Sunday, June 8, 2025

ভূগোলিকা-Bhugolika

ভূগোল শিক্ষার অনন্য প্রতিষ্ঠান

ভূগোলিকা-Bhugolika

ভূগোল শিক্ষার অনন্য প্রতিষ্ঠান

ভৌগোলিক প্রবন্ধ

DurgaPuja in Kolkata – Recognition of UNESCO

কলকাতার দুর্গাপূজা – ইউনেস্কোর স্বীকৃতি

ভূগোলিকা-Bhugolika -এর ‘ভৌগোলিক প্রবন্ধ’ বিভাগে আপনাকে স্বাগত জানাই। ভৌগোলিক প্রবন্ধে আমরা ভূগোলের নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর বিস্তারিত তথ্য পেয়ে থাকি, যা আমাদের ভৌগোলিক জ্ঞানের বিকাশে সহায়ক হয়। আজকের ভৌগোলিক প্রবন্ধ : DurgaPuja in Kolkata – Recognition of UNESCO । আশাকরি, এই প্রবন্ধের মাধ্যমে আপনি কলকাতার দুর্গাপূজার ইউনেস্কোর স্বীকৃতি লাভ সম্পর্কে বিশদ তথ্য পাবেন।

DurgaPuja in Kolkata - Recognition of UNESCO
মা দুর্গার প্রতিমা, কলকাতার দুর্গাপূজা

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২১। ফ্রান্সের প্যারিসে আয়োজিত (পুরোপুরি অনলাইনে) ইউনেস্কোর ‘ইন্টারগভর্ণমেন্টাল কমিটি ফর দ্য সেফগার্ডিং অফ দ্য ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ’-এর ষষ্ঠদশ অধিবেশন (১৩-১৮ ডিসেম্বর, ২০২১)-এ ‘রিপ্রেজেন্টেটিভ লিস্ট অফ দ্য ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অফ হিউম্যানিটি’-এর তালিকাভুক্ত হল কলকাতার দুর্গাপূজা (DurgaPuja in Kolkata – Recognition of UNESCO)। অর্থাৎ, ‘মানবতার অস্পর্শযোগ্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’ (Intangible Cultural Heritage of Humanity) হিসেবে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেল বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা ; কলকাতার শারদীয়া দুর্গোৎসব, যা এশিয়ার প্রথম উৎসব হিসেবে ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অফ হিউম্যানিটির স্বীকৃতি লাভ করেছে। যে উৎসবে সর্বপ্রকাশমানা মহাশক্তি পরমা প্রকৃতির আবির্ভাবে সপ্তলোক আনন্দমগ্ন হয়, এ তারই বিশ্বজনীন স্বীকৃতি।

ভৌগোলিক প্রবন্ধ : সোলার ম্যাক্সিমাম ও সোলার মিনিমাম

রাষ্ট্রসংঘের একটি বিশেষায়িত সংস্থা হল ইউনেস্কো (UNESCO), যার পূর্ণরূপ ‘United Nations Educational, Scientific and Cultural Organization’ অর্থাৎ রাষ্ট্রসংঘ শিক্ষামূলক, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। ১৯৪৫ সালের ১৬ ই নভেম্বর ইউনেস্কো স্থাপিত হয় এবং এর সদরদপ্তর ফ্রান্সের প্যারিস শহরে অবস্থিত। ইউনেস্কোর প্রধান লক্ষ্য হল শিক্ষা, কলা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা উন্নীত করা। ২০০৩ সালের ১৭ ই অক্টোবর প্যারিসে ইউনেস্কোর সাধারণ সম্মেলনে ‘কনভেনশন ফর দ্য সেফগার্ডিং অফ দ্য ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ’ শীর্ষক একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তিতেই ইউনেস্কো ‘অস্পর্শযোগ্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’-র সংজ্ঞা নির্ধারণ করে। ২০০৬ সালের ২০ শে এপ্রিল এই চুক্তি কার্যকর হয়। ২০০৮ সালে ইউনেস্কো সর্বপ্রথম অস্পর্শযোগ্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকা প্রকাশ করে। ২০১০ সালে ইউনেস্কো এই তালিকাকে দুই শ্রেণীতে বিভক্ত করে : যথা, রিপ্রেজেন্টেটিভ লিস্ট অফ দ্য ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অফ হিউম্যানিটি এবং লিস্ট অফ ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ ইন নিড অফ আর্জেন্ট সেফগার্ডিং। এখনও পর্যন্ত ভারতের ১৪ টি সাংস্কৃতিক উপাদান ইউনেস্কোর ‘ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অফ হিউম্যানিটি’-এর তালিকাভুক্ত হয়েছে। ২০০৮ সালে প্রথমবার ভারতের তিনটি সাংস্কৃতিক উপাদান (যথা : কেরালার কুটিয়াট্টম সংস্কৃত থিয়েটার, বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণ, রামলীলা) এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। ২০২১ সালে যার নবতম সংযোজন ‘কলকাতার দুর্গাপূজা’। (DurgaPuja in Kolkata – Recognition of UNESCO)

সনাতন হিন্দু ধর্মানুসারে, দেবী দুর্গা হলেন ত্রিগুণাত্মিকা, আদ্যাশক্তি মহামায়া ; প্রকৃতির অন্তরাকাশে জাগরিত জ্যোতির্ময়ী জগন্মাতা। পৃথিবীর প্রাচীনতম গ্রন্থ ঋকবেদের রাত্রিসূক্তে দেবী দুর্গার উল্লেখ রয়েছে। বেদাগমের শিবপ্রোক্ত আদ্যাস্তোত্রে স্বয়ং শিব বলেছেন, ‘ত্বং কালি তারিণী দুর্গা ষোড়শী ভুবনেশ্বরী।’ দুর্গা দশমহাবিদ্যার মূল আদ্যাশক্তি। শব্দকল্পদ্রুম অনুসারে, দুর্গা শব্দটির অর্থ হল দুর্গদৈত্য, মহাবিঘ্ন, শোক-দুঃখ, ভববন্ধন, মহাভয়, অতিরোগ প্রভৃতি হনন করেন যিনি। আবার, শ্রীশ্রীচণ্ডী-দেবীমাহাত্ম্য (মার্কণ্ডেয় পুরাণ) অনুসারে, দুর্গম নামক ভয়ংকর অসুরকে বধ করে দেবী ‘দুর্গা’ নামে বিখ্যাত হন। স্কন্দপুরাণ অনুসারে, যার স্মরণে মানবকুলের দুর্গতিনাশ হয়, তিনিই দুর্গা। অর্থাৎ, দুর্গা শব্দটির অর্থ হল দুর্গতি ও শঙ্কা হরণকারী দেবী। দেবী দুর্গার অনেক রূপ থাকলেও, দশপ্রহরণধারিণী মহিষাসুরমর্দিনী পরিবারসমন্বিতা রূপই সর্বাধিক প্রচলিত। বর্তমানে আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠ থেকে দশম দিন পর্যন্ত শারদীয়া দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়, যা ‘অকালবোধন’ নামেও পরিচিত। কালিকাপুরাণ, বৃহদ্ধর্মপুরাণ এবং কৃত্তিবাসী রামায়ণ অনুসারে, রাম-রাবণ যুদ্ধের পূর্বে শ্রীরামচন্দ্র অকালবোধনের মাধ্যমে শারদীয়া দুর্গাপূজার প্রচলন করেন। শ্রীশ্রীচণ্ডী অনুসারে, সুরথ ও সমাধি শারদীয়া দুর্গাপূজাে প্রচলন করেন। এছাড়াও এবিষয়ে ব্রহ্মবৈবর্ত ও দেবীভাগবত পুরাণে ভিন্নমত প্রচলিত রয়েছে।

ভৌগোলিক প্রবন্ধ : পুরুলিয়ার রঙ পাহাড়

বঙ্গদেশে কে, কবে দুর্গাপূজার প্রচলন করেন, এনিয়ে মতভেদ রয়েছে। তবে, কলকাতার প্রাচীনতম দুর্গাপূজা হল বড়িশার সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবারের দুর্গাপূজা, ১৬১০ সালে যার সূচনা ঘটে। সেই হিসেবে, কলকাতার দুর্গাপূজা ৪০০ বছরেরও বেশি পুরানো। প্রথমদিকে, দুর্গাপূজা রাজা-জমিদার, ধনী-বনেদী পরিবারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। বিশ শতকের প্রথম ভাগে কলকাতায় বারোয়ারি দুর্গাপূজার সূচনা ঘটে। ১৯১০ সালে ভবানীপুরের বলরাম বসু ঘাট রোডে ভবানীপুর সনাতন ধর্মোৎসাহিনী সভার পক্ষ থেকে বারোয়ারি দুর্গাপূজা আয়োজিত হয়। এরপর একে একে শ্যামপুকুর আদি সর্বজনীন (১৯১১), শ্যামবাজারের শিকদারবাগান (১৯১৩), বাগবাজার সর্বজনীন (১৯১৯), সিমলা ব্যায়াম সমিতির বারোয়ারি দুর্গাপূজা (১৯২৬), কুমোরটুলি সর্বজনীন (১৯৩১) শুরু হয়। অবশ্য, সেসব ছিল সাবেকিয়ানার দুর্গাপূজা। বর্তমানে কলকাতার দুর্গাপূজাতে ‘থিমপূজা’ বিখ্যাত। কলকাতার দুর্গাপূজাতে থিমের প্রচলন কিভাবে ঘটেছিল?

সালটা ১৯৩৮। তখন নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু তাঁর রাজনৈতিক জীবনের মধ্যগগনে। সেবছর কুমোরটুলি সর্বজনীন দুর্গাপূজার সভাপতি হলেন নেতাজী। নেতাজীর ইচ্ছে অনুসারে শিল্পীরা সারা মণ্ডপ জুড়ে সাজিয়ে তুললেন ভারতের পরাধীনতার যন্ত্রণার ছবি ও স্বাধীনতার আহ্বান। যা ছিল কার্যত কলকাতার প্রথম থিম-মণ্ডপ। কিন্তু, বোধনের আগের দিন অগ্নিকান্ডে প্রতিমা পুড়ে যায়। ফলে নেতাজীর আহ্বানে শিল্পী গোপেশ্বর পাল এক রাতেই তৈরি করেন দুর্গা প্রতিমা। একচালার সাবেকি দুর্গাপ্রতিমাকে পাঁচটি চালচিত্রে ভেঙে দিয়েছিলেন শিল্পী গোপেশ্বর পাল। সেই প্রথম থিমের প্রতিমার স্বাদ পেয়েছিল কলকাতা। এরপর সঙ্ঘশ্রী (স্থাপিত ১৯৪৬)-তে প্রথমে রাধা স্টুডিও থেকে সিনেমার সেট ভাড়া করে ও পটের ঠাকুর এনে পূজা শুরু হয়। পরে প্রতিমার পিছনে বিভিন্ন দৃশ্য এঁকে মণ্ডপ সাজাতেন কিংবদন্তী শিল্পী কালিদাস দাস। ১৯৫০ এর দশক ছিল কলকাতার থিমপূজার ইতিহাসে প্রথম মাইলস্টোন। ১৯৫৬ সালে কালীঘাট মুক্তদলে লোহার ফ্রেম দিয়ে মণ্ডপ ও আলোর খেলা দেখান হীরেন চৌধুরী। ১৯৫৯ সালে উত্তর কলকাতার জগৎ মুখার্জি পার্কে প্রথম ‘আর্টের ঠাকুর’ গড়েন অশোক গুপ্ত। এরপর, ১৯৭৫ সালে বিখ্যাত চিত্রকর নীরদ মজুমদারের হাতের ছোঁয়ায় ভবানীপুর বকুলবাগানে গড়ে ওঠে আর্টের ঠাকুর। এভাবে দশকের পর দশক ধরে কলকাতার দুর্গাপূজাতে প্রতিমা থেকে মণ্ডপ সর্বত্রই থিমের বিকাশ ঘটে চলেছে। বর্তমানে নথিবদ্ধের হিসেবে, পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৩৬ হাজার দুর্গাপূজা আয়োজিত হয়, কলকাতাতে যার সংখ্যা ২৫০০ এর মতো

ভৌগোলিক প্রবন্ধ : ভূস্বর্গের পর্যটনে শ্রীনগর

কীভাবে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেল কলকাতার দুর্গাপূজা? এবার সে কাহিনীর পালা। কি বলছে ইউনেস্কো? দুর্গাপূজার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব সম্পর্কে ইউনেস্কো বলছে, ‘দুর্গাপূজা হল ধর্ম ও শিল্পের সর্বজনীন অনুষ্ঠানের সর্বোত্তম উদাহরণ এবং শিল্পী ও নকশাকারীদের জন্য একটি সমৃদ্ধ ক্ষেত্র। এই উৎসব পৌর অঞ্চলে বৃহৎ স্থাপনা ও মণ্ডপের পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী ঢাকের বাদ্য ও দেবীর পূজা দ্বারা পরিচিত। এই উৎসবে শ্রেণী, ধর্ম ও জাতি ভেদাভেদ মুছে যায়’। কিন্তু ইউনেস্কোর ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অফ হিউম্যানিটি তালিকায় যেকোনো সাংস্কৃতিক উপাদানের অন্তর্ভুক্তি এতো সহজ নয়। সেজন্য গবেষণালব্ধ, তথ্যনিষ্ঠ পদ্ধতিতে ওই সাংস্কৃতিক উপাদানের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে হয়। আর কলকাতার দুর্গাপূজার ইউনেস্কোর স্বীকৃতি লাভের পিছনে যার নিরলস অধ্যয়ন ও গবেষণার ভূমিকা অনস্বীকার্য, তিনি হলেন শিল্প-ইতিহাস গবেষক তপতী গুহ ঠাকুরতা

তপতী দেবী ২০০২ সাল থেকে কলকাতার দুর্গাপূজা নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। তাঁর গবেষণার বিষয় ছিল, কিভাবে দুর্গাপূজা শিল্পকর্মের মঞ্চ হয়ে উঠল। ১২ বছরেরও বেশি সময় ধরে গবেষণার পর এবিষয়ে ২০১৫ সালে তাঁর লেখা ‘In the Name of the Goddess: The Durga Pujas of Contemporary Kolkata’ শীর্ষক একটি বই প্রকাশিত হয়। দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়াতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুসারে জানা যায়, ২০১২ সালে প্রথমবার কলকাতার দুর্গাপূজাকে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি লাভের জন্য আবেদন করা হয়, যদিও সেসময় স্বীকৃতি মেলেনি। এরপর, ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রকের আহ্বানে সংগীত নাটক একাডেমির মাধ্যমে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি এবিষয়ে ডসিয়ার তৈরির কাজ শুরু করেন। তপতী দেবীর কথায়, এবিষয়ে তাঁর দুই ছাত্র সন্দীপন মিত্র ও দেবী চক্রবর্তীকে নিয়ে তিনি একটি গবেষণা দল তৈরি করেন। ২০১৯ সালের মার্চে তিনি ডসিয়ার তৈরির কাজ সম্পূর্ণ করেন। তপতী দেবী কলকাতার দুর্গাপূজার বিবর্তন, শিল্পকর্মের সম্ভার, সম্প্রদায়ের সংশ্লিষ্টতা, শিল্পীদের জীবিকা, অতি বাণিজ্যিকীকরণের প্রভাব, পরিবেশ প্রভৃতি বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রস্তুত করেন। এরপরই ২০২০ সালে ভারত সরকার কলকাতার দুর্গাপূজাকে মনোনীত করে ইউনেস্কো প্রেরণ করে। অবশেষে, ২০২১ সালের ১৫ ই ডিসেম্বর মেলে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি। (DurgaPuja in Kolkata – Recognition of UNESCO)

শিল্পসজ্জার কারনে কলকাতার দুর্গাপূজা ‘পূর্ব গোলার্ধের রিও কার্নিভ্যাল’ নামে পরিচিত। তবে, কলকাতার দুর্গাপূজা শুধুমাত্র ধর্মীয় বা সামাজিক-সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে সীমিত নয় ; এক বিরাট আর্থিক কর্মকান্ডও। ব্রিটিশ কাউন্সিল ইন্ডিয়া কর্তৃক প্রকাশিত ‘ম্যাপিং দ্য ক্রিয়েটিভ ইকোনমি অ্যারাউন্ড দুর্গাপূজা ২০১৯’ রিপোর্ট অনুসারে, পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপূজাতে আর্থিক লেনদেনের পরিমাণ ৩২,৩৭৭ কোটি টাকা, যা পশ্চিমবঙ্গের জিডিপি’র ২.৫৮% (২০১৯-২০ বর্ষের)। আর এই আর্থিক লেনদেনের একটা বড়ো অংশই কলকাতার দুর্গাপূজাতে হয়ে থাকে। দুর্গাপূজার সার্থকতা শুধু পূজারূপে নয়, বিশ্বজননী দেবী দুর্গার পূজাকে কেন্দ্র করে যে উৎসব তার কেন্দ্রবিন্দু রূপে। আর তাই, আনন্দময়ী মহামায়ার উদ্দেশ্যে করজোড়ে নিবেদন :
যা দেবী সর্বভূতেষু মাতৃরূপেণ সংস্থিতা।
নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ।।

উচ্চ মাধ্যমিক ভূগোল নির্যাস [XI : Semester-I]

লেখকঃ- অরিজিৎ সিংহ মহাপাত্র (পার্শ্বলা, বাঁকুড়া)
তথ্যসূত্রঃ- UNESCO ; আনন্দবাজার পত্রিকা ; বর্তমান পত্রিকা ; এই সময় ; Wikipedia ; The Hindu ; The Financial Express ; The Times of India ; দুর্গাপূজার দু-এক কথা – স্বামী দিব্যানন্দ – নিবোধত (২৮ বর্ষ, তৃতীয় সংখ্যা) ; মহিষাসুরমর্দিনী – বাণী কুমার

ভৌগোলিক প্রবন্ধ : ভৌগোলিক নির্দেশক – মালদার আম

6 thoughts on “DurgaPuja in Kolkata – Recognition of UNESCO

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!