International Coffee Day
আন্তর্জাতিক কফি দিবস (International Coffee Day)
আজ ১ লা অক্টোবর (1 October), আন্তর্জাতিক কফি দিবস (International Coffee Day)। প্রতি বছর ১ লা অক্টোবর তারিখটি আন্তর্জাতিক কফি দিবস রূপে পালিত হয়। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৩-৭ ই মার্চ লন্ডনে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল কফি অর্গানাইজেশন (International Coffee Organization) -এর এক বৈঠকে ১ লা অক্টোবর তারিখটি আন্তর্জাতিক কফি দিবস হিসাবে গৃহীত হয়। ২০১৫ সালের ১ লা অক্টোবর প্রথমবার আন্তর্জাতিক কফি দিবস পালিত হয়। আন্তর্জাতিক কফি দিবস পালনের উদ্দেশ্য হল : পানীয় হিসাবে কফির গুরুত্ব তুলে করা ; কফির অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক তাৎপর্য সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং কফি শিল্পে স্থিতিশীল অনুশীলন ও ন্যায্য বাণিজ্যের প্রচারণা। এবছর অর্থাৎ ২০২৫ সালে আন্তর্জাতিক কফি দিবসের থিম হল : ‘Embrace Collaboration for Collective Action – More Than Ever’।
কফি (Coffee) হল বিশ্বব্যাপী এক জনপ্রিয় পানীয়, যা কফিয়া (Coffea) গণের বিভিন্ন প্রজাতির কফি উদ্ভিদের বীজ থেকে প্রস্তুত করা হয়। সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ দুই কফি প্রজাতি হল — আরবিকা কফি (Arabica Coffee) এবং রোবাস্টা কফি (Robusta Coffee)। এছাড়া কফির অন্যান্য প্রজাতিগুলি হল — লাইবেরিয়ান কফি (Liberian Coffee), সিয়েরা লিওন কফি (Sierra Leone Coffee), মরিশিয়ান কফি (Mauritian Coffee) ইত্যাদি। বিশ্বের সর্বাধিক উৎপাদিত কফি প্রজাতি হল আরবিকা কফি (বৈজ্ঞানিক নাম : Coffea arabica), যা বিশ্বের মোট উৎপাদিত কফির ৬০%। ভারতে সর্বাধিক উৎপাদিত কফি প্রজাতি হল রোবাস্টা কফি (বৈজ্ঞানিক নাম : Coffea canephora), যা ভারতের মোট উৎপাদিত কফির ৭০%। কফি গাছের ফল কফি চেরি (Coffee Cherry) এবং কফি ফলের বীজ কফি বিন (Coffee Bean) নামে পরিচিত। প্রচলিত মতে, আফ্রিকার ইথিওপিয়া-তে সর্বপ্রথম কফি চাষ শুরু হয়। বর্তমানে কফি উৎপাদনে ও কফি রপ্তানিতে ব্রাজিল পৃথিবীতে প্রথম স্থান অধিকার করে। ২০২৪-২৫ বর্ষে বিশ্বের মোট উৎপাদিত কফির ৩৭% ব্রাজিলে উৎপাদিত হয়েছে। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য কফি উৎপাদক দেশগুলি হল — ভিয়েতনাম, কলম্বিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইথিওপিয়া, উগান্ডা, ভারত ইত্যাদি।
ইন্দোনেশিয়া, তিমুর-লেস্তে ও ফিলিপিন্সে গন্ধগোকুল (Asian Palm Civet) -এর বিষ্ঠা থেকে একধরনের কফি তৈরি করা হয়, যা কোপি লুয়াক (Kopi Luwak) বা গন্ধগোকুল কফি (Civet Coffee) নামে পরিচিত। কোপি লুয়াক পৃথিবীর সবচেয়ে দামী কফি রূপে পরিচিত। আরেক দামী কফি হল ব্ল্যাক আইভরি কফি (Black Ivory Coffee), যা থাইল্যান্ডে হাতির বিষ্ঠা থেকে তৈরি করা হয়। উল্লেখ্য, বানানোর পদ্ধতি ও ব্যবহৃত উপকরণ অনুসারে কফি পানীয় বিভিন্ন প্রকারের হয়। যেমন — এসপ্রেসো (Espresso), ক্যাপুচিনো (Cappuccino), মোকা (Mocha), ল্যাটে (Latte), কর্টাডো (Cortado), কোল্ড ব্রিউ (Cold Brew), ম্যাকিয়াটো (Macchiato), আমেরিকানো (Americano) ইত্যাদি। কফি খাওয়ার উপকারিতাগুলি হল — (১) কফিতে ক্যাফিন রয়েছে, যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে এবং মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি উন্নত করে। (২) কফি বিপাক হার বৃদ্ধি করে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। (৩) কফিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা কোষের ক্ষতি ও বার্ধক্য রোধ করে। (৪) নিয়মিত কফি পান করলে ডায়াবেটিস ও ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস পায়। (৫) নিয়মিত কফি পান করলে বিষন্নতা বা অ্যালঝাইমার রোগ প্রতিরোধ করা যায়।
Pingback: World Teachers' Day - ভূগোলিকা-Bhugolika