International Day of Plant Health
আন্তর্জাতিক উদ্ভিদ স্বাস্থ্য দিবস (International Day of Plant Health)
আজ ১২ ই মে (12 May), আন্তর্জাতিক উদ্ভিদ স্বাস্থ্য দিবস (International Day of Plant Health)। প্রতি বছর ১২ ই মে তারিখটি আন্তর্জাতিক উদ্ভিদ স্বাস্থ্য দিবস রূপে পালিত হয়। উল্লেখ্য, রাষ্ট্রসংঘ ২০২০ সালকে ‘আন্তর্জাতিক উদ্ভিদ স্বাস্থ্য বর্ষ‘ (International Year of Plant Health) হিসাবে ঘোষণা করে। ২০২২ সালের মার্চ মাসে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদ ১২ ই মে তারিখটি আন্তর্জাতিক উদ্ভিদ স্বাস্থ্য দিবস হিসাবে ঘোষণা করে। ২০২২ সালের ১২ ই মে প্রথমবার আন্তর্জাতিক উদ্ভিদ স্বাস্থ্য দিবস পালিত হয়। আন্তর্জাতিক উদ্ভিদ স্বাস্থ্য দিবসের উদ্দেশ্য হল স্থিতিশীল কৃষিকে উৎসাহিত করা, বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা করা এবং উদ্ভিদ সুরক্ষার মাধ্যমে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য উন্নয়নকে সহজতর করা। আন্তর্জাতিক উদ্ভিদ স্বাস্থ্য দিবসের লক্ষ্য হল : উদ্ভিদ স্বাস্থ্যের গুরুত্ব এবং কীটপতঙ্গ ও রোগ থেকে উদ্ভিদকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। এবছর অর্থাৎ ২০২৫ সালে আন্তর্জাতিক উদ্ভিদ স্বাস্থ্য দিবসের থিম হল : ‘The importance of plant health in One Health’।
আমাদের খাদ্য নিরাপত্তার ভিত্তি হল উদ্ভিদ স্বাস্থ্য, যা মানুষ, প্রাণী ও পরিবেশগত স্বাস্থ্যের সাথে আন্তঃসংযুক্ত রয়েছে। স্বাস্থ্যকর উদ্ভিদ মানুষ ও প্রাণীদের জন্য পুষ্টিকর সমৃদ্ধ খাদ্য সরবরাহ করে এবং এক সুষম বাস্তুতন্ত্রকে উন্নীত করতে সহায়তা করে। কীটপতঙ্গ-সংক্রামিত উদ্ভিদ খাদ্য সরবরাহের উপর নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করতে পারে এবং ক্ষতিকারক রোগজীবাণু (প্যাথোজেন)-এর মাধ্যমে প্রেরিত জুনোটিক রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটাতে পারে। কীটপতঙ্গ ব্যবস্থাপনায় কীটনাশক এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কিন্তু কীটনাশকের অতিরিক্ত ব্যবহার ও দুর্বল ব্যবস্থাপনার ফলে জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি, পরিবেশ দূষণ, বাস্তুতন্ত্রের অসঙ্গতি, খাদ্য সুরক্ষা উদ্বেগ ও কীটনাশক প্রতিরোধশক্তি দেখা যায়। উদ্ভিদ হল জীবন – আমরা যে খাবার খাই তার ৮০ শতাংশ এবং আমরা যে অক্সিজেন নিঃশ্বাস নিই তার ৯৮ শতাংশের জন্য আমরা উদ্ভিদের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু কীটপতঙ্গের কারণে ৪০ শতাংশের মতো ফসলের লোকসান হয়, যা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বৈশ্বিক প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করে, মূল্যবান জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি করে এবং অর্থনীতি ও জীবিকাকে প্রভাবিত করে।
উদ্ভিদ স্বাস্থ্য উন্নীতকরণে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি হল — (১) মৃত্তিকা স্বাস্থ্য (Soil Health) : ভালো জলনিকাশী ব্যবস্থা, মৃত্তিকাতে পুষ্টি উপাদান, নির্দিষ্ট সময় অন্তর মৃত্তিকা পরীক্ষা ইত্যাদি। (২) জলসেচ (Irrigation) : পরিমিত জলসেচ প্রদান, উন্নত ও আধুনিক জলসেচ ব্যবস্থার প্রয়োগ, সেচকার্যে দূষণহীন জল ব্যবহার ইত্যাদি। (৩) সার (Fertilizer) : সুষম সার প্রয়োগ, জৈব সার (Organic Fertilizer) ব্যবহার, সার ব্যবহারের নির্দেশ প্রণালী অনুসরণ ইত্যাদি। (৪) কীটনাশক (Pesticide) : নিয়মিত পরিদর্শন, রোগ সংক্রমণ প্রতিরোধ আগাম সতর্কতা গ্রহণ, অধিক পরিমাণে জৈব কীটনাশক ব্যবহার ইত্যাদি। (৫) পরিবেশ (Environment) : পর্যাপ্ত পরিমাণে আলো, উষ্ণতা ও বায়ুপ্রবাহ সুনিশ্চিতকরণ, সঠিক সময় অনুসারে চাষ, দূষণ নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি।
Pingback: International Day of Families - ভূগোলিকা-Bhugolika