National Statistics Day
জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস (National Statistics Day)
আজ ২৯ শে জুন (29 June), জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস (National Statistics Day)। প্রতি বছর ২৯ শে জুন তারিখটি ভারতে জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস রূপে পালিত হয়। উল্লেখ্য, ভারতীয় পরিসংখ্যানের জনক (Father of Indian Statistics) রূপে পরিচিত প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ (১৮৯৩-১৯৭২) -এর জন্মদিন হল ২৯ শে জুন। প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ (Prasanta Chandra Mahalanobis) -এর জন্মদিনটি ভারতে জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস হিসাবে পালিত হয়। ২০০৭ সালে প্রথমবার জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস পালিত হয়। জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস পালনের উদ্দেশ্য হল : জাতীয় উন্নয়নের জন্য আর্থ-সামাজিক পরিকল্পনা ও নীতি প্রণয়নে পরিসংখ্যানের গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা (বিশেষত তরুণ প্রজন্মের মধ্যে) তৈরি করা। এবছর অর্থাৎ ২০২৫ সালে জাতীয় পরিসংখ্যান দিবসের থিম হল : ’75 Years of National Sample Survey’।
গাণিতিক বিজ্ঞানের যে শাখাতে উপাত্ত সংগ্রহ, বিশ্লেষণ, ব্যাখ্যা ও সহজে পদ্ধতিতে উপাত্ত পরিবেশন করা হয়, তাকে পরিসংখ্যান বা রাশিবিজ্ঞান (Statistics) বলে। পরিসংখ্যান হল সংখ্যাভিত্তিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা, সংগঠিত করা, বিশ্লেষণ করা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা ও ব্যাখ্যা দানের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি। যিনি পরিসংখ্যান বিদ্যা চর্চা করেন, তাকে পরিসংখ্যানবিদ (Statistician) বলা হয়। ভারতে পরিসংখ্যানের পথিকৃৎ হলেন প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ। তাঁরই উদ্যোগে ১৯৩১ সালের ১৭ ই ডিসেম্বর কলকাতায় ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট (Indian Statistical Institute) স্থাপিত হয়, যা ১৯৩২ সালের ২৮ শে এপ্রিল নথিবদ্ধকৃত সংস্থা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে৷ তাঁরই উদ্যোগে ১৯৫০ সালে ন্যাশনাল স্যাম্পল সার্ভে অফিস (National Sample Survey Office) এবং ১৯৫১ সালে সেন্ট্রাল স্ট্যাটিস্টিক্স অফিস (Central Statistics Office) গড়ে ওঠে। তিনি কৃষি, অর্থনীতি, শিল্প, পাট উৎপাদন, বাংলার দুর্ভিক্ষের ক্ষয়ক্ষতি ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে অসংখ্য সমীক্ষা পরিচালনা করেন৷ তাঁর মূল মন্ত্র ছিল — রাষ্ট্র আর সমাজকল্যাণে পরিসংখ্যানবিদ্যার প্রয়োগ।
উল্লেখ্য, পরিসংখ্যানের প্রধান শাখাগুলি হল — গড় (Mean), মধ্যক (Median), ভূয়িষ্ঠক/প্রচুরক (Mode), আয়তলেখ (Histogram), পরিসংখ্যা বহুভুজ (Frequency Polygon), ক্রমযৌগিক পরিসংখ্যা রেখা (Ogive) ইত্যাদি। পরিসংখ্যানের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হল — (১) পরিসংখ্যান মূলত সংখ্যাবাচক তথ্যের উপর ভিত্তি করে গঠিত। (২) পরিসংখ্যানের অনুসন্ধান একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্র বা বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত হয়। (৩) পরিসংখ্যানের তথ্যগুলি বিভিন্ন কারণ দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে। (৪) পরিসংখ্যান তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের জন্য এক সুসংহত পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। (৫) পরিসংখ্যান তুলনামূলক ও সমজাতীয় প্রকৃতির হয়। মানব কল্যাণে, প্রাতিষ্ঠানিক নীতি নির্ধারণে, পূর্বাভাস প্রদানে, জাতীয় পরিকল্পনা গ্রহণ ও মূল্যায়নে, রাষ্ট্র পরিচালনাতে, সামাজিক গবেষণাতে, ব্যবসা-বাণিজ্যে, অর্থনৈতিক গবেষণাতে, রাষ্ট্রীয় আইন প্রণয়নে, শিক্ষা ক্ষেত্রে পরিসংখ্যানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
Pingback: International Asteroid Day - ভূগোলিকা-Bhugolika