণী, ঝুলন্ত উপত্যকা, রসে মোতানে, ক্র্যাগ ও টেল, ফিয়র্ড, গ্রাবরেখা (পার্শ্ব, মধ্য ও প্রান্ত গ্রাবরেখা) ; হিমবাহ ও জলধারার মিলিত কাজের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ : বহিঃবিধৌত সমভূমি, ড্রামলিন, এসকার, কেম, কেটল।
(৪) বায়ুর কাজ (ক্ষয়, বহন, সঞ্চয়) ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ — পৃথিবীর প্রধান প্রধান মরু অঞ্চল (মানচিত্র-সহ) ও উপকূল অঞ্চলে বায়ুর কার্যের প্রাধান্যের কারণ ; বালুকণা সৃষ্টির ধারণা ; বায়ুর কাজ : ক্ষয়, বহন ও সঞ্চয় পদ্ধতি ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ গঠনের কারণ বিশ্লেষণ ; ভূমিরূপ : অপসারণ গর্ত, গৌর, জিউগেন, ইয়ারদাং, ইনসেলবার্জ, বালিয়াড়ি (বাখান ও সিফ বালিয়াড়ি), লোয়েস ; বায়ু ও জলধারার মিলিত কাজের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ (ওয়াদি, পেডিমেন্ট, বাজাদা, প্লায়া) ; মরু অঞ্চলের প্রসারণ ও প্রতিরোধের উপায় (সাহারা ও থর মরুভূমির উদাহরণ)।
দ্বিতীয় অধ্যায় : বায়ুমন্ডল
(১) বায়ুমন্ডলের ধারণা, গঠন — বায়ুমন্ডল, বায়ুমন্ডলের বিভিন্ন উপাদান সম্পর্কে ধারণা।
(২) বায়ুমন্ডলের স্তরবিন্যাস (উপাদান ও উষ্ণতার ভিত্তিতে) — উপাদান ও উষ্ণতার তারতম্যের ভিত্তিতে বায়ুমন্ডলের স্তরবিন্যাসের ধারণা (চিত্রসহ ব্যাখ্যা) —ট্রপোস্ফিয়ার, স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার, মেসোস্ফিয়ার, আয়নোস্ফিয়ার, এক্সোস্ফিয়ার ও ম্যাগনেটোস্ফিয়ার ; ওজোন স্তরের গুরুত্ব ও ক্ষয়।
(৩) তাপ, উষ্ণতা ও বিশ্ব উষ্ণায়ন — ইনসোলেশন, তাপ বাজেট, বায়ুমন্ডল উত্তপ্ত হওয়ার পদ্ধতি ; তাপের পরিমাপ : সিক্সের থার্মোমিটার, সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন উষ্ণতা, গড় উষ্ণতা ও উষ্ণতার প্রসর (দৈনিক, মাসিক ও বার্ষিক) – প্রদত্ত সারণী থেকে নির্ণয় ; বায়ুমন্ডলীয় উষ্ণতার তারতম্যের কারণসমূহ (উদাহরণ সহ) – অক্ষাংশ, উচ্চতা (বৈপরীত্য উত্তাপের উল্লেখ), স্থলভাগ ও জলভাগের বণ্টন (সামুদ্রিক ও মহাদেশীয় জলবায়ুর উল্লেখ), বায়ুপ্রবাহ, সমুদ্রস্রোত, ভূমির ঢাল, মেঘাচ্ছন্নতা ও অধঃক্ষেপণ, স্বাভাবিক উদ্ভিদ, মৃত্তিকা, নগরায়ন ও শিল্পায়ন ; তাপমন্ডল, সমোষ্ণরেখা ও উষ্ণতার অনুভূমিক বণ্টন ; বিশ্ব উষ্ণায়ন – গ্রিনহাউস গ্যাসের ভূমিকা ; বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব – মেরু অঞ্চলের বরফের গলন ও পার্বত্য হিমবাহের গলন, সমুদ্রতলের উচ্চতা বৃদ্ধি, অধঃক্ষেপণের প্রকৃতি পরিবর্তন, শস্য উৎপাদনের হ্রাস-বৃদ্ধি, কৃষি পদ্ধতির পরিবর্তন, এলনিনো ও তার বৈশ্বিক প্রভাব, পৃথিবীর আগত ও বিকিরিত সৌর বিকিরণে বৈষম্য।
(৪) বায়ুচাপ বলয় ও বায়ুপ্রবাহ (নিয়ত বায়ুপ্রবাহ, স্থানীয় বায়ু, আকস্মিক বায়ু, ঘূর্ণবাত, প্রতীপ ঘূর্ণবাত) — বায়ুচাপের ধারণা, বায়ুচাপের পরিমাপ (টরিসেলির ব্যারোমিটার, ফোর্টিনের ব্যারোমিটার, অ্যানিরয়েড ব্যারোমিটার, অন্যান্য অত্যাধুনিক যন্ত্রের উল্লেখ) ; বায়ুমন্ডলীয় চাপের নিয়ন্ত্রকসমূহ (উচ্চতা, উষ্ণতা, জলীয় বাষ্প, পৃথিবীর আবর্তন, স্থলভাগ ও জলভাগের বণ্টন), সমচাপরেখা (বায়ুচাপ ঢাল ধারণার উল্লেখ) ; পৃথিবীর বায়ুচাপ বলয়, বায়ুচাপ বলয়ের অবস্থান পরিবর্তন ; বায়ুপ্রবাহ – নিয়ত বায়ু, সাময়িক বায়ু (স্থলবায়ু, সমুদ্রবায়ু, মৌসুমিবায়ু, পার্বত্য ও উপত্যকা বায়ু), স্থানীয় বায়ু (উষ্ণ – ফন, চিনুক, সিরোক্কো, লু ; শীতল – মিস্ট্রাল, বোরা), আকস্মিক বায়ু (ঘূর্ণবাত ও প্রতীপ ঘূর্ণবাত, ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাতের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা) ; জেটবায়ু, মৌসুমিবায়ুর সঙ্গে জেট বায়ুর সম্পর্ক।
(৪) আর্দ্রতা ও অধঃক্ষেপণ — জলচক্রের ধারণা, বাষ্পীভবন, আর্দ্রতা (চরম আর্দ্রতা, বিশেষ আর্দ্রতা, আপেক্ষিক আর্দ্রতা), সম্পৃক্ত বায়ু, শিশিরাঙ্ক, আর্দ্রতার পরিমাপ ; ঘনীভবন ও তার বিভিন্ন রূপ – শিশির, কুয়াশা, ধোঁয়াশা, মেঘ (শ্রেণীবিভাগ প্রয়োজন নেই), আবহাওয়া মানচিত্রে মেঘাচ্ছন্নতার প্রচলিত চিহ্ন ও প্রতীকের ব্যবহার ; অধঃক্ষেপণ – ধারণা, অধঃক্ষেপণের বিভিন্ন রূপের উল্লেখ, বৃষ্টিপাতের শ্রেণীবিভাগ, বৃষ্টিপাতের পরিমাপ ; বিশ্বের প্রধান জলবায়ু অঞ্চল – আর্দ্র নিরক্ষীয়, ক্রান্তীয় (মৌসুমি ও উষ্ণ মরু), উষ্ণ নাতিশীতোষ্ণ (ভূমধ্যসাগরীয়, স্তেপ, চিনদেশীয়), শীতল নাতিশীতোষ্ণ (পশ্চিম উপকুলীয় সামুদ্রিক, মহাদেশীয়, আর্দ্র নাতিশীতোষ্ণ), শীতল (তুন্দ্রা), [সারণী ও একটি পূর্ণ পৃষ্ঠার বিশ্ব মানচিত্রের মাধ্যমে], উষ্ণতা ও বৃষ্টিপাতের লেখচিত্রের সাহায্যে জলবায়ু ও গোলার্ধ শনাক্তকরণ (আর্দ্র নিরক্ষীয়, ক্রান্তীয় মৌসুমি, ক্রান্তীয় উষ্ণ মরু, ভূমধ্যসাগরীয়, তুন্দ্রা)।
তৃতীয় অধ্যায় : বারিমন্ডল
(১) সমুদ্রস্রোতের ধারণা, সমুদ্রস্রোত সৃষ্টির কারণ (বিভিন্ন মহাসাগরের সমুদ্রস্রোতসমূহের বিবরণ প্রয়োজন নেই), বিশ্বব্যাপী সমুদ্রস্রোতের বিশেষ প্রভাব — সমুদ্রস্রোতের ধারণা (তরঙ্গের সাথে তুলনা), প্রকারভেদ – উষ্ণ ও শীতল স্রোত ; সমুদ্রস্রোত সৃষ্টির কারণ – পৃথিবীর আবর্তন, বায়ুপ্রবাহ, সমুদ্রজলের উষ্ণতাও ও লবণতা, সমুদ্রজলের ঘনত্ব, বরফের গলন, উপকূলের আকৃতি, ঋতুভেদ ; পৃথিবীতে সমুদ্রস্রোতের প্রভাব – মগ্নচড়া সৃষ্টি ও তার বাণিজ্যিক গুরুত্ব, উপকূলীয় জলবায়ু, জলবায়ুর পরিবর্তন (একটি পূর্ণ পৃষ্ঠার বিশ্ব মানচিত্রে বিভিন্ন মহাসাগরের সমুদ্রস্রোত প্রদর্শন)।
(২) জোয়ার-ভাটার ধারণা, উৎপত্তি ও প্রভাব —জোয়ার-ভাটার ধারণা, জোয়ার-ভাটার সৃষ্টির কারণ, মুখ্য জোয়ার, গৌণ জোয়ার, জোয়ার-ভাটার সময়ের ব্যবধান, ভরা কোটাল, মরা কোটাল, সিজিগি, অ্যাপোজি, পেরিজি, বানডাকা ; জোয়ার-ভাটার প্রভাব ও ফলাফল।
(WBBSE Madhyamik Geography Syllabus)
চতুর্থ অধ্যায় : বর্জ্য ব্যবস্থাপনা
(১) বর্জ্যের ধারণা — স্থানীয় স্তরে প্রাপ্ত বর্জ্যের উল্লেখপূর্বক বর্জ্যের ধারণা ; প্রকারভেদ – কঠিন, তরল, গ্যাসীয়, বিষাক্ত ও বিষহীন বর্জ্য ; বর্জ্যের উৎস ও তার প্রভাব।
(২) সংক্ষেপে বর্জ্যের উৎসের ধারণা — গৃহস্থালির বর্জ্য, শিল্প বর্জ্য, কৃষিজ বর্জ্য, পৌরসভার বর্জ্য, জৈব বর্জ্য, চিকিৎসা সংক্রান্ত বর্জ্য, তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ; পরিবেশের ওপর বর্জ্যের প্রভাব।
(৩) বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পদ্ধতি ও গুরুত্ব — বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ধারণা – বর্জ্যের পরিমাণগত হ্রাস, পুনর্ব্যবহার, পুনর্নবীকরণ ; কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় বর্জ্য নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনার পদ্ধতি – বর্জ্য পৃথকীকরণ (জৈব ভঙ্গুর ও জৈব অভঙ্গুর), ভরাটকরণ, কম্পোস্টিং, নিষ্কাশন, স্ক্রাবার ; বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা ; বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীর ভূমিকা ; ভাগীরথী-হুগলি নদীর ওপর বর্জ্যের প্রভাব – এক বিষয় অধ্যয়ন।
পঞ্চম অধ্যায় : ভারত
ভারত — ভূমিকা
(১) অবস্থান ও প্রশাসনিক বিভাগ — ভৌগোলিক অবস্থান, বিস্তৃতি, সীমানা ; স্বাধীনতা পরবর্তী ভারতে রাজ্যগুলির সীমানা বিন্যাসের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ; ভারতের বর্তমান রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল।
ভারত — প্রাকৃতিক পরিবেশ
(২) ভারতের ভূপ্রকৃতি — ভারতের ভূপ্রাকৃতিক বিভাগ – উত্তরের পার্বত্য অঞ্চল, উত্তরের সমভূমি অঞ্চল, উপদ্বীপীয় মালভূমি অঞ্চল, উপকূলীয় সমভূমি, দ্বীপপুঞ্জ ; ভূ-প্রাকৃতিক বিভাগগুলির গুরুত্ব।
(৩) ভারতের জলসম্পদ — ভারতের জলসম্পদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় – নদনদী (শুধুমাত্র গঙ্গা, সিন্ধু, ব্রহ্মপুত্র, নর্মদা, তাপ্তি, মহানদী, গোদাবরী, কৃষ্ণা, কাবেরীর গতিপথ বর্ণনা) ; হ্রদ, জলাশয়, খালের বণ্টন ও মানবজীবনে তাদের গুরুত্ব ; জলসেচের বিভিন্ন মাধ্যম (কূপ, নলকূপ, খাল), সুবিধা ও অসুবিধা, ভৌমজলের অতিরিক্ত ব্যবহার ও তার প্রভাব ; বহুমুখী নদী-উপত্যকা পরিকল্পনা – প্রধান কয়েকটি নদী উপত্যকা পরিকল্পনার উল্লেখ ; দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন – এক বিষয় অধ্যয়ন ; জলের সংরক্ষণ – গুরুত্ব ও পদ্ধতি (জলবিভাজিকা উন্নয়ন, বৃষ্টির জল সংরক্ষণ) ; বৃষ্টির জল সংরক্ষণে তামিলনাড়ুর অগ্রণী ভূমিকা – এক বিষয় অধ্যয়ন।
(৪) ভারতের জলবায়ু — ভারতের জলবায়ুতে আঞ্চলিক বৈচিত্র্য ; ভারতের জলবায়ুর নিয়ন্ত্রকসমূহ – অবস্থান ও অক্ষাংশগত বিস্তৃতি, হিমালয় পর্বতের ভূমিকা, ভূ-প্রকৃতি, সমুদ্র থেকে দূরত্ব (মহাদেশীয়তা), মৌসুমি বায়ু, জেট বায়ু, ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত ও পশ্চিমী ঝঞ্ঝা, এল নিনো ও লা নিনার প্রভাব ; মৌসুমি বায়ু ও ভারতের ঋতুবৈচিত্র্য – গ্রীষ্মকাল, বর্ষাকাল, মৌসুমি বায়ুর প্রত্যাবর্তনকাল, শীতকাল ; মৃত্তিকা, স্বাভবিক উদ্ভিদ, কৃষিকাজের ওপর মৌসুমি বৃষ্টিপাতের প্রভাব (বন্যা ও খরার উল্লেখ)।
(৫) ভারতের মৃত্তিকা — মৃত্তিকার শ্রেণীবিভাগ (পলি মৃত্তিকা, কৃষ্ণ মৃত্তিকা, লোহিত মৃত্তিকা, ল্যাটেরাইট মৃত্তিকা, মরু মৃত্তিকা, পার্বত্য মৃত্তিকা), উপাদান, বৈশিষ্ট্য (রং, গ্রথন, খনিজের উপস্থিতি, সংশ্লিষ্ট শস্য), আঞ্চলিক বণ্টন ; মৃত্তিকা ক্ষয়, মৃত্তিকা ক্ষয়ের কারণ (প্রবহমান জলধারা, বায়ুপ্রবাহ, বৃষ্টিপাতের প্রকৃতি, ভূ-প্রকৃতি, ভূমির ওপর অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপ, অনিয়ন্ত্রিত পশুচারণ, অবৈজ্ঞানিক খনন, ভূমিধ্বস, বৃক্ষচ্ছেদন, প্রথাগত কৃষি পদ্ধতি), মৃত্তিকা ক্ষয়ের অঞ্চল ; মৃত্তিকা ক্ষয়ের ফলাফল – উর্বর মৃত্তিকার উপরিস্তরের অপসারণ, ভৌমজলতলের উচ্চতা হ্রাস এবং মৃত্তিকার আর্দ্রতার পরিমাণ হ্রাস, মরু অঞ্চলের প্রসারণ, বন্যা ও খরার প্রবণতা বৃদ্ধি, খাল ও নদীতে পলিসঞ্চয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি, ভূমিধ্বস বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও সাংস্কৃতিক উন্নতিতে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি ; মৃত্তিকা ক্ষয় প্রতিরোধ ও সংরক্ষণ – বৃক্ষরোপণ, ধাপ চাষ, সমোন্নতিরেখা চাষ, ফালি চাষ, খাত চাষ, ঝুম চাষ প্রতিরোধ।
(৬) ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদ — স্বাভাবিক উদ্ভিদের শ্রেণীবিভাগ (ক্রান্তীয় চিরহরিৎ অরণ্য, ক্রান্তীয় পর্ণমোচী অরণ্য, ক্রান্তীয় মরু অরণ্য, পার্বত্য অরণ্য ও উপকূলীয় অরণ্য), আঞ্চলিক বণ্টন, বৈশিষ্ট্য, ব্যবহার ; অরণ্য সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা ও তার মাপকাঠি – নির্বিচারে বন উজাড় নিষিদ্ধ, অপরিণত বৃক্ষচ্ছেদন হ্রাস, জ্বালানি কাঠের পরিবর্তে বিকল্প শক্তির উৎসের ব্যবহার, দাবানল প্রতিরোধ, রাসায়নিক ও জৈবিক উপায়ে অরণ্য বৃক্ষের রোগ প্রতিরোধ, পশুচারণ নিয়ন্ত্রণ, বনসৃজন ও পুনর্বনসৃজন, অরণ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিণত ও নির্বাচিত বৃক্ষচ্ছেদন কর্মসূচি গ্রহণ, মানুষের অংশগ্রহণ ; সামাজিক বনসৃজন ও কৃষি বনসৃজন।
(WBBSE Madhyamik Geography Syllabus)
ভারত — অর্থনৈতিক পরিবেশ
(১) ভারতের কৃষি — ভারতের কৃষির বৈশিষ্ট্য, প্রকারভেদ (ফসল ও ঋতু অনুসারে), প্রধান কৃষিজ ফসলের উৎপাদন ও বণ্টন (ধান, গম, মিলেট, আখ, কার্পাস, চা, কফি) ; ভারতের কৃষির প্রধান বৈশিষ্ট্য (জীবিকাসত্তাভিত্তিক কৃষি, জনসংখ্যার চাপ, কৃষিতে পশুশক্তির প্রাধান্য, মৌসুমি বায়ুর ওপর নির্ভরতা, জলসেচের ব্যবহার, ক্ষুদ্রাকৃতি জমিজোত, কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার, খাদ্যশস্যের প্রাধান্য, পশুখাদ্য শস্যের নগণ্য স্থান, খাদ্যশস্যের বৈচিত্র্য) ; ব্যবহার অনুসারে ফসলের শ্রেণীবিভাগ – খাদ্যশস্য, তন্তুশস্য, বাগিচা শস্য, অন্যান্য ; ঋতু অনুযায়ী শ্রেণীবিভাগ – খারিফ, রবি, জায়িদ শস্য ; প্রধান কৃষিজ ফসলের অনুকূল ভৌগোলিক (প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক) পরিবেশ, বণ্টন, উৎপাদন, বাণিজ্য ; ভারতীয় কৃষির সমস্যা ও সমাধান ; পাঞ্জাব, হরিয়ানার কৃষি উন্নতির কারণ – এক বিষয় অধ্যয়ন।
(২) ভারতের শিল্প — লৌহ-ইস্পাত শিল্প, কার্পাস বয়ন শিল্প, পূর্ত/ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প, পেট্রো রসায়ন শিল্প, মোটরগাড়ি শিল্প, তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প ; শিল্প গড়ে ওঠার কারণ (কাঁচামাল, জল, বিদ্যুৎ, পরিবহণ, শ্রমিক, বাজার, মূলধন ইত্যাদির গুরুত্ব), বিশুদ্ধ ও অবিশুদ্ধ কাঁচামালের ধারণা ; কাঁচামালের প্রকৃতি অনুসারে শিল্পের শ্রেণীবিভাগ (কৃষি-ভিত্তিক, প্রাণী-ভিত্তিক, বন-ভিত্তিক, খনিজ-ভিত্তিক) ; উল্লেখ্য শিল্পগুলি গড়ে ওঠার কারণ (তাদের অবস্থান/বন্টন উল্লেখ সহ)।
(৩) ভারতের জনসংখ্যা — সংক্ষেপে জনগণনা ও জনমিতিক বৈশিষ্ট্য, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, স্থিতিশীল উন্নয়ন, জনসংখ্যা বণ্টনে তারতম্যের কারণ, জনঘনত্ব, নগরায়ন, নগরায়নের সমস্যা ; জনগণনার সাধারণ ধারণা, ভারতের জনসংখ্যা সম্পর্কে প্রাথমিক জনমিতিক তথ্য (মোট জনসংখ্যা, পুরুষ, মহিলা, বার্ষিক ও দশকীয় জনবৃদ্ধি হার, প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যা, অপ্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যা, নির্ভরশীল জনসংখ্যা, সাক্ষরতা হার, কর্মহীন জনসংখ্যা, প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল, শিশুমৃত্যু হার, প্রাথমিক, সহায়ক, পরিষেবা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে নিযুক্ত জনসংখ্যার শতাংশ – শুধুমাত্র সংখ্যা, ২০১১ জনগণনা অনুসারে) ; জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও স্থিতিশীল উন্নয়ন ; ভারতে জনসংখ্যা বন্টনে তারতম্যের কারণ ; জনঘনত্বের ধারণা ; জীবনধারণের উপযোগী অনুকূল পরিবেশে জনসমাবেশের ফলে শহর, নগর গড়ে ওঠার কারণ ; ভারতে নগরায়নের সমস্যা – অপরিকল্পিত নগরায়ণ, মানুষের শহরে বসবাস প্রবণতা, পরিকাঠামোর অভাব (আবাসন, পরিহবহণ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিদ্যুৎ, জলনিকাশি ব্যবস্থা সম্পর্কিত সমস্যা)।
(৪) ভারতের পরিবহণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা — পরিবহণের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যমসমূহ, ভারতের প্রধান সামুদ্রিক বন্দর ও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসমূহ ; পরিবহণের গুরুত্ব ; পরিবহণের মাধ্যমসমূহ, রেলপথ ও সড়কপথ (সোনালি চতুর্ভুজ, উত্তর-দক্ষিণ ও পূর্ব-পশ্চিম করিডর, জাতীয় সড়কপথ, রাজ্য সড়কপথ)-এর গুরুত্ব ; জলপথ (অভ্যন্তরীণ ও সামুদ্রিক, প্রধান সামুদ্রিক বন্দর) ; আকাশপথ (জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অবস্থান) ; অন্যান্য পরিবহণ মাধ্যম – রজ্জুপথ, নলপথ, ভূগর্ভস্থ রেলপথের গুরুত্ব ; আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা – ইন্টারনেট, ই-মেল, সেল ফোন ইত্যাদি।
ষষ্ঠ অধ্যায় : উপগ্রহ চিত্র ও ভূ-বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র
উপগ্রহচিত্র ও ভূ-বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র (ধারণা, পার্থক্য, ভূ-বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রে স্কেলের ব্যবহার, উপগ্রহ চিত্রের বৈশিষ্ট্য ও ব্যবহার) — উপগ্রহ চিত্র ও ভূ-বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রের সাধারণ ধারণা ; উপগ্রহ চিত্র ও ভূ-বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রের মধ্যে পার্থক্য ; উপগ্রহ চিত্রের বৈশিষ্ট্য ও ব্যবহার ; ভূ-বৈচিত্রসূচক মানচিত্রে বিভিন্ন প্রকার স্কেলের ব্যবহার ; উপগ্রহ চিত্র তোলার বিভিন্ন পর্যায় ; উপগ্রহ চিত্রের বৈশিষ্ট্য ; উপগ্রহ চিত্রের ব্যবহার ও গুরুত্ব।
• মানচিত্র (ভারত)
ভারতের রেখা মানচিত্রে ভৌগোলিক বিষয়গুলির উপযুক্ত প্রতীক ও নাম-সহ চিহ্নিতকরণ — ভারতের রাজধানী ; ভারতের রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ; ভারতের রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের রাজধানী ; ভারতের ভূপ্রাকৃতিক বিভাগ ; ভারতের পর্বতশ্রেণী, ভারতের পাহাড় শ্রেণী, ভারতের শৃঙ্গ ; ভারতের সমভূমি ; ভারতের মালভূমি ; ভারতের উপকূলীয় সমভূমি ; ভারতের উপকূল ; ভারতের দ্বীপ ও দ্বীপপুঞ্জ ; ভারতের নদনদী ; ভারতের হ্রদ ; ভারতের নদীবাঁধ ও জলাধার ; ভারতের জলবায়ু অঞ্চল ; ভারতের উষ্ণতম, শীতলতম, শুষ্কতম, আর্দ্রতম স্থান ; ভারতের মৃত্তিকা অঞ্চল ; ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদ অঞ্চল ; ভারতের কৃষিজ ফসল উৎপাদক অঞ্চল ; ভারতের শিল্পকেন্দ্র, বিদ্যুৎকেন্দ্র ; ভারতের শহর ও নগর ; ভারতের গুরুত্বপূর্ণ পরিবহণ কেন্দ্র (রেল স্টেশন, বন্দর, বিমানবন্দর) ইত্যাদি।
(WBBSE Madhyamik Geography Syllabus)
উচ্চ মাধ্যমিক ভূগোল নির্যাস [XI : Semester-I]
উচ্চ মাধ্যমিক ভূগোল নির্যাস [XI : Semester-II]
আপনি কি ভৌগোলিক প্রবন্ধ পড়তে পছন্দ করেন? তাহলে পড়ুন 🔽
ভৌগোলিক প্রবন্ধ : প্রসঙ্গ – মেঘেদের পরিচিতি
ভৌগোলিক প্রবন্ধ : মাজুলি – ভারতের বৃহত্তম নদী দ্বীপ
ভৌগোলিক প্রবন্ধ : প্রসঙ্গ – সুন্দরবনের মাছ
Thank You
Pingback: Madhyamik Geography - Question Pattern - ভূগোলিকা-Bhugolika