International Customs Day
আন্তর্জাতিক শুল্ক দিবস (International Customs Day)
আজ ২৬ শে জানুয়ারি (26 January), আন্তর্জাতিক শুল্ক দিবস (International Customs Day)। প্রতি বছর ২৬ শে জানুয়ারি তারিখটি আন্তর্জাতিক শুল্ক দিবস হিসেবে পালিত হয়। উল্লেখ্য, ১৯৫৩ সালের ২৬ শে জানুয়ারি বেলজিয়ামের ব্রাসেলস শহরে শুল্ক সহযোগিতা পরিষদ (Customs Cooperation Council)-এর প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। তারই স্মরণে প্রতি বছর ২৬ শে জানুয়ারি তারিখটি আন্তর্জাতিক শুল্ক দিবস হিসাবে পালিত হয়। ১৯৮৩ সালে প্রথমবার আন্তর্জাতিক শুল্ক দিবস পালিত হয়। ১৯৯৪ সালে শুল্ক সহযোগিতা পরিষদ সংস্থাটি ‘বিশ্ব শুল্ক সংস্থা‘ (World Customs Organization) নামে আত্মপ্রকাশ করে। বর্তমানে বিশ্ব শুল্ক সংস্থা (WCO)-এর সদস্য দেশের সংখ্যা ১৮৬ এবং এই সংস্থা বিশ্ব বাণিজ্যের ৯৮% নিয়ন্ত্রণ করে। আন্তর্জাতিক শুল্ক দিবস পালনের উদ্দেশ্য হল : সীমান্ত দিয়ে পণ্যদ্রব্যের নির্বিঘ্ন আদানপ্রদানে শুল্ক কর্তৃপক্ষ (Customs Authority)-এর ভূমিকা সম্পর্কে সম্মান ও সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং আন্তঃসীমান্ত নিয়ন্ত্রক কার্যক্রমে শুল্ক কর্তৃপক্ষের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। এবছর অর্থাৎ ২০২৫ সালের আন্তর্জাতিক শুল্ক দিবসের থিম হল : ‘Customs Delivering on its Commitment to Efficiency, Security and Prosperity’।
কোনো দেশের যে সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ শুল্ক সংগ্রহের জন্য দেশের অভ্যন্তরে ও বাইরে পণ্যদ্রব্যের প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করে, তাকে শুল্ক প্রশাসন বা কাস্টমস্ (Customs) বলা হয়। ঐতিহ্যগত ভাবে, শুল্ক (Customs) একটি আর্থিক বিষয়, যা আমদানি ও রপ্তানির উপর শুল্ক (Tariff/Duty) ধার্য করে। শুল্ক প্রশাসনের উদ্দেশ্য হল — সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি করা, দেশীয় শিল্পের সুরক্ষা নিশ্চিত করা, পণ্যদ্রব্যের আমদানি-রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ করা, নিষিদ্ধ ও বিপদজনক পণ্যদ্রব্য বাজেয়াপ্ত করা ইত্যাদি। বর্তমানে শুল্ক প্রশাসনের কার্যাবলীতে তিনটি মূল বিষয় হল : কর (Taxation), নিরাপত্তা (Security) এবং বাণিজ্য সুবিধা (Trade Facilitation)।
প্রত্যেক দেশে দেশের অভ্যন্তরে পণ্যদ্রব্য আমদানি এবং দেশের বাইরে পণ্যদ্রব্য রপ্তানির জন্য নিজস্ব শুল্ক কর্তৃপক্ষের দ্বারা প্রযোজ্য নিজস্ব আইন ও প্রবিধান রয়েছে। বিশ্বের অধিকাংশ দেশে যাত্রী আগমনের শুল্ক পদ্ধতিতে দুই প্রকার চ্যানেল রয়েছে — লাল চ্যানেল (Red Channel) এবং সবুজ চ্যানেল (Green Channel)। যেসব যাত্রী অনুমোদিত শুল্ক সীমার উপরে পণ্যদ্রব্য বহন এবং/অথবা নিষিদ্ধ পণ্যদ্রব্য বহন ঘোষণা করেন, তারা লাল চ্যানেলের মধ্য দিয়ে যান এবং যেসব যাত্রী অনুমোদিত শুল্ক সীমার উপরে পণ্যদ্রব্য বহন এবং/অথবা নিষিদ্ধ পণ্যদ্রব্য বহন ঘোষণা করেন না, তারা সবুজ চ্যানেলের মধ্য দিয়ে যান। শুল্ক প্রশাসনের কাজগুলি হল — আমদানি ও রপ্তানির উপর শুল্ক আদায় করা, পণ্যদ্রব্যের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা, চোরাচালান প্রতিরোধ করা, নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা, আমদানি-রপ্তানির পরিসংখ্যান তৈরি করা ইত্যাদি।
Pingback: International Day of Clean Energy - ভূগোলিকা-Bhugolika