World Tourism Day
বিশ্ব পর্যটন দিবস (World Tourism Day)
আজ ২৭ শে সেপ্টেম্বর (27 September), বিশ্ব পর্যটন দিবস (World Tourism Day)। প্রতি বছর ২৭ শে সেপ্টেম্বর তারিখটি বিশ্ব পর্যটন দিবস রূপে পালিত হয়। উল্লেখ্য, ১৯৭০ সালের ২৭ শে সেপ্টেম্বর মেক্সিকো সিটিতে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অফ অফিসিয়াল ট্র্যাভেল অর্গানাইজেশন (International Union of Official Travel Organisation) -এর এক বিশেষ অধিবেশনে ইউনাইটেড নেশনস্ ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম অর্গানাইজেশন (United Nations World Tourism Organisation) -এর সংবিধি গৃহীত হয়। ১৯৭৫ সালের ১ লা নভেম্বর ইউনাইটেড নেশনস্ ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম অর্গানাইজেশন (UNWTO) শীর্ষক সংস্থাটি গঠিত হয়। ১৯৭৯ সালে ইউনাইটেড নেশনস্ ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম অর্গানাইজেশন ২৭ শে সেপ্টেম্বর তারিখটি বিশ্ব পর্যটন দিবস হিসাবে ঘোষণা করে। ১৯৮০ সালের ২৭ শে সেপ্টেম্বর প্রথমবার বিশ্ব পর্যটন দিবস পালিত হয়। বিশ্ব পর্যটন দিবস পালনের উদ্দেশ্য হল : সমাজ, সংস্কৃতি ও অর্থনীতিতে পর্যটনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং বিশ্বব্যাপী সংযোগ, স্থিতিশীল উন্নয়ন ও শান্তির প্রসারে পর্যটনের গুরুত্ব তুলে ধরা। এবছর অর্থাৎ ২০২৫ সালে বিশ্ব পর্যটন দিবসের থিম হল : ‘Tourism and Sustainable Transformation’।
উল্লেখ্য, বিনোদন, অবসর, শিক্ষা, ব্যবসা ইত্যাদি উদ্দেশ্যে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সাময়িক ভ্রমণকে পর্যটন (Tourism) বলে। পর্যটন একটি সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক প্রক্রিয়া, যা মানুষের বিনোদন, আনন্দ এবং একই সাথে অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টি করে। যে ব্যক্তি পর্যটন করেন, তাকে পর্যটক (Tourist) বলা হয়। ভৌগোলিক পরিসীমা অনুসারে পর্যটন ২ প্রকার — অভ্যন্তরীণ পর্যটন (Domestic Tourism) এবং আন্তর্জাতিক পর্যটন (International Tourism)। উদ্দেশ্য অনুসারে পর্যটন বিভিন্ন প্রকারের হয়। যেমন — অবসর ও বিনোদনমূলক পর্যটন (Leisure Tourism), সাংস্কৃতিক পর্যটন (Cultural Tourism), স্বাস্থ্য পর্যটন (Health Tourism / Medical Tourism), ব্যবসায়িক পর্যটন (Business Tourism), ধর্মীয় পর্যটন (Religious Tourism), শিক্ষামূলক পর্যটন (Educational Tourism), ক্রীড়া পর্যটন (Sports Tourism), ইকো-ট্যুরিজম (Eco-Tourism), গ্রামীণ পর্যটন (Rural Tourism), বন্যপ্রাণ পর্যটন (Wildlife Tourism) ইত্যাদি। যে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা পর্যটকদের ভ্রমণ, থাকা-খাওয়া, পরিবহন ও বিনোদনের মতো বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করে, তাকে পর্যটন শিল্প (Tourism Industry) বলে। জাতীয় আয় বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রাজস্ব বৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন প্রভৃতি কারণে অর্থনীতিতে পর্যটন শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
পৃথিবীর জনপ্রিয় পর্যটন শহরগুলি হল — ফ্রান্সের প্যারিস, থাইল্যান্ডের ব্যাঙ্কক, জাপানের টোকিও, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক, ভারতের মুম্বাই, ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যের লন্ডন, সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর দুবাই, মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর, ইতালির রোম, তুরস্কের ইস্তানবুল ইত্যাদি। পৃথিবীর কয়েকটি বিখ্যাত পর্যটনস্থল হল — ফ্রান্সের প্যারিসের আইফেল টাওয়ার, চিনের মহাপ্রাচীর, ইতালির রোমের কলোসিয়াম, ভারতের তাজমহল, পেরুর মাচু পিচু ইত্যাদি। ভারতের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পর্যটনস্থল হল — উত্তরপ্রদেশের বারাণসী, অযোধ্যা ও প্রয়াগরাজ ; দিল্লির লালকেল্লা ও ইন্ডিয়া গেট ; আগ্রার তাজমহল ; রাজস্থানের গোলাপি শহর জয়পুর, জয়সলমীরের সোনার কেল্লা ; পাঞ্জাবের অমৃতসরের স্বর্ণমন্দির ; গুজরাটের কচ্ছের রণ ও গির জাতীয় উদ্যান ; জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগর, গুলমার্গ ; অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুমালা ; কেরালার ব্যাকওয়াটার্স ; মহারাষ্ট্রের মুম্বাইয়ের গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া, অজন্তা ও ইলোরা গুহা ; তামিলনাড়ুর উটি, মাদুরাই, নীলগিরি ইত্যাদি।
Pingback: International Coffee Day - ভূগোলিকা-Bhugolika