Sunday, July 27, 2025

ভূগোলিকা-Bhugolika

ভূগোল শিক্ষার অনন্য প্রতিষ্ঠান

ভূগোলিকা-Bhugolika

ভূগোল শিক্ষার অনন্য প্রতিষ্ঠান

ভূগোল বিচিত্রা

Flysch and Molasse


ফ্লিশ এবং মোলাস (Flysch and Molasse)

আপনাকে ভূগোলিকা-Bhugolika -এর ‘ভূগোল বিচিত্রা’ বিভাগে স্বাগত জানাই। আজকের পোস্ট : ফ্লিশ এবং মোলাস (Flysch and Molasse)।

▶️▶️▶️ ফ্লিশ (Flysch) এবং মোলাস (Molasse) হল ওরোজেনি অর্থাৎ ভঙ্গিল পর্বত সৃষ্টি প্রক্রিয়ার সাথে সম্পর্কিত দুই স্বতন্ত্র পাললিক শিলা গঠন। নিচে ফ্লিশ ও মোলাস সম্পর্কে আলোচনা করা হল।

ফ্লিশ (Flysch) : ভঙ্গিল পর্বত সৃষ্টির সংঘর্ষ-পূর্ববর্তী (Pre-Collision) এবং সংঘর্ষকালীন (Syn-Collision) পর্বে মহাদেশের প্রান্তভাগে অবস্থিত মহীখাতে সঞ্চিত পাললিক শিলাস্তরের একপ্রকার অনুক্রম হল ফ্লিশ। ১৮২৭ সালে সুইস ভূতত্ত্ববিদ বার্নহার্ড স্টাডার (Bernhard Studer) সর্বপ্রথম ভূতত্ত্ববিদ্যাতে ‘ফ্লিশ’ (Flysch) শব্দটি ব্যবহার করেন। ফ্লিশের গাঠনিক উপাদান হল নিচের দিকে মোটা দানার কংগ্লোমারেট ও ব্রেকসিয়া এবং উপরের দিকে অপেক্ষাকৃত সূক্ষ্ম দানার বেলেপাথর, পললপাথর, শেল ও কাদাপাথর। এছাড়া অল্প পরিমাণে মার্ল ও চুনাপাথর দেখা যায়। ফ্লিশের উদাহরণ — ইতালির অ্যাপেনাইন পর্বতমালার লাল ফ্লিশ (Red Flysch), সুইজারল্যান্ডের সারডোনা ফ্লিশ (Sardona Flysch), পোল্যান্ডের ইস্টেবনা গঠন (Istebna Formation) ইত্যাদি। ভারতের একটি ফ্লিশের উদাহরণ — লাদাখের লামায়ুরু ফ্লিশ (Lamayuru Flysch)।

Flysch and Molasse

মোলাস (Molasse) : ভঙ্গিল পর্বত সৃষ্টির সংঘর্ষ-পরবর্তী (Post-Collision) পর্বে উত্থিত ভঙ্গিল পর্বতের পাদদেশে ও অবশিষ্ট মহীখাতে ফ্লিশের ওপর সঞ্চিত পাললিক শিলাস্তরের একপ্রকার অনুক্রম হল মোলাস। ১৮২৫ সালে সুইস ভূতত্ত্ববিদ বার্নহার্ড স্টাডার (Bernhard Studer) সর্বপ্রথম ভূতত্ত্ববিদ্যাতে ‘মোলাস’ (Molasse) শব্দটি ব্যবহার করেন। মোলাসের গাঠনিক উপাদান হল কংগ্লোমারেট, বেলেপাথর, শেল, মার্ল। এছাড়া অল্প পরিমাণে চুনাপাথর, ইভাপোরাইট ও কয়লা দেখা যায়। মোলাসের উদাহরণ — উত্তর-পশ্চিম হিমালয়ের সিন্ধু মোলাস (Indus Molasse), ইন্দোনেশিয়ার সেলেবিস মোলাস (Celebes Molasse), সুইজারল্যান্ডের সুইস মোলাস অববাহিকা (Swiss Molasse Basin) ইত্যাদি। ভারতের একটি মোলাসের উদাহরণ — মিজোরাম মোলাস অববাহিকা (Mizoram Molasse Basin)।

Flysch and Molasse

পার্থক্য — ফ্লিশ ও মোলাস : ফ্লিশ ও মোলাসের মধ্যে প্রধান পার্থক্যগুলি হল
(১) ফ্লিশ হল প্রকৃতপক্ষে গভীর সামুদ্রিক অবক্ষেপ। অন্যদিকে, মোলাস হল প্রকৃতপক্ষে স্থলজ ও অগভীর সামুদ্রিক অবক্ষেপ।
(২) ভঙ্গিল পর্বত গঠন সংক্রান্ত পাললিক কীলকের দূরবর্তী অংশে ফ্লিশ পাওয়া যায়। অন্যদিকে, উত্থিত ভঙ্গিল পর্বতমালার পাদদেশে বা নিকটস্থ অংশে মোলাস পাওয়া যায়।
(৩) ভঙ্গিল পর্বত সৃষ্টির সংঘর্ষ-পূর্ববর্তী এবং সংঘর্ষকালীন পর্বে ফ্লিশ গঠিত হয়, তাই মোলাস অপেক্ষা ফ্লিশ প্রাচীন। অন্যদিকে, ভঙ্গিল পর্বত সৃষ্টির সংঘর্ষ-পরবর্তী পর্বে মোলাস গঠিত হয়, তাই ফ্লিশ অপেক্ষা মোলাস নবীন।

SSC Upper Primary TET Social Studies (Bengali Version)

ভৌগোলিক প্রবন্ধ : ভারতের ‘ইন্দিরা পয়েন্ট’

ভৌগোলিক প্রবন্ধ : পাপুয়া নিউ গিনির ‘কাদা-মানব’

2 thoughts on “Flysch and Molasse

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!