International Day of Happiness
আন্তর্জাতিক সুখ দিবস (International Day of Happiness)
আজ ২০ শে মার্চ (20 March), আন্তর্জাতিক সুখ দিবস (International Day of Happiness)। প্রতি বছর ২০ শে মার্চ তারিখটি আন্তর্জাতিক সুখ দিবস রূপে পালিত হয়। উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২৮ শে জুন রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদ ২০ শে মার্চ তারিখটি আন্তর্জাতিক সুখ দিবস হিসাবে ঘোষণা করে। ২০১৩ সালে প্রথমবার আন্তর্জাতিক সুখ দিবস পালিত হয়। আন্তর্জাতিক সুখ দিবস পালনের লক্ষ্য হল : অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়সঙ্গত ও ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজন, যা স্থিতিশীল উন্নয়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, সুখ ও সকল মানুষের কল্যাণসাধনকে উৎসাহিত করে। আন্তর্জাতিক সুখ দিবস পালনের উদ্দেশ্য হল : বিশ্বব্যাপী মানব জীবনের সার্বজনীন লক্ষ্য ও আকাঙ্ক্ষা হিসাবে সুখ ও কল্যাণের প্রাসঙ্গিকতাকে স্বীকৃতি প্রদান করা। ২০২৫ সালে আন্তর্জাতিক সুখ দিবসের থিম হল : ‘Caring & Sharing’।
উল্লেখ্য, ২০০৬-২০১২ সময়কালে, ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস ফাউন্ডেশন (World Happiness Foundation) -এর প্রতিষ্ঠাতা লুইস গালার্দো (Luis Gallardo) এবং হ্যাপিটালিজম (Happytalism) -এর প্রতিষ্ঠাতা জেমি ইলিয়েন (Jayme Illien) রাষ্ট্রসংঘে সুখ ও কল্যাণের প্রাধান্য উৎসাহিত করতে প্রচারণা করেন। ২০১১ সালে জেমি ইলিয়েন রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রথমবার আন্তর্জাতিক সুখ দিবসের ধারণা প্রদান করেন। ২০১১ সালের ১৯ শে জুলাই ভুটানের ‘প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে এক সামগ্রিক অভিমুখে সুখ‘ (Happiness Toward A Holistic Approach To Growth) সংকল্পে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক আন্তর্জাতিক সুখ দিবসের ধারণা গৃহীত হয়। ২০১২ সালের ২ থেকে ৫ ই এপ্রিল নিউইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সদরদপ্তরে ‘UN Conference on Happiness‘ (Happiness and Well-Being: Defining a New Economic Paradigm) অনুষ্ঠিত হয়। ২০১২ সালের ২৮ শে জুন রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদ ২০ শে মার্চ তারিখটি আন্তর্জাতিক সুখ দিবস হিসাবে ঘোষণা করে।
উল্লেখ্য, সুখ (Happiness) হল এক মানবিক অনুভূতি বা অনন্য মানসিক অভিজ্ঞতা। সুখ হল এক জটিল ও বহুমুখী আবেগ, যা তৃপ্তি থেকে তীব্র আনন্দ পর্যন্ত ইতিবাচক অনুভূতির পরিসীমাকে অন্তর্ভুক্ত করে। PERMA মডেল অনুসারে, সুখের সাথে সম্পর্কিত পাঁচটি বিষয় হল : (১) ইতিবাচক আবেগ (Positive Emotion), (২) যোগদান / কার্যকলাপ (Engagement), (৩) সম্পর্ক (Relationships), (৪) তাৎপর্য (Meaning) এবং (৫) অর্জন / অভীষ্টপূরণ (Accomplishment)। রাষ্ট্রসংঘের মতে, আন্তর্জাতিক ও সরকারি সংস্থাগুলির এমন পরিস্থিতিতে বিনিয়োগ করা উচিত, যা মানবাধিকারকে উন্নীত করে এবং নীতি কাঠামোতে কল্যাণ ও পরিবেশগত মাত্রাগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে সুখকে সমর্থন করে৷ শান্তি ও সামাজিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং কর, আইনি প্রতিষ্ঠান ও জনসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সরকারের কার্যকারিতার সাথে গড় জীবন সন্তুষ্টি (Average Life Satisfaction) -এর নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে।
Pingback: World Frog Day - ভূগোলিকা-Bhugolika