International Day of Women and Girls in Science
বিজ্ঞানে নারী ও মেয়েদের আন্তর্জাতিক দিবস (International Day of Women and Girls in Science)
আজ ১১ ই ফেব্রুয়ারি (11 February), বিজ্ঞানে নারী ও মেয়েদের আন্তর্জাতিক দিবস (International Day of Women and Girls in Science)। প্রতি বছর ১১ ই ফেব্রুয়ারি তারিখটি বিজ্ঞানে নারী ও মেয়েদের আন্তর্জাতিক দিবস হিসাবে পালিত হয়। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২২ শে ডিসেম্বর রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদ ১১ ই ফেব্রুয়ারি তারিখটি বিজ্ঞানে নারী ও মেয়েদের আন্তর্জাতিক দিবস হিসাবে ঘোষণা করে। ২০১৬ সালে প্রথমবার বিজ্ঞানে নারী ও মেয়েদের আন্তর্জাতিক দিবস পালিত হয়। বিজ্ঞানে নারী ও মেয়েদের আন্তর্জাতিক দিবস পালনের উদ্দেশ্য হল : বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গণিত ক্ষেত্রে মহিলাদের পূর্ণ ও সমান প্রবেশাধিকার এবং অংশগ্রহণ উন্নীত করা। এবছর অর্থাৎ ২০২৫ সালে বিজ্ঞানে নারী ও মেয়েদের আন্তর্জাতিক দিবসের থিম হল : ‘Closing the Gender Gap in Science: Accelerating Action’।
উল্লেখ্য, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গণিত (STEM) ক্ষেত্রগুলি যেকোনো দেশের জাতীয় অর্থনীতির জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে বিবেচিত হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত অধিকাংশ দেশই STEM-সম্পর্কিত ক্ষেত্রগুলিতে লিঙ্গ সমতা অর্জন করতে পারেনি। ইউনেস্কো (UNESCO) -এর তথ্যমতে (২০২৪), নারী গবেষকদের বৈশ্বিক গড় মাত্র ৩৩.৩% এবং STEM-সম্পর্কিত ক্ষেত্রগুলিতে সকল স্নাতক স্তরের শিক্ষার্থীর মাত্র ৩৫% নারী। রাষ্ট্রসংঘ (UN) -এর তথ্য (২০২৩) অনুসারে, বিশ্বে গড়ে ৩ জন গবেষকের মাত্র ১ জন নারী। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence) ক্ষেত্রে, সারা বিশ্বে মোট পেশাদারের মাত্র ২২% নারী। প্রকৌশল বা ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রে সারা বিশ্বে মোট স্নাতকের মাত্র ২৮% নারী। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত ক্ষেত্রে এরূপ লিঙ্গ বৈষম্য ‘স্টেম ফাঁক‘ (STEM Gap) নামে পরিচিত। STEM ক্ষেত্রগুলিতে এহেন লিঙ্গ বৈষম্যের মূল কারণ হল ধারাবাহিক লিঙ্গ প্রথাগত (Gender Stereotypes) এবং পক্ষপাত, যা অসাধারণ সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও নারী ও মেয়েদের প্ররোচিত করে যে বৈজ্ঞানিক অধ্যয়ন তাদের জন্য নয়। STEM ক্ষেত্রগুলিতে বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তিকে উৎসাহিত ও বৈচিত্র্যময় কর্মীগোষ্ঠী গঠন করতে, সামাজিক চ্যালেঞ্জগুলির আরও উদ্ভাবনী সমাধান অনুসন্ধান করতে এবং নারীদের আর্থিক নিরাপত্তার উন্নতি ও বিজ্ঞান চর্চায় উৎসাহ বৃদ্ধি করতে STEM ক্ষেত্রগুলিতে লিঙ্গ বৈষম্য দূর করা প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, ১৯০৩ সালে মেরি কুরি (Marie Curie) প্রথম নারী হিসাবে নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন। পদার্থবিদ্যাতে প্রথম নোবেল পুরষ্কারজয়ী নারী হলেন মেরি কুরি (১৯০৩)। রসায়নবিদ্যাতে প্রথম নোবেল পুরষ্কারজয়ী নারী হলেন মেরি কুরি (১৯১১)। ১৯৪৭ সালে গার্টি কোরি (Gerty Cori) প্রথম নারী হিসাবে শারীরবিদ্যাতে নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন। ২০০৮ সালে ক্রিস্টিনা এম. জনসন (Kristina M. Johnson) প্রথম নারী হিসাবে ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রে জন ফ্রিৎজ মেডেল (John Fritz Medal) পুরষ্কার লাভ করেন। ২০১৩ সালে মরিয়ম মির্জাখানি (Maryam Mirzakhani) প্রথম নারী হিসাবে গণিতের নোবেল পুরষ্কার (Nobel Prize of Mathematics) রূপে পরিচিত ফিল্ডস্ মেডেল (Fields Medal) পুরষ্কার লাভ করেন। ২০১৬ সালে ফ্রান্সেস আর্নল্ড (Frances Arnold) প্রথম নারী হিসাবে মিলেনিয়াম টেকনোলজি প্রাইজ (Millennium Technology Prize) লাভ করেন।
Pingback: National Productivity Day - ভূগোলিকা-Bhugolika
Pingback: World Radio Day - ভূগোলিকা-Bhugolika