বহুবিকল্পভিত্তিক উত্তরধর্মী প্রশ্ন (MCQ) – দ্বিতীয় পর্ব

ভূগোলিকা-Bhugolika -এর ‘মাধ্যমিক ভূগোল’ বিভাগে আপনাকে স্বাগত জানাই। ‘মাধ্যমিক ভূগোল’ বিভাগের উদ্দেশ্য হল ভূগোল বিষয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতিতে সাহায্য করা। এই বিভাগে মাধ্যমিক পাঠ্যসূচি অনুসারে, ভূগোল বিষয়ের অধ্যায়ভিত্তিক সমস্ত রকম প্রশ্নোত্তর আলোচনা করা হয়। মাধ্যমিক ভূগোলের তৃতীয় অধ্যায় : বারিমন্ডল -এর বহুবিকল্পভিত্তিক উত্তরধর্মী প্রশ্ন (MCQ) ২ টি পর্বে আলোচনা করা হল। দ্বিতীয় পর্ব : Madhyamik Geo Chapter-III MCQ Part-II । এই পর্বে রয়েছে তৃতীয় অধ্যায় : বারিমন্ডল -এর নির্বাচিত ৫০ টি বহুবিকল্পভিত্তিক উত্তরধর্মী প্রশ্ন (MCQ) ও উত্তর।

(Madhyamik Geo Chapter-III MCQ Part-II)

(৫১) ভারত মহাসাগরের যে সমুদ্রস্রোতের সাথে ভারতের মৌসুমি বায়ুর গভীর সম্পর্ক রয়েছে —
(ক) সোমালি স্রোত (খ) মাদাগাস্কার স্রোত
(গ) আগুলহাস স্রোত (ঘ) মোজাম্বিক স্রোত

উত্তর : (ক) সোমালি স্রোত।

(৫২) প্রশান্ত মহাসাগরের একটি সমুদ্রস্রোত হল —
(ক) ক্যানারি স্রোত (খ) আগুলহাস স্রোত
(গ) কুরোশিও স্রোত (ঘ) ফ্লোরিডা স্রোত

উত্তর : (গ) কুরোশিও স্রোত।

(৫৩) আটলান্টিক মহাসাগরের একটি সমুদ্রস্রোত হল —
(ক) হামবোল্ড স্রোত (খ) ক্যানারি স্রোত
(গ) মোজাম্বিক স্রোত (ঘ) সোমালি স্রোত

উত্তর : (খ) ক্যানারি স্রোত।

(৫৪) ভারত মহাসাগরের একটি সমুদ্রস্রোত হল —
(ক) ফ্লোরিডা স্রোত (খ) ওয়াশিও স্রোত
(গ) ইরমিঙ্গার স্রোত (ঘ) মাদাগাস্কার স্রোত

উত্তর : (ঘ) মাদাগাস্কার স্রোত।

(৫৫) অধিক লবণাক্ত জল প্রবাহিত হয় —
(ক) অন্তঃস্রোত রূপে (খ) পৃষ্ঠস্রোত রূপে
(গ) বহিঃস্রোত রূপে (ঘ) উল্লম্ব স্রোত রূপে

উত্তর : (ক) অন্তঃস্রোত রূপে।

(৫৬) মাদাগাস্কার ও মোজাম্বিক স্রোতের মিলিত রূপ হল —
(ক) কুরোশিও স্রোত (খ) বেঙ্গুয়েলা স্রোত
(গ) আগুলহাস স্রোত (ঘ) সোমালি স্রোত

উত্তর: আগুলহাস স্রোত।

(৫৭) প্রশান্ত মহাসাগরের একটি উষ্ণ সমুদ্রস্রোত হল —
(ক) ক্যালিফোর্ণিয়া স্রোত (খ) কামচাটকা স্রোত
(গ) পূর্ব অস্ট্রেলীয় স্রোত (ঘ) বেরিং স্রোত

উত্তর : (গ) পূর্ব অস্ট্রেলীয় স্রোত।

(৫৮) প্রশান্ত মহাসাগরের একটি শীতল সমুদ্রস্রোত হল —
(ক) কামচাটকা স্রোত (খ) ক্যানারি স্রোত
(গ) কুরোশিও স্রোত (ঘ) ক্যালিফোর্ণিয়া স্রোত

উত্তর : (ক) কামচাটকা স্রোত।

(৫৯) আটলান্টিক মহাসাগরের একটি উষ্ণ সমুদ্রস্রোত হল —
(ক) বেঙ্গুয়েলা স্রোত (খ) ফকল্যান্ড স্রোত
(গ) ব্রাজিল স্রোত (ঘ) ল্যাব্রাডর স্রোত

উত্তর : (গ) ব্রাজিল স্রোত।

(৬০) আটলান্টিক মহাসাগরের একটি শীতল সমুদ্রস্রোত হল —
(ক) ক্যানারি স্রোত (খ) ইরমিঙ্গার স্রোত
(গ) ফ্লোরিডা স্রোত (ঘ) বেরিং স্রোত

উত্তর : (ক) ক্যানারি স্রোত।

(৬১) ভারত মহাসাগরের একটি উষ্ণ সমুদ্রস্রোত হল —
(ক) কামচাটকা স্রোত (খ) মাদাগাস্কার স্রোত
(গ) বেঙ্গুয়েলা স্রোত (ঘ) কুরোশিও স্রোত

উত্তর : (খ) মাদাগাস্কার স্রোত।

(৬২) ভারত মহাসাগরের একটি শীতল সমুদ্রস্রোত হল —
(ক) ক্যানারি স্রোত (খ) পশ্চিম অস্ট্রেলীয় স্রোত
(গ) মোজাম্বিক স্রোত (ঘ) আগুলহাস স্রোত

উত্তর : (খ) পশ্চিম অস্ট্রেলীয় স্রোত।

(৬৩) জোয়ার ভাটার প্রধান কারণ হল —
(ক) পৃথিবীর আবর্তন গতি (খ) কোরিওলিস বল
(গ) চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণ (ঘ) ভূতাত্ত্বিক আলোড়ন

উত্তর : (গ) চাঁদ ও সূর্যের আকর্ষণ।

(৬৪) উন্মুক্ত সমুদ্রে জোয়ারের গড় উচ্চতা —
(ক) ১ মিটার (খ) ৫ মিটার
(গ) ৭ মিটার (ঘ) ১০ মিটার

উত্তর : (ক) ১ মিটার।

(৬৫) পৃথিবীর ওপর চাঁদের মহাকর্ষ শক্তি সূর্যের চেয়ে বেশি —
(ক) ১.৫ গুণ (খ) ২.২ গুণ
(গ) ৩.৭ গুণ (ঘ) ৪.১ গুণ

উত্তর : (খ) ২.২ গুণ।

(৬৬) পৃথিবীর ওপর চাঁদ ও সূর্যের মহাকর্ষ শক্তির অনুপাত —
(ক) ৫ : ১১ (খ) ৬ : ৯
(গ) ৯ : ৬ (ঘ) ১১ : ৫

উত্তর : (ঘ) ১১ : ৫।

(৬৭) পৃথিবীর কেন্দ্র বহির্মুখী শক্তির উৎপত্তি কারণ —
(ক) সূর্যের আকর্ষণ (খ) আবর্তন গতি
(গ) পরিক্রমণ গতি (ঘ) চাঁদের আকর্ষণ

উত্তর : (খ) আবর্তন গতি।

(৬৮) চাঁদের সর্বাধিক মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ারকে বলে —
(ক) পরোক্ষ জোয়ার (খ) সৌর জোয়ার
(গ) গৌণ জোয়ার (ঘ) মুখ্য জোয়ার

উত্তর : (ঘ) মুখ্য জোয়ার।

(৬৯) পৃথিবীর কেন্দ্র বহির্মুখী শক্তির প্রভাবে সৃষ্ট জোয়ারকে বলে —
(ক) প্রত্যক্ষ জোয়ার (খ) গৌণ জোয়ার
(গ) চান্দ্র জোয়ার (ঘ) মুখ্য জোয়ার

উত্তর : (খ) চান্দ্র জোয়ার।

(৭০) ভূপৃষ্ঠের জলভাগের প্রতিটি স্থানে ২৪ ঘণ্টায় জোয়ার হয় —
(ক) ১ বার (খ) ২ বার
(গ) ৩ বার (ঘ) ৪ বার

উত্তর : (খ) ২ বার।

(৭১) দুটি মুখ্য বা দুটি গৌণ জোয়ারের মধ্যে সময়ের ব্যবধান থাকে —
(ক) ১২ ঘন্টা ২৪ মিনিট (খ) ৬ ঘন্টা ১২ মিনিট
(গ) ২৪ ঘন্টা ৪৮ মিনিট (ঘ) ৩ ঘন্টা ৬ মিনিট

উত্তর : (গ) ২৪ ঘন্টা ৪৮ মিনিট।

(৭২) একটি মুখ্য ও একটি গৌণ জোয়ারের মধ্যে সময়ের ব্যবধান থাকে —
(ক) ২৪ ঘন্টা ৪৮ মিনিট (খ) ৩ ঘন্টা ৬ মিনিট
(গ) ১২ ঘন্টা ২৪ মিনিট (ঘ) ৬ ঘন্টা ১২ মিনিট

উত্তর : (গ) ১২ ঘন্টা ২৪ মিনিট।

(৭৩) একটি জোয়ার ও একটি ভাটার মধ্যে সময়ের ব্যবধান থাকে —
(ক) ৩ ঘন্টা ৬ মিনিট (খ) ৬ ঘন্টা ১২ মিনিট
(গ) ১২ ঘন্টা ২৪ মিনিট (ঘ) ২৪ ঘন্টা ৪৮ মিনিট

উত্তর : (খ) ৬ ঘন্টা ১২ মিনিট।

(৭৪) চাঁদ ও সূর্যের আকর্ষণ স্থানের প্রতিপাদ স্থানে সৃষ্ট জোয়ার হল —
(ক) চান্দ্র জোয়ার (খ) গৌণ জোয়ার
(গ) মুখ্য জোয়ার (ঘ) প্রত্যক্ষ জোয়ার

উত্তর : (খ) গৌণ জোয়ার।

(৭৫) চাঁদ, সূর্য ও পৃথিবীর সরলরৈখিক অবস্থানকে বলে —
(ক) সিজিগি (খ) সংযোগ
(গ) প্রতিযোগ (ঘ) সমাবরণ

উত্তর : (ক) সিজিগি।

(Madhyamik Geo Chapter-III MCQ Part-II)

(৭৬) প্রতি মাসে সিজিগি অবস্থান ঘটে —
(ক) ১ বার (খ) ২ বার
(গ) ৩ বার (ঘ) ৪ বার

উত্তর : (খ) ২ বার।

(৭৭) যে তিথিতে পৃথিবী, চাঁদ ও সূর্যের সংযোগ অবস্থান ঘটে —
(ক) পূর্ণিমা (খ) একাদশী
(গ) অষ্টমী (ঘ) অমাবস্যা

উত্তর : (ঘ) অমাবস্যা।

(৭৮) যে তিথিতে পৃথিবী, চাঁদ ও সূর্যের প্রতিযোগ অবস্থান ঘটে —
(ক) অমাবস্যা (খ) পূর্ণিমা
(গ) পঞ্চমী (ঘ) অষ্টমী

উত্তর : (খ) পূর্ণিমা।

(৭৯) চাঁদ পৃথিবীকে একবার প্রদক্ষিণ করে —
(ক) ২৫.৩ দিনে (খ) ২৬.৩ দিনে
(গ) ২৭.৩ দিনে (ঘ) ২৮.৩ দিনে

উত্তর : (গ) ২৭.৩ দিনে।

(৮০) যে তিথিতে ভরা কোটাল হয় —
(ক) অমাবস্যা (খ) একাদশী
(গ) অষ্টমী (ঘ) দ্বাদশী

উত্তর : (ক) অমাবস্যা।

(৮১) যে তিথিতে মরা কোটাল হয় —
(ক) অমাবস্যা (খ) পূর্ণিমা
(গ) অষ্টমী (ঘ) পঞ্চমী

উত্তর : (গ) অষ্টমী।

(৮২) চাঁদ পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ কালে প্রতিদিন যে কৌণিক পথ অতিক্রম করে —
(ক) ১৩° (খ) ২১°
(গ) ৩০° (ঘ) ৯০°

উত্তর : (ক) ১৩°।

(৮৩) যে তিথিতে জোয়ারের প্রাবল্য সবচেয়ে বেশি হয় —
(ক) পূর্ণিমা (খ) অমাবস্যা
(গ) অষ্টমী (ঘ) একাদশী

উত্তর : (খ) অমাবস্যা।

(৮৪) কোটাল শব্দটির অর্থ হল —
(ক) সমুদ্রতরঙ্গ (খ) প্রবল বৃষ্টিপাত
(গ) ঘূর্ণিঝড় (ঘ) সামুদ্রিক জোয়ার

উত্তর : (ঘ) সামুদ্রিক জোয়ার।

(৮৫) চাঁদের অ্যাপোজি অবস্থানে জোয়ারের প্রাবল্য স্বাভাবিকের চেয়ে কম হয় —
(ক) ২০% (খ) ৩০%
(গ) ৪০% (ঘ) ৫০%

উত্তর : (ক) ২০%।

(৮৬) চাঁদের পেরিজি অবস্থানে জোয়ারের প্রাবল্য স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয় —
(ক) ১০% (খ) ২০%
(গ) ৩০% (ঘ) ৪০%

উত্তর : (খ) ২০%।

(৮৭) অ্যাপোজি অবস্থানে পূর্ণিমার চাঁদকে বলে —
(ক) মাইক্রোমুন (খ) ব্লাডমুন
(গ) ব্লুমুন (ঘ) সুপারমুন

উত্তর : (ক) মাইক্রোমুন।

(৮৮) পেরিজি অবস্থানে পূর্ণিমার চাঁদকে বলে —
(ক) মাইক্রোমুন (খ) ব্লুমুন
(গ) ব্লাডমুন (ঘ) সুপারমুন

উত্তর : (ঘ) সুপারমুন।

(৮৯) প্রক্সিজিয়ান জোয়ার ঘটে যে দুই অবস্থানের মিলনে —
(ক) সিজিগি ও পেরিজি (খ) অ্যাপোজি ও পেরিজি
(গ) সিজিগি ও অ্যাপোজি (ঘ) পেরিজি ও অ্যাপোজি

উত্তর : (ক) সিজিগি ও পেরিজি।

(৯০) ভরা কোটালের সময় চাঁদ, সূর্য ও পৃথিবীর অবস্থান হয় —
(ক) বৃত্তাকার (খ) উপবৃত্তাকার
(গ) সরলরৈখিক (ঘ) সমকৌণিক

উত্তর : (গ) সরলরৈখিক।

(৯১) মরা কোটালের সময় চাঁদ, সূর্য ও পৃথিবীর অবস্থান হয় —
(ক) সরলরৈখিক (খ) বৃত্তাকার
(গ) উপবৃত্তাকার (ঘ) সমকৌণিক

উত্তর : (ঘ) সমকৌণিক।

(৯২) যে সময় অন্তর প্রক্সিজিয়ান জোয়ার দেখা যায় —
(ক) ১.২-১.৫ বছর (খ) ১.৮-২.৯ বছর
(গ) ৩.২-৪.৫ বছর (ঘ) ৪.৭-৫.২ বছর

উত্তর : (ক) ১.২-১.৫ বছর।

(৯৩) যে নদীতে বানডাকা বেনাক (Benak) নামে পরিচিত —
(ক) টেমস (খ) লুপার
(গ) ইয়াংসি (ঘ) ওব

উত্তর : (খ) লুপার। 

(৯৪) যে নদীতে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু বানডাকা দেখা যায় —
(ক) কুইয়ানটাং (খ) তুরামা
(গ) কলোরাডো (ঘ) আমাজন

উত্তর : (ক) কুইয়ানটাং।

(৯৫) পশ্চিমবঙ্গের যে নদীতে বানডাকা দেখা যায় —
(ক) মহানন্দা (খ) দামোদর
(গ) হুগলি (ঘ) জলঙ্গি

উত্তর : (গ) হুগলি।

(৯৬) যে ঋতুতে হুগলি নদীতে ষাঁড়াষাঁড়ি বান দেখা যায় —
(ক) গ্রীষ্ম (খ) বর্ষা
(গ) শীত (ঘ) বসন্ত

উত্তর : (খ) বর্ষা।

(৯৭) যে নদীর বানডাকা পোরোরোকা (Pororoca) নামে পরিচিত —
(ক) হুগলি (খ) ইয়াংসি
(গ) আমাজন (ঘ) টেমস

উত্তর : (গ) আমাজন।

(৯৮) পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু জোয়ার দেখা যায় —
(ক) ফান্ডি উপসাগরে (খ) মান্নার উপসাগরে
(গ) ম্যানিলা উপসাগরে (ঘ) টোকিও উপসাগরে

উত্তর : (ক) ফান্ডি উপসাগরে।

(৯৯) জোয়ার ভাটার একটি সুফল হল —
(ক) নদীতে সামুদ্রিক মাছের আগমন (খ) নদীতে লবণতা বৃদ্ধি
(গ) নদীতে পলি সঞ্চয় (ঘ) মোহানায় ব-দ্বীপ গঠনে বাধা

উত্তর : (ক) নদীতে সামুদ্রিক মাছের আগমন।

(১০০) জোয়ার ভাটার একটি কুফল হল —
(ক) নদীতে সামুদ্রিক মাছের আগমন (খ) অপ্রচলিত বিদ্যুৎ উৎপাদন
(গ) নৌ-চলাচল বৃদ্ধি (ঘ) নদীতে লবণতা বৃদ্ধি

উত্তর : (ঘ) নদীতে লবণতা বৃদ্ধি।

(Madhyamik Geo Chapter-III MCQ Part-II)

উচ্চ মাধ্যমিক ভূগোল নির্যাস [XI : Semester-I]

বহুবিকল্পভিত্তিক উত্তরধর্মী প্রশ্ন (MCQ) – প্রথম পর্ব