World Pulses Day
বিশ্ব ডাল দিবস (World Pulses Day)
আজ ১০ ই ফেব্রুয়ারি (10 February), বিশ্ব ডাল দিবস (World Pulses Day)। প্রতি বছর ১০ ই ফেব্রুয়ারি তারিখটি বিশ্ব ডাল দিবস রূপে পালিত হয়। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২০ শে ডিসেম্বর রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদ ১০ ই ফেব্রুয়ারি তারিখটি বিশ্ব ডাল দিবস হিসাবে ঘোষণা করে। ২০১৯ সালে প্রথমবার বিশ্ব ডাল দিবস পালিত হয়। বিশ্ব ডাল দিবস পালনের উদ্দেশ্য হল : খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টির লক্ষ্যে স্থিতিশীল খাদ্য উৎপাদনের অংশ হিসাবে ডালের পুষ্টিগত উপকারিতা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। রাষ্ট্রসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO) কর্তৃক উদযাপিত বিশ্ব ডাল দিবসের লক্ষ্য হল — উন্নত উৎপাদন, উন্নত পুষ্টি, উন্নত পরিবেশ এবং উন্নত জীবনযাপনের জন্য দক্ষ, অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্থিতিস্থাপক এবং স্থিতিশীল কৃষি খাদ্য ব্যবস্থা রূপান্তরণে ডালের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। এবছর অর্থাৎ ২০২৫ সালে বিশ্ব ডাল দিবসের থিম হল : ‘Pulses: Bringing diversity to agrifood systems’।
FAO -এর সংজ্ঞা অনুসারে, শিম্ব (Leguminosae) গোত্রীয় উদ্ভিদের ভোজ্য, শুকনো বীজকে ডাল বলা হয়। উল্লেখ্য, শিম্ব (Leguminosae) পরিবার হল প্রজাতির সংখ্যা অনুসারে তৃতীয় বৃহত্তম স্থলজ উদ্ভিদ পরিবার (Third Largest Land Plant Family)। শিম্ব (Leguminosae) পরিবারে প্রায় ২০ হাজার প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে। উদ্ভিদ প্রোটিনের উৎস হল ডাল। তবে ডালে সকল অপরিহার্য অ্যামাইনো অ্যাসিড পাওয়া যায় না, তাই ডালকে দ্বিতীয় শ্রেণীর প্রোটিন (Second-class Protein) বলা হয়। শাকাহারী বা নিরামিষভোজীদের প্রোটিনের প্রধান উৎস হল ডাল। কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ডাল হল — মটর (Pea), ছোলা (Chickpea), মুগ (Green Gram), মসুর (Red Lentil), অড়হর (Pigeon Pea), রাজমা (Kidney Bean), বিউলি (Black Gram), খেসারি (Grass Pea) ইত্যাদি।
বিভিন্ন প্রকার ডালে পুষ্টিগত উপাদান পরিমাণের পার্থক্য রয়েছে। প্রতি ১০০ গ্রাম ডালে ২০.৯-৬০.৬ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১৭.১-৪৩.২ গ্রাম প্রোটিন, ০.৫-১৯.৫ গ্রাম ফ্যাট থাকে। এছাড়া ফসফরাস, ক্যালশিয়াম, লোহা, পটাশিয়াম প্রভৃতি খনিজ এবং ক্যারোটিন, থায়ামিন, নিয়াসিন প্রভৃতি ভিটামিন রয়েছে। FAO -এর তথ্যমতে, বিশ্বে যে ডাল সর্বাধিক পরিমাণে উৎপাদিত হয়, তা হল শিম ডাল (Bean)। বিশ্বের মোট উৎপাদিত ডালের প্রায় ৩০% হল শিম ডাল। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে ছোলা (১৯%) এবং মটর (১৫%)। উল্লেখ্য, ডাল উৎপাদনে ভারত বিশ্বে প্রথম স্থান অধিকার করে। বিশ্বের মোট ডাল উৎপাদনের ২৫% ভারতে উৎপাদিত হয়। ভারত সরকারের Directorate of Pulse Development -এর তথ্য অনুসারে, ২০২৩-২৪ সালে রাজস্থান ভারতে ডাল উৎপাদনে প্রথম স্থান অধিকার করে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্র। ভারতের কেন্দ্রীয় ডাল গবেষণাগার উত্তর প্রদেশের কানপুরে অবস্থিত।
Pingback: International Day of the Arabian Leopard - ভূগোলিকা-Bhugolika
👏👏👏