International Day of Human Space Flight
আন্তর্জাতিক মানব মহাকাশ উড়ান দিবস (International Day of Human Space Flight)
আজ ১২ ই এপ্রিল (12 April), আন্তর্জাতিক মানব মহাকাশ উড়ান দিবস (International Day of Human Space Flight)। প্রতি বছর ১২ ই এপ্রিল তারিখটি আন্তর্জাতিক মানব মহাকাশ উড়ান দিবস রূপে পালিত হয়। উল্লেখ্য, ১৯৬১ সালের ১২ ই এপ্রিল তারিখে ইউরি গ্যাগারিন (Yuri Gagarin) প্রথম মানুষ হিসাবে মহাকাশে গিয়েছিলেন। তারই স্মরণে, ২০১১ সালের ৭ ই এপ্রিল রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদ ১২ ই এপ্রিল তারিখটি আন্তর্জাতিক মানব মহাকাশ উড়ান দিবস রূপে ঘোষণা করে এবং ২০১১ সালে প্রথমবার আন্তর্জাতিক মানব মহাকাশ উড়ান দিবস পালিত হয়। আন্তর্জাতিক মানব মহাকাশ উড়ান দিবস পালনের উদ্দেশ্য হল : মানবজাতির জন্য মহাকাশ যুগের সূচনা স্মরণ করা, মহাকাশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অবদানকে স্বীকৃতি প্রদান করা এবং মহাকাশের শান্তিপূর্ণ ব্যবহারকে উৎসাহিত করা।
উল্লেখ্য, ১৯৬১ সালের ১২ ই এপ্রিল রাশিয়ার (তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন) ইউরি গ্যাগারিন (১৯৩৪-১৯৬৮) ভোস্টক-১ (Vostok-1) মহাকাশযানে চড়ে প্রথম মানুষ হিসাবে মহাকাশে গিয়েছিলেন। ১৯৬১ সালের ১২ ই এপ্রিল বর্তমান কাজাখস্তানের বাইকোনুর কসমোড্রোম (Baikonur Cosmodrome) থেকে ভারতীয় সময় সকাল ১১:৩৭ নাগাদ সোভিয়েত ইউনিয়নের ভোস্টক কর্মসূচীর অন্তর্গত ভোস্টক-১ মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করা হয়। ভোস্টক-১ মহাকাশযানে চড়ে ১০৮ মিনিট (মতান্তরে ১০৬ মিনিট) ব্যাপী এই অভিযানে ইউরি গ্যাগারিন প্রথম মানুষ হিসাবে পৃথিবীকে একবার প্রদক্ষিণ করেন। ভোস্টক-১ মহাকাশযানের অ্যাপোজি (Apogee) উচ্চতা ছিল ৩২৭ কিমি এবং পেরিজি (Perigee) উচ্চতা ছিল ১৮১ কিমি। উল্লেখ্য, বিশ্বের প্রথম মহাকাশচারী (World’s First Cosmonaut) ইউরি গ্যাগারিন ছিলেন সোভিয়েত এয়ার ফোর্সেস্ (Soviet Air Forces) -এর একজন বিমানচালক।
ইউরি গ্যাগারিনের মহাকাশ উড়ানের স্মরণে, ১৯৬৩ সাল থেকে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন ও বর্তমান রাশিয়াতে ১২ ই এপ্রিল তারিখটি মহাকাশচরণ দিবস (Cosmonautics Day) হিসাবে পালিত হয়। ইউরি গ্যাগারিনের মহাকাশ উড়ান হল মানব ইতিহাসের এক যুগান্তকারী ঘটনা, যা মহাকাশ যুগের সূচনা হিসাবে চিহ্নিত করা হয় এবং মহাকাশ গবেষণা ও প্রযুক্তিতে এক মাইলফলক। আন্তর্জাতিক মানব মহাকাশ উড়ান দিবস বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কেননা — এই দিবস এক ঐতিহাসিক ঘটনা স্মরণ করে, মহাকাশ যুগের সূচনাকে স্বীকৃতি প্রদান করে, মহাকাশ গবেষণা ও বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে, মহাকাশের শান্তিপূর্ণ ব্যবহার প্রচারণা করে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে।
Pingback: World Art Day - ভূগোলিকা-Bhugolika