Topic – Description of Clouds
প্রসঙ্গ – মেঘেদের পরিচিতি
ভূগোলিকা-Bhugolika -এর ‘ভৌগোলিক প্রবন্ধ’ বিভাগে আপনাকে স্বাগত জানাই। ভৌগোলিক প্রবন্ধে আমরা ভূগোলের নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর বিস্তারিত তথ্য পেয়ে থাকি, যা আমাদের ভৌগোলিক জ্ঞানের বিকাশে সহায়ক হয়। আজকের ভৌগোলিক প্রবন্ধ : Topic – Description of Clouds । আশাকরি, এই প্রবন্ধের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন প্রকার মেঘ সম্পর্কে বিশদ তথ্য পাবেন।

বিশ্ব ব্রহ্মান্ডে যা কিছু, তার সৃষ্টিকর্তা প্রকৃতি নিজে। এই সৃষ্টিকে কেন্দ্র করে চলেছে কত গবেষণা কত সাধনা। মেঘেদের সৃষ্টিও তাই এক অপূর্ব এবং আশ্চর্যের বিষয়। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখনীতে ধরা দিয়েছে মেঘের ভিন্ন ভিন্ন রূপ। ‘মন মোর মেঘের সঙ্গী/উড়ে চলে দিক দিগন্তের পানে’, আবার কখনও বলেছেন, ‘নীল আকাশে কে ভাসালে/সাদা মেঘের ভেলা রে ভাই/লুকোচুরি খেলা’। কখনও বা মেঘের রূদ্ররূপ দেখে কবি লিখেছেন, ‘গগনে গরজে মেঘ, ঘন বরষা’। কম করে ১০০ টিরও বেশি রয়েছে মেঘের নাম। রয়েছেন অনেক মেঘ পাগল মানুষ, মেঘ দেখা তাদের শখ। এই শখকে তারা বলেন ‘ক্লাউডস্পটিং’ (Cloudspotting)। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে এমন এক সংগঠনের নাম ক্লাউড অ্যাপ্রিসিয়েশন সোসাইটি (Cloud Appreciation Society), যার প্রতিষ্ঠাতা হলেন গ্যাভিন প্রেটর পিনেই (Gavin Pretor Pinney)।
এই সব মেঘেদের ধরনের, আকার, উৎপত্তি নিয়ে আবহবিদ্যার যে শাখায় গবেষণা করা হয় তার নাম ‘নেফোলজি’ (Nephology) অর্থাৎ মেঘবিজ্ঞান। ব্রিটিশ রসায়নবিদ ও আবহবিদ লিউক হাওয়ার্ড ১৮০২ সালে প্রথম মেঘের শ্রেণীবিভাগ করেন। ১৮৯৪ সালে WMO-এর ‘International Clouds Atlas’ উচ্চতা, আকৃতি ও গঠনের ভিত্তিতে ১০ রকম মেঘের পরিচয় দেয়। পরবর্তীতে International Cloud Code-এ ২৮ রকম মেঘের কথা বলা হয়েছে। (Topic – Description of Clouds)
মেঘ কি? সাধারণভাবে বায়ুমন্ডলে ভাসমান অতিসূক্ষ্ম জলকণা বা তুষারকণার সমষ্টিকে মেঘ বলে। উচ্চতার ভিত্তিতে মেঘকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়। যথা — (১) উচ্চ আকাশের মেঘ (ভূপৃষ্ঠ থেকে ৬/৭ কিমি উচ্চতার উর্দ্ধে অবস্থান), (২) মধ্য আকাশের মেঘ (ভূপৃষ্ঠ ২-৬/৭ কিমি উচ্চতার মধ্যে অবস্থান), (৩) নিম্ন আকাশের মেঘ (ভূপৃষ্ঠ থেকে ২ কিমি উচ্চতার মধ্যে অবস্থান), (৪) উল্লম্ব মেঘ (ভূপৃষ্ঠ থেকে উল্লম্বভাবে বিস্তৃত)। (Topic – Description of Clouds)
ভৌগোলিক প্রবন্ধ : প্রকৃতির স্বর্গরাজ্য নীলগিরি
(১) উচ্চ আকাশের মেঘ:
এই মেঘের বিভাগ ও উপবিভাগগুলি নিম্নরূপ —
(ক) অলক মেঘ বা সিরাস (Cirrus): উচ্চ আকাশের মেঘ। ল্যাটিন শব্দ ‘সিরাস’ থেকে নামকরণ, যার অর্থ কেশগুচ্ছ। সাদা রঙের হয়। এই মেঘে সাধারণত বৃষ্টিপাত হয় না। এই মেঘকে ‘Mare’s Tail Cloud’ বলা হয়। এই মেঘের প্রকারগুলি হল — (১) Cirrus Fibratus: পাতলা তন্তুর মতো আকাশ জুড়ে বিস্তৃত। এই প্রকৃতির সিরাস মেঘ সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। (২) Cirrus Uncinus: জালের মতো ফালি ফালি ভাবে উচ্চ আকাশে ভেসে বেড়ায়। (৩) Cirrus Spissatus: সমস্ত সিরাস মেঘেদের মধ্যে ঘন হয় এবং অনেক উঁচুতে থাকে। (৪) Cirrus Floccus: তুলোর মতো উচ্চ আকাশে অবস্থান করে। (৫) Cirrus Castellanus: উচ্চাকাশে উল্লম্বভাবে গম্বুজের মতো অবস্থান করে।
(খ) অলকস্তূপ মেঘ বা সিরোকিউমুলাস (Cirrocumulus): এই মেঘ ম্যাকারেল মাছের কাঁটার বিন্যাসে সারিবদ্ধভাবে আকাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে অবস্থান করে। এই মেঘ সাদা বর্ণের ও পাতলা হয়। এই মেঘকে ‘Makeral Cloud’ বলা হয়। এই মেঘের প্রকারগুলি হল — (১) Cirrocumulus Stratiformis: মাছের আঁশের বিন্যাসে আকাশে ছড়িয়ে থাকে। (২) Cirrocumulus Lenticularis: বৃহদাকারের বৃত্তাকার মেঘ। (৩) Cirrocumulus Floccus: ছেঁড়া ছেঁড়া ভাবে অন্য মেঘেদের থেকে বিচ্ছিন্নভাবে অবস্থান করে। (৪) Cirrocumulus Castellanus: ছোটো ছোটো টাওয়ারের মতো উল্লম্ব ভাবে অবস্থান করে।
(গ) অলকস্তর মেঘ বা সিরোস্ট্র্যাটাস (Cirrostratus): উচ্চ আকাশের একধরনের স্বচ্ছ মেঘ। চাঁদ ও সূর্যের চারিদিকে বর্ণবলয় তৈরি করে। এই মেঘ আকাশে রামধনু সৃষ্টি করে। এই মেঘের প্রকারগুলি হল — (১) Cirrostratus Fibratus: কিছুটা সিরাস মেঘের মতো পাকানো পশমের মতো দেখতে। (২) Cirrostratus Nebulosus: বৈচিত্র্যহীন অস্বচ্ছ ঘোমটার আকারে আকাশকে ঢেকে রাখে।
ভৌগোলিক প্রবন্ধ : প্রসঙ্গ – বাংলাদেশের সংখ্যালঘু জনসংখ্যা
(২) মধ্যম আকাশের মেঘ:
এই মেঘের বিভাগ ও উপবিভাগগুলি নিম্নরূপ —
(ক) স্তূপ মেঘ বা অল্টোকিউমুলাস (Altocumulus): দেখতে সুন্দর এই মেঘ মধ্য আকাশের সবচেয়ে উঁচুতে অবস্থান করে। তুলোর গুটির মতো বা পাকানো পশমের মতো এরা আকাশে ছেয়ে থাকে। সাদা ও ধূসর রঙের হয়। এই মেঘ ‘পশম মেঘ’ নামেও পরিচিত। এই মেঘের প্রকারগুলি হল — (১) Altocumulus Stratiformis: ছোট ছোট টুকরো অথচ সংযুক্ত অবস্থায় স্ফীত আকারে অবস্থান করে। (২) Altocumulus Lenticularis: সাধারণত পাহাড়ি অঞ্চলে উত্তল লেন্সের আকারে অবস্থান করে।অনেক UFO এর মতো দেখতে। এই মেঘকে তাই ‘Spaceship Cloud’ বলা হয়। (৩) Altocumulus Castellanus: খানিকটা লম্বা ধোঁয়াটে প্রশস্ত চেহারার মেঘ। বজ্রপাত ঘটায়। এই মেঘকে ‘Jellyfish Cloud’ বলা হয়। (৪) Altocumulus Floccus: অন্যান্য অল্টোকিউমুলাস মেঘের তুলনায় ঘন ও শক্তিশালী হয়।
(খ) স্তরমেঘ বা অল্টোস্ট্র্যাটাস (Altostratus): বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এই বিশালাকৃতি মেঘে প্রচুর জলকণা থাকে। এর রঙ নীলাভ সাদাটে। এই মেঘ গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ঘটায়। এই মেঘের প্রকারগুলি হল — (১) Altostratus Undulatus: তরঙ্গের মতো দেখতে, মধ্য বায়ুমন্ডলীয় অস্থিতিশীলতার নির্দেশ দেয়। (২) Altostratus Duplicates:- দুই বা ততোধিক স্তর একে অপরের ওপর অবস্থান করে। (৩) Altostratus Pannus: কাটা কাপড়ের মতো বিশৃঙ্খল ভাবে ভেসে থাকে। (৪) Altostratus Translucidus: তুলনামূলক ভাবে স্বচ্ছভাবে আকাশকে ঢেকে রাখে। (৫) Altostratus Radiatus: প্রশস্ত ও দিগন্ত রেখার সমান্তরালে অবস্থান করে। (৬) Altostratus Mamma: বৃত্তাকার বাটির মতো দেখতে, ঝুলন্ত মনে হয়। (৭) Altostratus Opacus: স্যাঁতসেঁতে বৃষ্টির দিনে এই মেঘ দেখা যায়।
(গ) নিম্বোস্ট্র্যাটাস (Nimbostratus): ল্যাটিন শব্দ ‘নিম্বাস’ (Nimbus) থেকে নামকরণ, যার অর্থ বৃষ্টি। মধ্য আকাশের মেঘ হলেও এদের নিম্ন আকাশেও দেখা যায়। ধূসর ছাই ও কালচে রঙের এই মেঘ প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত ও তুষারপাত ঘটায়। তাই এই মেঘকে ‘Rain Cloud’ বল হয়।
ভৌগোলিক প্রবন্ধ : ধনিয়াখালির তাঁত শিল্প
(৩) নিম্ন আকাশের মেঘ:
এই মেঘের বিভাগ ও উপবিভাগগুলি নিম্নরূপ —
(ক) স্ট্র্যাটোকিউমুলাস (Stratocumulus): এই মেঘ ভূপৃষ্ঠ থেকে ২.৫-৩ কিমি উচ্চতায় অবস্থান করে। সাদা রঙের এই মেঘ পরিষ্কার আবহাওয়া নির্দেশ করে। এই মেঘের প্রকারগুলি হল — (১) Stratocumulus Stratiformis: সমতল পৃষ্ঠের মতো অবস্থান করে। (২) Stratocumulus Cumulogenitus: যখন কিউমুলাস মেঘে তাপমাত্রার বৈপরীত্য সৃষ্টি হয়, তখন এই মেঘ গঠিত হয়। ঘন ও পুরু হয়। (৩) Stratocumulus Castellanus: অত্যধিক পুরু ও ঘনীভূত মেঘ। (৪) Stratocumulus Lenticularis: পার্বত্য অঞ্চলে লেন্সের আকারে তরঙ্গায়িত ভাবে অবস্থান করে।
(খ) স্ট্র্যাটাস (Stratus): এই মেঘ গভীর ও ধূসর রঙের ঘনীভূত কুয়াশার মতো, পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে স্বল্প উচ্চতায় অবস্থান করে। এর প্রকারগুলি হল — (১) Stratus Fractus: তন্তুর মতো ফিতার আকারে দেখতে। বাতাসের সাথে এরা স্থান পরিবর্তন করতে থাকে। (২) Stratus Nebulosus: আর্দ্র আবহাওয়ার ধূসর ও স্থিতিশীল মেঘ। বৃষ্টিপাতের পর দেখা যায়। (৩) Stratus Opacus: এই ধরনের মেঘ সম্পূর্ণভাবে চাঁদ ও সূর্যকে ঢেকে রাখে। (৪) Stratus Undulatus: তরঙ্গের মতো অবস্থান করে। অস্থিতিশীল দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া চিহ্নিত করে। (৫) Stratus Precipitatious: হালকা তুষারপাত ও মাঝারি বৃষ্টিপাত ঘটায়। (৬) Stratus Translucidus: পাতলা ওড়নার মতো পুরো আকাশে ছেয়ে থাকে।
ভৌগোলিক প্রবন্ধ : কাওয়াহ ইজেন – নীল শিখা আগ্নেয়গিরি
(৪) উল্লম্ব আকৃতির মেঘ:
এই মেঘের বিভাগ ও উপবিভাগ গুলি নিম্নরূপ —
(ক) কিউমুলাস (Cumulus): এই মেঘ পাহাড় বা উচ্চ টাওয়ারের মতো উল্লম্ব ভাবে বিস্তৃত থাকে। এই মেঘের উপরের অংশ অনেকটা ফুলকপির মতো দেখতে হয়। এই মেঘের প্রকারগুলি হল — (১) Cumulus Humilis: সারা আকাশে ছোটো ছোটো টাওয়ারের মতো অবস্থান করে। (২) Cumulus Mediocris: সুষম আকৃতির কিউমুলাস মেঘ। (৩) Cumulus Congestus: চিমনির মতো আকৃতি বিশিষ্ট। (৪) Cumulus Fractus: অবশিষ্ট মেঘের মতো বিশৃঙ্খল ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে অবস্থান করে।
(খ) কিউমুলোনিম্বাস (Cumulonimbus): এই মেঘ সুউচ্চ টাওয়ারের মতো অবস্থান করে। এদের উল্লম্ব বিস্তার কখনও কখনও ১০-১২ কিলোমিটার পর্যন্ত হয়। এই মেঘ বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারী বৃষ্টিপাত ও শিলা বৃষ্টি ঘটায়। তাই এই মেঘকে ‘Thunder Cloud’ বলা হয়। এই মেঘের প্রকারগুলি হল — (১) Cumulonimbus Calvus: বরফের স্ফটিকের মতো উঁচু টাওয়ারের আকারে অবস্থান করে। (২) Cumulonimbus Capillatus: ছোটো তন্তুর মতো দেখতে। এই অবস্থায় জলের ফোঁটা জমাট বাঁধতে শুরু করে। (৩) Cirrucumulus Incus: এই মেঘের শীর্ষদেশ কিছুটা চ্যাপ্টা দেখতে হয়।
(Topic – Description of Clouds)
ভৌগোলিক প্রবন্ধ : সুন্দরবনের ড্যাম্পিয়ার-হজেস রেখা
বিশেষ বৈশিষ্ট্যযুক্ত অন্যান্য মেঘ (Special Clouds):
(১) Contrails Clouds: এই ধরনের মেঘ উচ্চ আকাশে জেট বিমানের দ্বারা তৈরি হয়। জলীয়বাষ্প দ্রুত জমাট বেঁধে তৈরি হয়। এই মেঘ থেকে আর্দ্রতার স্তর সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়। (২) Mammatus Clouds: মধ্য ও নিম্ন আকাশের ঝুলন্ত আকৃতির গোলাকার মেঘ। মেঘের মধ্যে শীতল বায়ু প্রবেশ করলে এইরকম আকার ধারণ করে। সাধারণত তীব্র আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেয়। (৩) Orographic Clouds: পাহাড়ি অঞ্চলে পাহাড়গুলোকে ঘিরে অবস্থান করে। সমুদ্রের আর্দ্রতায় তৈরি এই মেঘ পাহাড়ের ঢালে বজ্রবিদ্যুৎসহ ভারী বৃষ্টিপাত ঘটায়। (৪) Kelvin-Helmholtz/Billow Clouds: উচ্চ আকাশে সমুদ্র তরঙ্গের মতো ঢেউ খেলানো ভাবে অবস্থান করতে দেখা যায়। (৫) Arcus Clouds: শীতল সীমান্তে বজ্রমেঘের কার্যকলাপে তৈরি হয়। এর কয়েকটি ভাগ রয়েছে। সেগুলি হল : Roll Clouds (রোল করে পাকানো মনে হয়, অনেক দূর বিস্তৃত) এবং Shelf Clouds (বিশালাকার তাকের মতো দেখতে)। (৬) Noctilucent Clouds: ট্রপোস্ফিয়ার স্তরের উর্দ্ধে সাধারণত এই মেঘ তৈরি হয়। মহাকাশ থেকে এই ধরনের মেঘ দেখতে পাওয়া যায়। স্ট্রাটোস্ফিয়ার স্তরে (৫৯০০০-৮০০০০ ফুট উচ্চতায়) এই মেঘকে বলা হয় ‘Narcreous Polar Stratospheric Clouds’। এর অপর নাম ‘Mother of Pearl Colours Clouds’। মেসোস্ফিয়ারে স্ফটিকাকৃতি উজ্জ্বল মেঘের নাম ‘Polar Mesopheric Clouds’। প্রায় ২৬২০০০-২৭৯০০০ ফুট উচ্চতায় দেখা যায়। এই মেঘকে ‘Night Shining Cloud’ বলা হয়। (৭) Mushroom Clouds: বিস্ফোরণের মতো ঘন জমাট বাঁধা মেঘ যা দেখতে ব্যাঙের ছাতার মতো হয়। (Topic – Description of Clouds)
উচ্চ মাধ্যমিক ভূগোল নির্যাস [XI : Semester-I]
লেখিকাঃ- মৌমিতা মোদক (তারকেশ্বর, হুগলি)
তথ্যসূত্রঃ- SciJinks (NASA) ; NCAR (National Centre for Atmospheric Research) ; ZME Science ; Outforia ; Climatology – D.S.Lal ; Wikipedia ; আবহাওয়া ও জলবায়ু বিজ্ঞান – রফিক আহমেদ ; আধুনিক আবহাওয়া ও জলবায়ু বিজ্ঞান – যুধিষ্ঠির হাজরা
Outstanding
Pingback: Mayurjharna Elephant Reserve - ভূগোলিকা-Bhugolika
Pingback: Declining Sundarban Over Time - ভূগোলিকা-Bhugolika
Pingback: Story of Leap Year - ভূগোলিকা-Bhugolika
Pingback: WBBSE Madhyamik Geography Syllabus - ভূগোলিকা-Bhugolika