International Day of Zero Waste
আন্তর্জাতিক শূন্য বর্জ্য দিবস (International Day of Zero Waste)
আজ ৩০ শে মার্চ (30 March), আন্তর্জাতিক শূন্য বর্জ্য দিবস (International Day of Zero Waste)। প্রতি বছর ৩০ শে মার্চ তারিখটি আন্তর্জাতিক শূন্য বর্জ্য দিবস রূপে পালিত হয়। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৪ ই ডিসেম্বর রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদ ৩০ শে মার্চ তারিখটি আন্তর্জাতিক শূন্য বর্জ্য দিবস হিসাবে ঘোষণা করে। ২০২৩ সালে প্রথমবার আন্তর্জাতিক শূন্য বর্জ্য দিবস পালিত হয়। আন্তর্জাতিক শূন্য বর্জ্য দিবস পালনের উদ্দেশ্য হল : বর্জ্য দূষণ সমস্যার প্রেক্ষাপটে বিশ্বব্যাপী বর্জ্য ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব প্রচার করা এবং স্থিতিশীল ব্যবহার (Sustainable Consumption) ও স্থিতিশীল উৎপাদন (Sustainable Production) উন্নীতকরণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা। এবছর অর্থাৎ ২০২৫ সালে আন্তর্জাতিক শূন্য বর্জ্য দিবসের থিম হল : ‘Towards zero waste in fashion and textiles’।
উল্লেখ্য, আপাতভাবে উপযোগিতা শূন্য, ব্যবহার অযোগ্য অবাঞ্ছিত কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় পদার্থ, যা মানুষ সহ পরিবেশের ক্ষতি করে, তাদের বর্জ্য (Waste) বলে। প্রকৃতি অনুসারে বর্জ্য মূলত তিন প্রকার — কঠিন বর্জ্য (Solid Waste) : যেমন — ডিমের খোসা, মাছের আঁশ, ছেঁড়া পলিব্যাগ ইত্যাদি ; তরল বর্জ্য (Liquid Waste) : যেমন — কাপড় কাচার নোংরা জল, নর্দমার নোংরা জল, বাথরুমের নোংরা জল ইত্যাদি ; গ্যাসীয় বর্জ্য (Gaseous Waste) : যেমন — আবর্জনার স্তূপ থেকে নির্গত গ্যাস, যানবাহন থেকে নির্গত গ্যাস ও ধোঁয়া, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে নির্গত ধোঁয়া ইত্যাদি। ক্ষয়ক্ষতি অনুসারে বর্জ্য মূলত দুই প্রকার — বিষাক্ত বর্জ্য (Hazardous Waste) : যেমন — সীসা, পারদ, ক্যাডমিয়াম ইত্যাদি ; বিষহীন বর্জ্য (Non-Hazardous Waste) : যেমন — পুরানো খবরের কাগজ, ফলের খোসা, ছেঁড়া কাপড় ইত্যাদি। প্রকৃতির সাথে প্রতিক্রিয়া অনুসারে বর্জ্য মূলত দুই প্রকার — জীব বিশ্লেষ্য বর্জ্য (Biodegradable Waste) : যেমন — ফলের খোসা, উচ্ছিষ্ট খাদ্য, ছেঁড়া কাপড় ইত্যাদি ; জীব অবিশ্লেষ্য বর্জ্য (Non-Biodegradable Waste) : যেমন — প্লাস্টিক, থার্মোকল, এক্স-রে প্লেট ইত্যাদি।
UN-Habitat -এর তথ্যমতে, সারা বিশ্বের মানুষ প্রতি বছর ২১০-২৩০ কোটি টন পৌর কঠিন বর্জ্য (Municipal Solid Waste) উৎপাদন করে। বিশ্বের ২৭০ কোটি মানুষ কঠিন বর্জ্য সংগ্রহের পরিষেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন এবং উৎপাদিত পৌর কঠিন বর্জ্য ৬১-৬২% ব্যবস্থাপনা করা হয়। উল্লেখ্য, বর্জ্যের পরিমাণ হ্রাস, বর্জ্যের পুনর্ব্যবহার, বর্জ্যের পুনর্নবীকরণ ইত্যাদির মাধ্যমে নতুন সম্পদ সৃষ্টি ও পরিবেশে বর্জ্যের কুপ্রভাব দূরীকরণের সামগ্রিক প্রক্রিয়াকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা (Waste Management) বলে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার চারটি পর্যায় রয়েছে — বর্জ্যের পরিমাণ হ্রাস (Reduce), বর্জ্যের পুনর্ব্যবহার (Reuse), বর্জ্যের পুনর্নবীকরণ (Recycle) ও বর্জ্য প্রত্যাখ্যান (Refuse)। উল্লেখ্য, পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে এবং নতুন সম্পদ সৃষ্টি করতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
Pingback: Odisha Day - ভূগোলিকা-Bhugolika