Children’s Day
শিশু দিবস (Children’s Day)

আজ ১৪ ই নভেম্বর (14 November), শিশু দিবস (Children’s Day)। প্রতি বছর ভারতে ১৪ ই নভেম্বর তারিখটি শিশু দিবস রূপে পালিত হয়। উল্লেখ্য, ১৪ ই নভেম্বর হল ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু (Jawaharlal Nehru) -এর জন্মদিন, যিনি শিশুদের কাছে ‘চাচা নেহরু‘ (Chacha Nehru) নামে পরিচিত ছিলেন। ১৯৫১ সালে রাষ্ট্রসংঘের সামাজিক কল্যাণ কর্মী ভি. এম. কুলকার্নি (V. M. Kulkarni) সর্বপ্রথম নেহরুর জন্মদিন অর্থাৎ ১৪ ই নভেম্বর তারিখটি ভারতে শিশু দিবস রূপে পালনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ১৯৫৪ সালের ১৪ ই নভেম্বর প্রথমবার ভারতে শিশু দিবস পালিত হয়। ১৯৫৭ সালে ভারত সরকার ১৪ ই নভেম্বর তারিখটি আনুষ্ঠানিক ভাবে শিশু দিবস হিসাবে ঘোষণা করে। অর্থাৎ ১৯৫৭ সালে প্রথমবার ভারতে আনুষ্ঠানিক ভাবে শিশু দিবস পালিত হয়। শিশু দিবস পালনের উদ্দেশ্য হল : শিশুদের অধিকার, কল্যাণ ও শিক্ষার প্রতি সচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রচার করা।
জওহরলাল নেহরু ভারতে এমন এক পরিবেশ তৈরি করতে চাইতেন, যেখানে শিশু এবং শিশুদের কল্যাণের প্রতি সর্বদা মনোযোগ দেওয়া হবে। জওহরলাল নেহরুর মতে, ‘আজকের শিশুরা আগামীকালের ভারত গড়বে, এবং আমরা তাদের যেভাবে লালন-পালন করব তা দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে’। জওহরলাল নেহরু রচিত ‘Letters from a Father to His Daughter‘ (1929) এবং ‘Glimpses of World History‘ (1934) শীর্ষক দুই গ্রন্থে (পত্র সংকলন) শিশুদের প্রতি নেহরুর চিন্তা-ভাবনার পরিচয় পাওয়া যায়। জওহরলাল নেহরুর মতে, ‘শিশুরা বাগানের কুঁড়ির মতো এবং তাদের যত্ন সহকারে ও ভালোবাসার সাথে লালন-পালন করা উচিত, কারণ তারাই জাতির ভবিষ্যৎ এবং আগামী দিনের নাগরিক’। জওহরলাল নেহরুর মতে, ‘একটি দেশের শিশুরাই তার শক্তি। তারাই অতীতের উত্তরাধিকারকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং এর আদর্শকে বাস্তবে রূপান্তরিত করবে’। ১৯৫৫ সালে জওহরলাল নেহরু শিশুদের জন্য সিনেমার তৈরির উদ্দেশ্যে ‘Children’s Film Society India‘ (CFSI) গড়ে তোলেন।
২০১৫ সালের Juvenile Justice (Care and Protection of Children) Act অনুসারে, ১৮ বছর অনুর্ধ যেকোনো ব্যক্তি হল শিশু (Child)। শিশু সুরক্ষা হল সেই কার্যক্রম, যার মধ্য দিয়ে শিশুরা সব রকমের বঞ্চনা, নির্যাতন (শারীরিক ও মানসিক) লাঞ্ছনা থেকে রক্ষা পাবে এবং তাদের প্রাথমিক অধিকারগুলি অর্জনের মাধ্যমে তাদের সামগ্রিক বিকাশ সাধনে সাহায্য করবে। ভারতে শিশু সুরক্ষার প্রধান ক্ষেত্রগুলি হল — শিশুশ্রম, বাল্য বিবাহ, শিশু পাচার, শিশু নির্যাতন (শারীরিক ও মানসিক), যৌন হেনস্থা ও নিগ্রহ, কন্যাভ্রূণ হত্যা, অনাথ শিশু, প্রতিবন্ধী শিশু ইত্যাদি। যেসব মৌলিক অধিকার শিশুদের সুরক্ষা, বিকাশ, এবং সুস্থ জীবন নিশ্চিত করে, তাদের শিশু অধিকার বলে। যেমন — বেঁচে থাকার অধিকার, শিক্ষার অধিকার, স্বাস্থ্যের অধিকার, নিরাপত্তার অধিকার, নির্যাতন ও শোষণ থেকে মুক্তির অধিকার ইত্যাদি। ভারতে শিশু সুরক্ষা সম্পর্কিত কয়েকটি প্রকল্প হল — Integrated Programme for Street Children, Shishu Griha Scheme, Beti Bachao Beti Padhao (BBBP), Integrated Child Protection Scheme ইত্যাদি।
Pingback: National Integration Day - ভূগোলিকা-Bhugolika