জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস (National Productivity Day)

আজ ১২ ই ফেব্রুয়ারি (12 February), জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস (National Productivity Day)। প্রতি বছর ১২ ই ফেব্রুয়ারি তারিখটি ভারতে জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস রূপে পালিত হয়। উল্লেখ্য, ১৯৫৮ সালের ১২ ই ফেব্রুয়ারি ভারতে জাতীয় উৎপাদনশীলতা পরিষদ (National Productivity Council/NPC) গঠিত হয়। জাতীয় উৎপাদনশীলতা পরিষদ হল ভারত সরকারের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের অধীনে একটি স্বশাসিত সংস্থা। ১৯৭৪ সালে জাতীয় উৎপাদনশীলতা পরিষদ (NPC) -এর উদ্যোগে প্রথমবার জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস পালিত হয়। জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস পালনের উদ্দেশ্য হল : দেশের অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে উদ্ভাবন, দক্ষতা এবং উৎপাদনশীলতার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবসের মূল লক্ষ্য হল দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করে উৎপাদনশীলতাকে উৎসাহিত করা এবং প্রচার করা। এবছর অর্থাৎ ২০২৫ সালে জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবসের থিম হল : ‘From Ideas to Impact: Protecting Intellectual Property for Competitive Startups’।

১৯৫৮ সালে জাতীয় উৎপাদনশীলতা পরিষদ (NPC) গঠিত হয়, যা উৎপাদনশীলতা গবেষণার পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলিকে শিল্প প্রকৌশল, কৃষি-ব্যবসা, অর্থনৈতিক পরিষেবা, গুণমান ব্যবস্থাপনা, মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা, তথ্য প্রযুক্তি, প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনা, শক্তি ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি ক্ষেত্রে পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ পরিষেবা প্রদান করে। ১৯৬২ সাল থেকে ১২-১৮ ই ফেব্রুয়ারি সময়কাল জাতীয় উৎপাদনশীলতা সপ্তাহ (National Productivity Week) রূপে পালিত হয়। ১৯৭৪ সাল থেকে জাতীয় উৎপাদনশীলতা সপ্তাহের প্রথম দিনটি জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস রূপে পালিত হয়। জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস উৎপাদনশীলতা-বর্ধক অভ্যাস গ্রহণ করার জন্য এক পদক্ষেপের আহ্বান, যার ফলে জীবনের সামগ্রিক মান এবং অর্থনৈতিক কল্যাণ উন্নত হয়।

উল্লেখ্য, উৎপাদনশীলতা (Productivity) হল উৎপাদনের দক্ষতার গড় পরিমাপ। অর্থনীতিতে, কোনো বস্তুর রূপান্তর বা পরিবর্তন সাধনের মাধ্যমে তার দ্বারা কোনো উপযোগ বা অভাব পূরণের ক্ষমতা সৃষ্টি করাকে উৎপাদন বলে। আর উৎপাদনের মাধ্যমে কতখানি উপযোগ সৃষ্টি করা হল, তার আনুপাতিক পরিমাণকেই উৎপাদনশীলতা বলে। ১৭৬৬ সালে ফরাসি অর্থনীতিবিদ ফ্রঁসোয়া কেনে (François Quesnay) সর্বপ্রথম অর্থনৈতিক বিদ্যাতে ‘উৎপাদনশীলতা‘ (Productivity) শব্দটি ব্যবহার করেন। উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির ফলে শ্রমিকের মজুরি ও মালিকের মুনাফা বৃদ্ধি পায়। ক্রেতারা সস্তায় মানসম্মত পণ্য ও পরিষেবা লাভ করে। উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির ফলে সরকারের আয় বৃদ্ধি পায় এবং শিল্পায়ন ত্বরান্বিত হয়। ফলে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন সহজ হয়।

SSC Upper Primary TET Social Studies (Bengali Version)

গুরুত্বপূর্ণ দিবস : বিজ্ঞানে নারী ও মেয়েদের আন্তর্জাতিক দিবস