International Day of Human Fraternity
আন্তর্জাতিক মানব ভ্রাতৃত্ব দিবস (International Day of Human Fraternity)
আজ ৪ ঠা ফেব্রুয়ারি (4 February), আন্তর্জাতিক মানব ভ্রাতৃত্ব দিবস (International Day of Human Fraternity)। প্রতি বছর ৪ ঠা ফেব্রুয়ারি তারিখটি আন্তর্জাতিক মানব ভ্রাতৃত্ব দিবস রূপে পালিত হয়। ২০২০ সালের ২১ শে ডিসেম্বর রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক ৪ ঠা ফেব্রুয়ারি তারিখটি আন্তর্জাতিক মানব ভ্রাতৃত্ব দিবস রূপে ঘোষণা করা হয়। ২০২১ সালে প্রথমবার আন্তর্জাতিক মানব ভ্রাতৃত্ব দিবস পালিত হয়। আন্তর্জাতিক মানব ভ্রাতৃত্ব দিবস পালনের উদ্দেশ্য হল : বিশ্ব জুড়ে শান্তি ও সহযোগিতার জন্য মানব ভ্রাতৃত্ব প্রচারের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সহনশীলতাকে উন্নীত করা।
রাষ্ট্রসংঘ (UN) -এর অন্যতম উদ্দেশ্য হল জাতি, লিঙ্গ, ভাষা বা ধর্মের ভেদাভেদ ছাড়াই মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা এবং সকলের জন্য মৌলিক স্বাধীনতার প্রচার ও উৎসাহ প্রদান সহ আন্তর্জাতিক সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অর্জন করা। ১৯৯৯ সালের ১৩ ই সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক ‘Declaration and Programme of Action on a Culture of Peace‘ গৃহীত হয়, যার উদ্দেশ্য হল ভবিষ্যত প্রজন্ম সহ সমস্ত মানবতার উপকারের জন্য শান্তি ও অহিংসার সংস্কৃতি প্রচার করা। ২০১০ সালের ২০ শে অক্টোবর রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক বিশ্ব আন্তঃধর্ম সম্প্রীতি সপ্তাহ (World Interfaith Harmony Week) উদযাপনের প্রস্তাব গৃহীত হয়, যার উদ্দেশ্য হল ধর্ম নির্বিশেষে সকল মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি উন্নীত করা৷ উল্লেখ্য, ২০১১ সালে প্রথমবার বিশ্ব আন্তঃধর্ম সম্প্রীতি সপ্তাহ পালিত হয়। প্রতি বছর ১-৭ ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ব আন্তঃধর্ম সম্প্রীতি সপ্তাহ পালিত হয়। ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সহনশীলতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে ২০২০ সালের ২১ শে ডিসেম্বর রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক প্রতি বছর ৪ ঠা ফেব্রুয়ারি তারিখটি আন্তর্জাতিক মানব ভ্রাতৃত্ব দিবস উদাযাপনের প্রস্তাব গৃহীত হয়।
সমস্ত ধর্মীয় বিশ্বাস এবং ঐতিহ্যের মূলে হল এই স্বীকৃতি রয়েছে যে, আমরা সবাই একই সাথে রয়েছি এবং পরিবেশগতভাবে স্থিতিশীল বিশ্বে শান্তি ও সম্প্রীতিতে বসবাস করার জন্য আমাদের একে অপরকে ভালোবাসতে এবং সমর্থন করতে হবে। মানবতার প্রতি সকল ধর্মের মানুষের মূল্যবান অবদান রয়েছে এবং সমস্ত মানবজাতির সাধারণ মূল্যবোধ সম্পর্কে সচেতনতা ও বোঝাপড়ার জন্য সমস্ত ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যে সংলাপ যে অবদান রাখতে পারে, তা স্বীকৃতি দেওয়া প্রয়োজন। বিভিন্ন সংস্কৃতি ও ধর্ম সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সহনশীলতার প্রচারকে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন, যার মধ্যে ধর্মীয় অভিব্যক্তি সহ ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের সামাজিক স্বীকৃতি ও সম্মান জড়িয়ে রয়েছে। একথা সত্য যে, সহনশীলতা, বহুত্ববাদী ঐতিহ্য, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং ধর্মের বৈচিত্র্য মানব ভ্রাতৃত্বকে উন্নীত করে থাকে।
Pingback: World Pulses Day - ভূগোলিকা-Bhugolika