World Coconut Day
বিশ্ব নারিকেল দিবস (World Coconut Day)

আজ ২ রা সেপ্টেম্বর (2 September), বিশ্ব নারিকেল দিবস (World Coconut Day)। প্রতি বছর ২ রা সেপ্টেম্বর তারিখটি বিশ্ব নারিকেল দিবস রূপে পালিত হয়। উল্লেখ্য, ১৯৬৯ সালে এশিয়ান অ্যান্ড প্যাসিফিক কোকোনাট কমিউনিটি (Asian and Pacific Coconut Community/APCC) স্থাপিত হয়। ২০০৯ সালে এশিয়ান অ্যান্ড প্যাসিফিক কোকোনাট কমিউনিটি ২ রা সেপ্টেম্বর তারিখটি বিশ্ব নারিকেল দিবস রূপে ঘোষণা করে। ২০০৯ সালের ২ রা সেপ্টেম্বর প্রথমবার বিশ্ব নারিকেল দিবস পালিত হয়। বিশ্ব নারিকেল দিবস পালনের উদ্দেশ্য হল : নারিকেলের গুরুত্ব ও উপকারিতা সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা বৃদ্ধি করা, নারিকেলের পুষ্টিগুণ, কৃষকদের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ও নারিকেলের বিভিন্ন ব্যবহার প্রচার করা। বিশ্ব নারিকেল দিবস পালনের লক্ষ্য হল নারিকেল চাষ ও নারিকেল শিল্পকে উৎসাহিত করা, বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা, নারিকেল চাষীদের দারিদ্র্য দূর করা। এবছর অর্থাৎ ২০২৫ সালে বিশ্ব নারিকেল দিবসের থিম হল : ‘Uncovering Coconut’s Power, Inspiring Global Action’।
নারিকেল (Coconut) হল গুপ্তবীজী (Angiosperm) উদ্ভিদ গোষ্ঠীর অন্তর্গত অ্যারেকেসিয়া (Arecaceae) পরিবারের কোকোজ্ (Cocos) গণের একপ্রকার তালজাতীয় উদ্ভিদ। নারিকেল বৃক্ষের বৈজ্ঞানিক নাম কোকোজ্ নুসিফেরা (Cocos nucifera)। নারিকেল বৃক্ষ ক্রান্তীয় ও উপক্রান্তীয় অঞ্চলে দেখা যায়। নারিকেল বৃক্ষ প্রায় ৩০ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয় এবং ৪-৬ মিটার লম্বা পক্ষল পাতা থাকে। লবণতা সহনকারী নারিকেল বৃক্ষের আর্দশ পরিবেশ হল বালির প্রাধান্যযুক্ত মৃত্তিকা, পর্যাপ্ত উষ্ণতা ও বৃষ্টিপাতযুক্ত ক্রান্তীয় উপকূলীয় অঞ্চল। নারিকেল বা ডাবের জল হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে স্বর্গের শিশির (Dew of Heaven) নামে পরিচিত। হিন্দু ধর্মে নারিকেল বৃক্ষ ও ফল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাপক উপযোগিতার কারণে হিন্দু ধর্মে নারিকেল বৃক্ষকে স্বর্গের বৃক্ষ (Tree of Heaven) বা কল্পবৃক্ষ (Kalpavriksha) নামে পরিচিত।
২০২৪-২৫ সালে বিশ্বে নারিকেল ফল উৎপাদনে ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিন্স ও ভারত যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করে। বিশ্বের মোট উৎপাদিত নারিকেল ফলের প্রায় ৭৫% ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিন্স ও ভারতে উৎপাদিত হয়। ২০২৪-২৫ সালে ভারতে নারিকেল ফল উৎপাদনে কর্ণাটক, তামিলনাড়ু ও কেরালা যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করে। নারিকেল বৃক্ষের উপকারিতাগুলি হল — (১) নারিকেল ফলের শাঁস ও জল পুষ্টিগুণে ভরপুর। নারিকেলের জল শরীরকে সতেজ রাখে ও পুষ্টি জোগায়, যা হৃদযন্ত্র ভালো রাখে ও হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। (২) পুষ্টিগুণে ভরপুর নারিকেলের দুধ ও তেল রান্নায় ব্যবহার করা হয়। নারিকেল দুধ মিষ্টি, বিস্কুট, চকোলেট তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। (৩) নারিকেলের কাঁচা ও শুকনো পাতা দিয়ে মাদুর, ঝাঁটা ও ঝুড়ি তৈরি করা হয়। (৪) নারিকেলের শাঁস থেকে তৈরি উদ্ভিজ্জ তেল সাবান, শ্যাম্পু ও অন্যান্য প্রসাধন সামগ্রী তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। (৫) নারিকেলের ছোবড়া দিয়ে শক্ত দড়ি, ব্রাশ, পাপোশ তৈরি করা যায়।
Pingback: National Teachers' Day - ভূগোলিকা-Bhugolika