Pi Day
পাই দিবস (Pi Day)
আজ ১৪ ই মার্চ (14 March), পাই দিবস (Pi Day)। প্রতি বছর ১৪ ই মার্চ তারিখটি পাই দিবস রূপে পালিত হয়। উল্লেখ্য, মার্কিন পদার্থবিদ ল্যারি শ (Larry Shaw) -এর উদ্যোগে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো-তে ১৯৮৮ সালে প্রথমবার পাই দিবস পালিত হয়। পাই (π) -এর মান প্রায় ৩.১৪, তাই প্রতি বছর ১৪ ই মার্চ তারিখটি পাই দিবস রূপে পালিত হয়। ২০১৯ সালের ২৬ শে নভেম্বর ইউনেস্কো (UNESCO) পাই দিবস অর্থাৎ ১৪ ই মার্চ তারিখটিকে আন্তর্জাতিক গণিত দিবস (International Day of Mathematics) হিসাবে ঘোষণা করে এবং ২০২০ সালে প্রথমবার আন্তর্জাতিক গণিত দিবস পালিত হয়। এছাড়া, ২২ শে জুলাই তারিখটি ‘Pi Approximation Day‘ এবং ২৮ শে জুন তারিখটি ‘Two-Pi Day‘ বা ‘Tau Day‘ রূপে পালিত হয়।
পাই (π) একটি গ্রিক বর্ণ (Lowercase Greek Letter), যা গ্রিক শব্দ পেরিফেরেইয়া (Perifereía) বা পেরিমেট্রোস্ (Perímetros) -এর প্রথম বর্ণ। আনুমানিক ১৯০০-১৬০০ খ্রিস্টপূর্বে, প্রাচীন ব্যবিলনে পাই-এর লিখিত ব্যবহারের প্রাচীনতম প্রমাণ পাওয়া গেছে, যার মান ৩.১২৫। ১৮৫০-১৬৫০ খ্রিস্টপূর্বে, প্রাচীন মিশরে পাই -এর ব্যবহারের প্রমাণ মিলেছে, যার মান ৩.১৬০। প্রাচীন ভারতে, খ্রিস্টপূর্ব অষ্টম থেকে ষষ্ঠ শতকে ঋষি যাজ্ঞবল্ক্য রচিত ‘শতপথ ব্রাহ্মণ‘ গ্রন্থে পাই -এর উল্লেখ রয়েছে, যার মান ৩.৩১৯। আধুনিক কালে, ১৭০৬ সালে উইলিয়াম জোনস (William Jones) বৃত্তের পরিধি ও ব্যাসের অনুপাত বোঝাতে সর্বপ্রথম π-এর ব্যবহার করেন৷ আমরা সাধারণত পাই (π) এর মান হিসাবে ২২/৭ ব্যবহার করি, যা প্রকৃতপক্ষে ভুল। কারণ পাই একটি অমূলদ সংখ্যা এবং ২২/৭ একটি মূলদ সংখ্যা। হিসাবের সুবিধার্থে ও সহজে প্রকাশ করা যায় বলে পাই -এর মান হিসাবে ২২/৭ ব্যবহার করা হয়।
উল্লেখ্য, পাই (π) হল একটি গুরুত্বপূর্ণ গাণিতিক ধ্রুবক, যার মান প্রায় ৩.১৪১৫৯। কোনও বৃত্তের পরিধি ও ব্যাসের যে অনুপাত, তাই হল পাই। যা একইসাথে বৃত্তের ক্ষেত্রফলের সঙ্গে এর ব্যাসার্ধের বর্গের অনুপাতের সমান। অর্থাৎ পাই ও ব্যাসের গুণফল হল বৃত্তের পরিধির মাপ এবং পাই ও ব্যাসার্ধের বর্গের গুণফল হল বৃত্তের ক্ষেত্রফল। পাই একটি অমূলদ সংখ্যা (Irrational Number), ১৭৬১ সালে জোহান হেনরিখ ল্যাম্বার্ট (Johann Heinrich Lambert) যা প্রমাণ করেন। অর্থাৎ, পাই-কে দুটি পূর্ণসংখ্যার ভগ্নাংশ আকারে প্রকাশ করা যায় না বা দশমিক আকারে সম্পূর্ণ প্রকাশ করা সম্ভব নয়। পাই একটি তুরীয় সংখ্যা (Transcendental Number), ১৮৮২ সালে ফার্দিনান্দ ফন লিন্ডেম্যান (Ferdinand von Lindemann) যা প্রমাণ করেন। অর্থাৎ, পাই-কে কোনো বহুপদী সমীকরণের মূল হিসাবে গণনা করা যায় না।
Pingback: International Day of Happiness - ভূগোলিকা-Bhugolika