বিশ্ব বেতার দিবস (World Radio Day)

আজ ১৩ ই ফেব্রুয়ারি (13 February), বিশ্ব বেতার দিবস (World Radio Day)। প্রতি বছর ১৩ ই ফেব্রুয়ারি তারিখটি বিশ্ব বেতার দিবস রূপে পালিত হয়। উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ২৯ শে সেপ্টেম্বর ইউনেস্কো নির্বাহী পরিষদ (UNESCO Executive Board) -এর বিষয়সূচিতে বিশ্ব বেতার দিবস প্রতিষ্ঠা অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৩ ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ব বেতার দিবসের তারিখ হিসাবে গৃহীত হয়, কেননা ১৯৪৬ সালের ১৩ ই ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রসংঘ বেতার (United Nations Radio) স্থাপিত হয়েছিল, যা ২০১৭ সালে রাষ্ট্রসংঘ সংবাদ কেন্দ্র (UN News Centre)-এর সাথে একত্রিত হয়ে রাষ্ট্রসংঘ সংবাদ (UN News) গঠন করেছে। ২০১১ সালের ৩ রা নভেম্বর ইউনেস্কোর সাধারণ অধিবেশনে ১৩ ই ফেব্রুয়ারি তারিখটি বিশ্ব বেতার দিবস হিসাবে গৃহীত হয় এবং ২০১২ সালে প্রথমবার বিশ্ব বেতার দিবস পালিত হয়। ২০১২ সালের ১৮ ই ডিসেম্বর রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদ ১৩ ই ফেব্রুয়ারি তারিখটিকে বিশ্ব বেতার দিবস হিসাবে ঘোষণা করে। বিশ্ব বেতার দিবস পালনের উদ্দেশ্য হল : বৈশ্বিক স্তরে যোগাযোগ ও সম্প্রচারের মাধ্যম হিসাবে বেতার অর্থাৎ রেডিওর গুরুত্ব উদযাপন করা। এবছর অর্থাৎ ২০২৫ সালে বিশ্ব বেতার দিবসের থিম হল : ‘Radio and Climate Change’।

তড়িৎচুম্বকীয় বেতার তরঙ্গ ব্যবহার করে যোগাযোগের এক প্রযুক্তি ও শক্তিশালী মাধ্যম হল বেতার (Radio)। বেতার তরঙ্গ হল ৩ হাৎর্জ (Hz) থেকে ৩০০ গিগাহাৎর্জ (GHz) কম্পাঙ্ক (Frequency)-এর তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ। ১৮৮৬ সালের ১১ ই নভেম্বর জার্মান পদার্থবিদ হেইনরিখ রুডলফ হাৎর্জ (Heinrich Rudolf Hertz) সর্বপ্রথম বেতার তরঙ্গের অস্তিত্ব প্রমাণ করেন। ১৮৯৫ সালে ইতালীয় বিজ্ঞানী গুগলিয়েলমো মার্কনি (Guglielmo Marconi) দীর্ঘ-দূরত্বের বেতার যোগাযোগের জন্য প্রথম বেতারযন্ত্র আবিষ্কার করেন। ১৯০১ সালে গুগলিয়েলমো মার্কনি প্রথম ট্রান্স-আটলান্টিক বেতার সংকেত আদান-প্রদান করেন। ১৯২০ সালে প্রথম বাণিজ্যিক বেতার সম্প্রচার শুরু হয়। ১৯৩৬ সালে ভারতে অল ইন্ডিয়া রেডিও (All India Radio) স্থাপিত হয়, যা আকাশবাণী নামে পরিচিত।

বেতার সমস্ত বৈচিত্র্যে মানবতা উদযাপনের এক শক্তিশালী মাধ্যম এবং গণতান্ত্রিক বক্তৃতার এক মঞ্চ তৈরি করে। বৈশ্বিক স্তরে, বেতার আজও সর্বাধিক ব্যবহৃত মাধ্যম। সর্বাধিক সংখ্যক শ্রোতাদের কাছে পৌঁছানোর এই অনন্য ক্ষমতার অর্থ হল বেতার একটি সমাজের বৈচিত্র্যের অভিজ্ঞতাকে রূপ দিতে পারে এবং সমস্ত কণ্ঠস্বরের প্রতিনিধিত্বের এক ক্ষেত্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। বেতার হল এক স্বল্প ব্যয়ের মাধ্যম, যা বিশেষত প্রত্যন্ত সম্প্রদায় এবং অসুরক্ষিত লোকেদের কাছে পৌঁছানোর জন্য উপযোগী, যা জনগণের শিক্ষাগত স্তর নির্বিশেষে গণবিতর্কে অংশগ্রহণের এক মঞ্চ। বেতার জরুরী যোগাযোগ এবং দুর্যোগ ত্রাণেও এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সম্প্রদায়সমূহকে একত্রিত করতে এবং পরিবর্তনের জন্য ইতিবাচক কথোপকথনের জন্য বেতার এক অনন্য মঞ্চ। বেতার পরিষেবা আমাদের সকলের মুখোমুখি হওয়া চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলা করার জন্য প্রয়োজনীয় দৃষ্টিভঙ্গি এবং কন্ঠস্বরের বৈচিত্র্য প্রদান করে।

SSC Upper Primary TET Social Studies (Bengali Version)

গুরুত্বপূর্ণ দিবস : বিজ্ঞানে নারী ও মেয়েদের আন্তর্জাতিক দিবস